

ষাটের দশক শুধু জেইনের জীবন নয়, বদলে দিল এক পুরো প্রজন্মকে। মানুষ শিখল প্রশ্ন করতে, প্রতিবাদ করতে, আর ভালোবাসতে। সত্যিই, এক নতুন সময়ের জন্ম হয়েছিল।

ওমান রাষ্ট্রীয়ভাবে শিক্ষাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যদি ভালো ভূমিকা রাখতে পারে তবে দীর্ঘমেয়াদে ওমানে বাংলাদেশের অবস্থান দৃঢ় হবে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা ও গবেষণাতেও অবদান রাখতে পারে।

বাংলাদেশের অর্থনীতিকে মজবুত করার জন্য রাজস্ব খাত ও আর্থিক খাতের সংস্কারকে সংহতভাবে এগিয়ে নিতে হবে। এটি শুধুমাত্র উন্নয়নের জন্য নয় বরং দেশের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

যেহেতু জীবনের শুরু ও শেষের নিয়তি আমাদের হাতে নয়, তাই মাঝের সময়টুকুই আমাদের একমাত্র মুক্ত ভূমি, যেখানে মানুষ হতে পারে নিজের সত্য রূপে, নিজের আলোয়। এই মাঝখানের সময়টাই হোক আত্মনির্ভরতার ঋতু, নির্মল আনন্দের স্বপ্ন আর মনের মুক্তির অধ্যায়।
এবার খোদেজার ভাবান্তর দেখা গেল। একটা অস্পষ্ট মাতম আহাজারি চিৎকারে মাথায় কপালে বুকে এলোপাথাড়ি থাপ্পড় মারতে মারতে পুকুর পাড় দিয়ে রেললাইন ধরে সোজা দক্ষিণ দিকে চলে যায়, 'না না, আমি মা না রে, আমি তো মা না।'

আমেরিকায় স্কুল জীবন থেকেই আমাদের ট্রেনিং দেওয়া হয় যখন তোমাকে কোন কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়, সেটাকে সম্পন্ন করার দায়িত্ব তোমার। তুমি কীভাবে করবে, সেটাও তোমার দায়।

আমি মনে মনে ভাবছি, ‘এই সভা কি সফল হবে?’ কিন্তু মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই আমার ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো—মিলনায়তন কানায় কানায় পূর্ণ, মানুষের ঢল নেমে এল। নির্ধারিত আসনের চেয়ে প্রায় দুই শতাধিক মানুষ বেশি উপস্থিত হয়েছিলেন। সময় মতো সভা শুরু হলো, কোনো বিশৃঙ্খলা নয়, কেবল সংগঠন, শৃঙ্খলা আর সম্মান।

স্বাধীনতার পরের বছরগুলোয় দেশটির প্রধান কাজ ছিল— পুনর্গঠন ও স্বপ্নকে প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু রাষ্ট্র যখন ধীরে ধীরে ক্ষমতার কেন্দ্রে বন্দী হয়ে পড়ল, তখন জনগণের কণ্ঠস্বর হারিয়ে গেল প্রশাসনিক কোলাহলে।

এক বিকেলে করিন বসেছিল এক কফি শপে। জানালার বাইরের তুষার গলে পানিতে পরিণত হচ্ছে, আর তার আঙুল কাপের গায়ে স্থির হয়ে আছে অনেকক্ষণ। অপর প্রান্তের মানুষটি নিজের সাফল্যের গল্প বলছে—করিন হালকা হেসে শুনছে, কিন্তু ভেতরে প্রশ্ন জাগে, ‘কেউ কি আজকাল ভালোবাসে, নাকি শুধু নিজেদের প্রমাণ করে?’

মূলত নেতৃত্ব মানে দায়িত্ব, দূরদর্শিতা ও জবাবদিহিতা। একজন নেতা সেই ব্যক্তি যিনি একটি দিকনির্দেশনা স্থির করেন এবং তার ফল বহন করেন। নারীরা প্রতিদিনই এটি করেন—বোর্ডরুম, শ্রেণিকক্ষ, হাসপাতাল, সংসদ কিংবা ঘরে। তবুও তাদের কর্তৃত্বকে প্রায়ই ‘উপহার’ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, নেতৃত্ব হিসেবে নয়।

আমি একজন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ। পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণের সুযোগ হয়েছে আমার। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে বলতেই হয়—বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা বেশ হতাশাজনক।

শেষ পর্যন্ত প্লাবন একদিন থেমে গিয়ে নিজেকে জিজ্ঞেস করল—‘যে ভবিষ্যতের জন্য আমি বেঁচে আছি, সেটি কখন আসবে? আমি তো সবসময় ভবিষ্যতের অপেক্ষায় থেকেছি, অথচ আজও সেটি “আগামীকাল”। তাহলে কি আমি আসলে কখনো বাঁচিনি?’

প্রায় ৫৩ বছর ধরে চলা এই ক্ষয়িষ্ণু রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে সহসা একটা পরিবর্তনের ঢেউ এসে লেগেছে। আর এটা এসেছে ছাত্র রাজনীতির অঙ্গনে। ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে। এই দুই নির্বাচন ছাত্র রাজনীতির লেজুড়বৃত্তির প্রথাগত নির্বাচন ব্যবস্থায় আঘাত হেনেছে। কীভাবে তা সবার জানা।

যারা জনগণের ভোটে সংসদে গেছেন কিংবা রাজনৈতিক কৌশলে ক্ষমতা দখল করেছেন—তাদের প্রতিটি সিদ্ধান্তই রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে। তবু প্রশ্ন জাগে—তারা কি সত্যিই জানেন সংবিধানের অন্তর্নিহিত দর্শন কী? তারা কি বোঝেন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্বের গভীরতা কতটা?

আত্মার আত্মীয়তা জোর করে হয় না। এটি সময়, অভিজ্ঞতা ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে গড়ে ওঠে। কখনো কোনো কথায়, কখনো এক মুহূর্তের সহানুভূতিতে—মন থেকে মন যুক্ত হয়।

জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র চার মাস বাকি আছে। এত অল্প সময়ের মধ্যে সবকিছু সম্পন্ন করা নির্বাচন কমিশনের জন্য কঠিন একটা কাজ হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। পাশাপাশি এই গুরুদায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক ভুলভ্রান্তিও হতে পারে। কিন্তু তাই বলে, এটার অজুহাতে প্রবাসীদের ভোটাধিকারে বঞ্চিত করা কি সংগত হবে?

বিশ্বব্যাপী অভিজ্ঞতা বলে, অনেক দেশে প্রবাসী নাগরিকেরা দূতাবাসে গিয়ে আগেভাগে ভোট দেন বা ডাক-ভোটের ব্যবস্থা ব্যবহার করেন। তাতে ভোটারদের আইনগত অধিকার রক্ষা পায়, কিন্তু অংশগ্রহণের হার সাধারণত স্থায়ী বসবাসকারী ভোটারদের তুলনায় কম থাকে।

শেখা মানে শুধু বই পড়া বা ক্লাসে পাঠ শোনা নয়; বরং জীবনকে বোঝা, অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া এবং নিজেকে প্রতিনিয়ত নবায়ন করা। প্রকৃতি, সমাজ, মানুষ—সবাই আমাদের শিক্ষক।

শিক্ষক দিবস চলে গেল। গতকাল ৫ অক্টোবর ছিল শিক্ষক দিবস। কত কত সুন্দর স্মৃতি মনে উঁকি দিচ্ছে। বর্ণিল জীবন। ছোটবেলায় পাঠ্য ছিল স্যান্ডস অব ডি কবিতা। ইংরেজি কবিতা আবৃতি প্রতিযোগিতায় এই কবিতা আবৃতি করে হলাম প্রথম। কী আনন্দ।
