প্রতিবেদক, বিডিজেন
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, প্রধান বিচারপতি নিয়োগ এবং জরুরি অবস্থা জারি-সংক্রান্ত সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদে প্রয়োজনীয় সংযোজনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে।
আজ রোববার (১৩ জুলাই) রাজধানী ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১২তম দিনের আলোচনা শেষে এ কথা জানান তিনি।
প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে আজ ঐকমত্যে পৌঁছানো গেছে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, এর আগের বৈঠকে সংবিধানে বিদ্যমান ৯৫ অনুচ্ছেদ ও রাষ্ট্রপতি কর্তৃক আপিল বিভাগ থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টি সংশোধনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো নীতিগতভাবে একমত হয়েছিল। আজকের বৈঠকে আরও ৩টি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে।
আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দান করবেন। অবশ্য কোনো রাজনৈতিক দল বা জোট তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখপূর্বক যদি জনগণের ম্যান্ডেট লাভ করে, তাহলে তারা সংবিধানে এমন বিধান সংযোজন করতে পারবে যে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম দুজন বিচারপতির মধ্যে থেকে রাষ্ট্রপতি যেকোনো একজনকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দান করবেন। তবে শর্ত থাকছে যে অসদাচরণ ও অসামর্থ্যের অভিযোগের কারণে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৬-এর অধীন কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্তপ্রক্রিয়া চলমান থাকলে তাকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে না।
জরুরি অবস্থা জারির বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, আজকের আলোচনায় প্রথমত জরুরি অবস্থা ঘোষণাসংক্রান্ত সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪১(ক)-এ সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয় যুক্ত করার প্রস্তাবে ঐকমত্য হয়েছে। বিষয়গুলো হলো অনুচ্ছেদ ১৪১(ক) সংশোধনের সময় ‘অভ্যন্তরীণ গোলযোগের’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতার প্রতি হুমকি বা মহামারি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপিত হবে।
আলী রীয়াজ আরও বলেন, জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতিস্বাক্ষরের পরিবর্তে মন্ত্রিসভার অনুমোদন যুক্ত করতে হবে। জরুরি অবস্থা ঘোষণা সম্পর্কিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে বিরোধীদলীয় নেতা অথবা তার অনুপস্থিতিতে বিরোধীদলীয় উপনেতাকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া জরুরি অবস্থা চলাকালে অনুচ্ছেদ ৪৭(ক)-এর বিধান সাপেক্ষে কোনো নাগরিকের জীবনের অধিকার (রাইট টু লাইফ) এবং বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে বিদ্যমান সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদে বর্ণিত মৌলিক অধিকারসমূহ খর্ব করা যাবে না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আজকের আলোচনায় অংশ নিয়েছে বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দার।
আরও পড়ুন
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, প্রধান বিচারপতি নিয়োগ এবং জরুরি অবস্থা জারি-সংক্রান্ত সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদে প্রয়োজনীয় সংযোজনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে।
আজ রোববার (১৩ জুলাই) রাজধানী ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১২তম দিনের আলোচনা শেষে এ কথা জানান তিনি।
প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে আজ ঐকমত্যে পৌঁছানো গেছে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, এর আগের বৈঠকে সংবিধানে বিদ্যমান ৯৫ অনুচ্ছেদ ও রাষ্ট্রপতি কর্তৃক আপিল বিভাগ থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টি সংশোধনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো নীতিগতভাবে একমত হয়েছিল। আজকের বৈঠকে আরও ৩টি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে।
আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দান করবেন। অবশ্য কোনো রাজনৈতিক দল বা জোট তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখপূর্বক যদি জনগণের ম্যান্ডেট লাভ করে, তাহলে তারা সংবিধানে এমন বিধান সংযোজন করতে পারবে যে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম দুজন বিচারপতির মধ্যে থেকে রাষ্ট্রপতি যেকোনো একজনকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দান করবেন। তবে শর্ত থাকছে যে অসদাচরণ ও অসামর্থ্যের অভিযোগের কারণে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৬-এর অধীন কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্তপ্রক্রিয়া চলমান থাকলে তাকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে না।
জরুরি অবস্থা জারির বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, আজকের আলোচনায় প্রথমত জরুরি অবস্থা ঘোষণাসংক্রান্ত সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪১(ক)-এ সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয় যুক্ত করার প্রস্তাবে ঐকমত্য হয়েছে। বিষয়গুলো হলো অনুচ্ছেদ ১৪১(ক) সংশোধনের সময় ‘অভ্যন্তরীণ গোলযোগের’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতার প্রতি হুমকি বা মহামারি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপিত হবে।
আলী রীয়াজ আরও বলেন, জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতিস্বাক্ষরের পরিবর্তে মন্ত্রিসভার অনুমোদন যুক্ত করতে হবে। জরুরি অবস্থা ঘোষণা সম্পর্কিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে বিরোধীদলীয় নেতা অথবা তার অনুপস্থিতিতে বিরোধীদলীয় উপনেতাকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া জরুরি অবস্থা চলাকালে অনুচ্ছেদ ৪৭(ক)-এর বিধান সাপেক্ষে কোনো নাগরিকের জীবনের অধিকার (রাইট টু লাইফ) এবং বিচার ও দণ্ড সম্পর্কে বিদ্যমান সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদে বর্ণিত মৌলিক অধিকারসমূহ খর্ব করা যাবে না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আজকের আলোচনায় অংশ নিয়েছে বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দার।
আরও পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরত এসেছেন আরও ৩৯ বাংলাদেশি। একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরত আসেন তারা। আজ শনিবার (২ আগস্ট) সকালে রাজধানী ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় দলটি।
জুলাই ঘোষণাপত্র ৫ আগস্টের মধ্যে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।
২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের পর থেকে বাংলাদেশের বিনোদন জগতের শিল্পীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে বিভাজন। সেই বিভাজনের রেশ এখনো কাটেনি। সুযোগ পেলেই একে অন্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে পিছপা হচ্ছেন না অনেকে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভার্চুয়াল বিবাদে জড়িয়েছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন ও সোহানা সাবা।
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অবস্থানের অভিযোগে আটক হওয়া বাংলাদেশের একদল নাগরিককে ঢাকায় পাঠিয়ে দিচ্ছে দেশটির সরকার। একটি সামরিক বিমানে আজ শনিবার (২ আগস্ট) তাদের ঢাকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে।