
প্রতিবেদক, বিডিজেন

সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের ভিসা বন্ধ বা কমিয়ে দেওয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন মন্তব্য করেছেন, এজন্য অনেকাংশে বাংলাদেশ দায়ী।
মঙ্গলবার (৩ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক ইস্যুতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে অনেক হোমওয়ার্ক করা হয়েছে। যে সিদ্ধান্তগুলো আমাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়, তার অনেকখানির জন্য আমরা দায়ী। আমাদের দেশের মানুষ এবং ব্যবসায়ীরা দায়ী, বিশেষ করে যারা মানুষ পাঠান।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় আমাদের প্রতি কোনো বিরূপ ভাব নেই। সেই মালয়েশিয়াতেও কিন্তু আমাদের চেয়ে বৈধপথে যাওয়া নেপালি শ্রমিকের সংখ্যা বেশি ছিল। আমাদের অবৈধ শ্রমিকের সংখ্যা বেশি ছিল। এটি তাদের দোষ নয়। আমাদের দোষ।’
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের ঘর সামলাতে হবে। অনেকের হয়তো আমার কথা পছন্দ হবে না। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি যে, এই একটি ক্ষেত্রে আমাদের অনেক কিছু করার আছে।’
ভারতের পুশইন ঠেকানো সম্ভব না, আবার চিঠি দেবে ঢাকা
‘ভারত থেকে পুশইন ঠেকানো সম্ভব না’—এমনটা উল্লেখ করে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘পুশইন হচ্ছে, ফিজিক্যালি এটি ঠেকানো সম্ভব নয়। এটা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আমাদের চিঠি আদান-প্রদান হচ্ছে। আমরা আজকে বা আগামীকাল আরেকটা চিঠি দেব এ বিষয়ে। এ সমস্যা সমাধানে কনস্যুলার পদ্ধতির (কনস্যুলার ডায়লগ) আওতায় ভারতের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ।
দুই দেশের মধ্যে নাগরিকদের চলাচলের বিষয় নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বছরে একবার কনস্যুলার সংলাপের মাধ্যমে আলাপ–আলোচনার সুযোগ আছে। পুশইনের বিষয়ে এমন সংলাপের আলোচনায় আসতে পারে, এমনটা জানান উপদেষ্টা।
হাসিনাকে ফেরত চেয়ে প্রয়োজনে ভারতকে আবার চিঠি দেবে ঢাকা
ভারত থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত আনা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে তৌহিদ হোসেন বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে পাঠানো চিঠি নিয়ে ভারত থেকে ফিরতি কিছু আসেনি।
শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে দ্বিতীয় পত্র দেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো দ্বিতীয় পত্র দেওয়া হয়নি। তবে প্রয়োজন হলে অবশ্যই দেওয়া হবে।
ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের পাল্টা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল হওয়ায় বাংলাদেশের নির্ভরতা ভারতের ওপর কমে গেছে। এতে করে রপ্তানিতে কোনো প্রভাব পড়ছে না। এখন দিল্লির পরিবর্তে সিলেট থেকে পণ্যবাহী ফ্লাইট যাচ্ছে এবং কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। একদিক থেকে ভালোই হয়েছে। এখন স্পেনে সরাসরি পণ্যবাহী ফ্লাইট যাচ্ছে।
পাল্টা ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, আমরাও আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ভারতের সুতা আমদানির সুবিধা বাতিল করেছি। তারা তাদের প্রয়োজনে ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করেছে কি না, আমি তা জানি না।
বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে জানতে চান কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকেই জানতে চান। তখন তাদের কাছে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরা হয়।

সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের ভিসা বন্ধ বা কমিয়ে দেওয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন মন্তব্য করেছেন, এজন্য অনেকাংশে বাংলাদেশ দায়ী।
মঙ্গলবার (৩ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সমসাময়িক ইস্যুতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে অনেক হোমওয়ার্ক করা হয়েছে। যে সিদ্ধান্তগুলো আমাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়, তার অনেকখানির জন্য আমরা দায়ী। আমাদের দেশের মানুষ এবং ব্যবসায়ীরা দায়ী, বিশেষ করে যারা মানুষ পাঠান।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় আমাদের প্রতি কোনো বিরূপ ভাব নেই। সেই মালয়েশিয়াতেও কিন্তু আমাদের চেয়ে বৈধপথে যাওয়া নেপালি শ্রমিকের সংখ্যা বেশি ছিল। আমাদের অবৈধ শ্রমিকের সংখ্যা বেশি ছিল। এটি তাদের দোষ নয়। আমাদের দোষ।’
