
নাইম আবদুল্লাহ, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া

বাংলাদেশে গণতন্ত্রের নবযাত্রাকে ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রত্যাশা ও ভাবনা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলথ রাজ্যের সিডনিতে এক আলোচনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটি, সিডনি সেন্টার ফর পলিসি অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ও ডায়াস্পোরা অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্রেসি যৌথভাবে এই আলোচনা ও মতবিনিময়ের আয়োজন করে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকেলে ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির পেনরিথ ক্যাম্পাসে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
‘ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশন ইন বাংলাদেশ: এক্সপেক্টেশনস, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচ্যুনিটিস’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক মত, পেশা ও নুতন প্রজন্মের প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন।

ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ড. খন্দকার আল ফরিদ উদ্দিন ও ড. ফয়সাল কবীর শুভর যৌথ সঞ্চালনায় চায়ের আড্ডা-ঢঙে অনুষ্ঠিত এই গোলটেবিল আলোচনায় মূল বক্তা ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ড. ফাহাম আব্দুস সালাম, অস্ট্রেলিয়া সরকারের গবেষক ও বিজ্ঞানি ড. শামারুহ মির্জা এবং অর্থনীতিবিদ ও থিংকট্যাংক ‘গ্রুপ ব্রেইন’-এর সদস্য জ্যোতি রহমান।
এ ছাড়াও, সেন্ট মেরিস মসজিদের ইমাম আবু হুরায়রা আজহারী, মানবাধিকার কর্মী ও শিক্ষক শিবলী সোহায়েল, ক্রীড়া সংগঠক ফরহাদ মাহবুব, স্থানীয় লেবার পার্টি কর্মী সৈয়দ সামনান, গ্রিন পার্টির সাবেক ফেডারেল এমপি পদপ্রার্থী মাহবুব মোর্শেদ, প্রকৌশলী মশিউর রহমান মুন্নাসহ পশ্চিম সিডনির বিভিন্ন পেশাজীবী, শিক্ষক ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় টেকসই রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলা জরুরি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও তৃণমূলের ক্ষমতায়ন—এই সবকিছুই একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং একটি নতুন রাজনৈতিক নৈতিকতার ভিত্তি হতে পারে।
শামারুহ মির্জা নারীদের কর্মক্ষেত্রে সমান সুযোগ, ন্যায্য পারিশ্রমিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের সুরক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেত্রী খাদিজা জামান সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দূরদর্শিতার উদাহরণ উল্লেখ করেন।
আব্দুল্লাহ আল মামুন টেকসই উন্নয়নে তৃণমূলের অংশগ্রহণ ও নেচার-বেইজড সমাধানের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
ফরহাদ মাহবুব ক্রীড়াক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য পেশাদারত্ব, খাদ্যাভ্যাস ও নেতৃত্বের বিকাশের ওপর গুরুত্ব দেন।

জ্যোতি রহমান বলেন, অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং বিনিয়োগে আস্থা ফিরিয়ে আনতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিকল্প নেই। তিনি ৯০-এর দশকের রাজনীতির উদাহরণ টেনে বলেন, মতভেদ থাকলেও তখন প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় ছিল, সেই সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে হবে।
আবু হুরায়রা আজহারী ইসলামের মূলনীতি ও আধুনিক রাষ্ট্রনীতির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার গুরুত্বের কথা বলেন।
মশিউর রহমান মুন্না সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো কেন কার্যকরভাবে কাজ করতে পারছে না তার কারণ বিশ্লেষণ এবং সংস্কারের আহ্বান জানান।
শিবলী সোহায়েল ভিন্নমতের প্রতি সহনশীলতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য এমন আলোচনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার পরামর্শ দেন।

শেষ বক্তা ফাহাম আব্দুস সালাম বলেন, ফ্যাসিস্ট শাসনের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন অপরিহার্য। তিনি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও রাজনৈতিক সংলাপের ওপর জোর দেন।
অংশগ্রহণকারীরা ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা, সহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার সংস্কৃতিই একটি টেকসই গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ভিত্তি হতে পারে মর্মে একমত পোষণ করেন। তারা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক ও মানবিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশে গণতন্ত্রের নবযাত্রাকে ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রত্যাশা ও ভাবনা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলথ রাজ্যের সিডনিতে এক আলোচনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটি, সিডনি সেন্টার ফর পলিসি অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ও ডায়াস্পোরা অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্রেসি যৌথভাবে এই আলোচনা ও মতবিনিময়ের আয়োজন করে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকেলে ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির পেনরিথ ক্যাম্পাসে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
‘ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশন ইন বাংলাদেশ: এক্সপেক্টেশনস, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচ্যুনিটিস’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনায় বিভিন্ন রাজনৈতিক মত, পেশা ও নুতন প্রজন্মের প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন।

ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ড. খন্দকার আল ফরিদ উদ্দিন ও ড. ফয়সাল কবীর শুভর যৌথ সঞ্চালনায় চায়ের আড্ডা-ঢঙে অনুষ্ঠিত এই গোলটেবিল আলোচনায় মূল বক্তা ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ড. ফাহাম আব্দুস সালাম, অস্ট্রেলিয়া সরকারের গবেষক ও বিজ্ঞানি ড. শামারুহ মির্জা এবং অর্থনীতিবিদ ও থিংকট্যাংক ‘গ্রুপ ব্রেইন’-এর সদস্য জ্যোতি রহমান।
এ ছাড়াও, সেন্ট মেরিস মসজিদের ইমাম আবু হুরায়রা আজহারী, মানবাধিকার কর্মী ও শিক্ষক শিবলী সোহায়েল, ক্রীড়া সংগঠক ফরহাদ মাহবুব, স্থানীয় লেবার পার্টি কর্মী সৈয়দ সামনান, গ্রিন পার্টির সাবেক ফেডারেল এমপি পদপ্রার্থী মাহবুব মোর্শেদ, প্রকৌশলী মশিউর রহমান মুন্নাসহ পশ্চিম সিডনির বিভিন্ন পেশাজীবী, শিক্ষক ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় টেকসই রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলা জরুরি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও তৃণমূলের ক্ষমতায়ন—এই সবকিছুই একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং একটি নতুন রাজনৈতিক নৈতিকতার ভিত্তি হতে পারে।
শামারুহ মির্জা নারীদের কর্মক্ষেত্রে সমান সুযোগ, ন্যায্য পারিশ্রমিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের সুরক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেত্রী খাদিজা জামান সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দূরদর্শিতার উদাহরণ উল্লেখ করেন।
আব্দুল্লাহ আল মামুন টেকসই উন্নয়নে তৃণমূলের অংশগ্রহণ ও নেচার-বেইজড সমাধানের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
ফরহাদ মাহবুব ক্রীড়াক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য পেশাদারত্ব, খাদ্যাভ্যাস ও নেতৃত্বের বিকাশের ওপর গুরুত্ব দেন।

জ্যোতি রহমান বলেন, অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং বিনিয়োগে আস্থা ফিরিয়ে আনতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিকল্প নেই। তিনি ৯০-এর দশকের রাজনীতির উদাহরণ টেনে বলেন, মতভেদ থাকলেও তখন প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় ছিল, সেই সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে হবে।
আবু হুরায়রা আজহারী ইসলামের মূলনীতি ও আধুনিক রাষ্ট্রনীতির মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার গুরুত্বের কথা বলেন।
মশিউর রহমান মুন্না সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো কেন কার্যকরভাবে কাজ করতে পারছে না তার কারণ বিশ্লেষণ এবং সংস্কারের আহ্বান জানান।
শিবলী সোহায়েল ভিন্নমতের প্রতি সহনশীলতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য এমন আলোচনার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার পরামর্শ দেন।

শেষ বক্তা ফাহাম আব্দুস সালাম বলেন, ফ্যাসিস্ট শাসনের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন অপরিহার্য। তিনি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও রাজনৈতিক সংলাপের ওপর জোর দেন।
অংশগ্রহণকারীরা ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা, সহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার সংস্কৃতিই একটি টেকসই গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ভিত্তি হতে পারে মর্মে একমত পোষণ করেন। তারা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক ও মানবিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় টেকসই রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলা জরুরি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও তৃণমূলের ক্ষমতায়ন—এই সবকিছুই একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং একটি নতুন রাজনৈতিক নৈতিকতার ভিত্তি হতে পারে।
বৈঠকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি আরও জোরদার করা বিশেষত সংস্কৃতি, ব্যবসা, শিক্ষা, উদ্ভাবন ও প্রবাসীদের সাফল্যকে বিশ্বমঞ্চে যথাযথভাবে উপস্থাপন করা নিয়ে আলোচনা করেন এমবিএফএ নেতারা।
এই ইনজেকশনের একটি ভায়ালের দাম ৯৮ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা (১ অস্ট্রেলিয়ান ডলার ৮০ টাকা ধরে)। শিশুটিকে একই দিনে দুটি ভায়াল (প্রায় ১ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ টাকার ওষুধ) দিতে হয়েছে। শিশুটি মোট ৬টি ইঞ্জেকশন পাবে, যার মোট মূল্য বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫ কোটি টাকা।
স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে প্রবাসী ফেনীবাসীর আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং নিজেদের মধ্যে ঐক্য, ভ্রাতৃত্ব, বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে সম্প্রতি গঠন করা হয়েছে ফেনী জেলা ফোরাম, মাদ্রিদ। সংগঠনটির নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

এই ইনজেকশনের একটি ভায়ালের দাম ৯৮ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা (১ অস্ট্রেলিয়ান ডলার ৮০ টাকা ধরে)। শিশুটিকে একই দিনে দুটি ভায়াল (প্রায় ১ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ টাকার ওষুধ) দিতে হয়েছে। শিশুটি মোট ৬টি ইঞ্জেকশন পাবে, যার মোট মূল্য বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫ কোটি টাকা।
১৭ ঘণ্টা আগে