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমাদের ঘর সামলাতে হবে। অনেকের হয়তো আমার কথা পছন্দ হবে না। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি যে, এই একটি ক্ষেত্রে আমাদের অনেক কিছু করার আছে।’
ভারতের পুশইন ঠেকানো সম্ভব না, আবার চিঠি দেবে ঢাকা
‘ভারত থেকে পুশইন ঠেকানো সম্ভব না’—এমনটা উল্লেখ করে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘পুশইন হচ্ছে, ফিজিক্যালি এটি ঠেকানো সম্ভব নয়। এটা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আমাদের চিঠি আদান-প্রদান হচ্ছে। আমরা আজকে বা আগামীকাল আরেকটা চিঠি দেব এ বিষয়ে। এ সমস্যা সমাধানে কনস্যুলার পদ্ধতির (কনস্যুলার ডায়লগ) আওতায় ভারতের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ।
দুই দেশের মধ্যে নাগরিকদের চলাচলের বিষয় নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বছরে একবার কনস্যুলার সংলাপের মাধ্যমে আলাপ–আলোচনার সুযোগ আছে। পুশইনের বিষয়ে এমন সংলাপের আলোচনায় আসতে পারে, এমনটা জানান উপদেষ্টা।
হাসিনাকে ফেরত চেয়ে প্রয়োজনে ভারতকে আবার চিঠি দেবে ঢাকা
ভারত থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত আনা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে তৌহিদ হোসেন বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে পাঠানো চিঠি নিয়ে ভারত থেকে ফিরতি কিছু আসেনি।
শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে দ্বিতীয় পত্র দেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো দ্বিতীয় পত্র দেওয়া হয়নি। তবে প্রয়োজন হলে অবশ্যই দেওয়া হবে।
ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের পাল্টা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল হওয়ায় বাংলাদেশের নির্ভরতা ভারতের ওপর কমে গেছে। এতে করে রপ্তানিতে কোনো প্রভাব পড়ছে না। এখন দিল্লির পরিবর্তে সিলেট থেকে পণ্যবাহী ফ্লাইট যাচ্ছে এবং কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। একদিক থেকে ভালোই হয়েছে। এখন স্পেনে সরাসরি পণ্যবাহী ফ্লাইট যাচ্ছে।
পাল্টা ব্যবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, আমরাও আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ভারতের সুতা আমদানির সুবিধা বাতিল করেছি। তারা তাদের প্রয়োজনে ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করেছে কি না, আমি তা জানি না।
বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে জানতে চান কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকেই জানতে চান। তখন তাদের কাছে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরা হয়।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, দক্ষ ও আধা দক্ষ শ্রমিকসহ বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা সুবিধা পুনরায় চালু করতে বাহরাইনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন কাতারের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের ওপর যেকোনো হুমকির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দৃঢ় সংহতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ইসির নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নিবন্ধন শেষ হলে সেই তথ্য সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চলে যাবে। তাদের মাধ্যমে পৃথক ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হবে। এরপর নির্ধারিত সময়ে ভোটারের ঠিকানায় তিন খামের ভেতর ব্যালট পাঠানো হবে।
সভায় জানানো হয়, দেশের মোট কর্মসংস্থানের উল্লেখযোগ্য অংশ কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্পে হলেও জাতীয় অর্থনীতিতে এর অবদান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছেনি। এ পরিপ্রেক্ষিতে, ব্যাপক সম্ভাবনাময় এ খাতের প্রসারে চলতি অর্থবছরে পিকেএসএফ মোট ৪ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।