
বিডিজেন ডেস্ক

সূর্যের এত কাছে গিয়েও ফিরে আসা যায়! সত্যিই বিস্ময়ের। এমনটা এর আগে হয়তো নাসার বিজ্ঞানীরাও ভাবতে পারেননি। তবে না ভাবলেও নাসার মহাকাশযান ‘পার্কার সোলার প্রোব’ ঠিক সেটাই করে দেখাল।
মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছতে পেরেছে এই মহাকাশযান। শুধু যে পৌঁছতে পেরেছে তাই-ই নয়, মহাকাশযানটি সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডল থেকে অক্ষত অবস্থায় সফলভাবে ফিরেও আসতে পেরেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসার একটি মহাকাশযান গতকাল শুক্রবার (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টার দিকে) সফলভাবে সূর্যের কাছাকাছি যেতে সক্ষম হয়েছে। মহাকাশযানটির নাম ‘পার্কার সোলার প্রোব’। এর আগে আর কোনো মহাকাশযান সূর্যের এত কাছাকাছি যেতে পারেনি।
প্রশ্ন হচ্ছে মহাকাশযানটি সূর্যের কত কাছে পৌঁছতে পেরেছিল? নাসা জানাচ্ছে, সোলার প্রোবটি যেখানে পৌঁছতে পেরেছে সেখান থেকে সূর্য পৃষ্ঠের দূরত্ব ৩৮ লাখ মাইল (৬১ লাখ কিলোমিটার)। অর্থাৎ, সূর্যের ৩৮ লাখ মাইলের মধ্যে যেতে পেরেছে এই মহাকাশযানটি।
গত ২৪ ডিসেম্বর সোলার প্রোবটি সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার পর প্রতিকূল পরিবেশের কারণে নাসার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় (জিএমটি সময় সকাল ৫টা) বিজ্ঞানীরা ‘পার্কার সোলার প্রোব’ থেকে একটি সিগন্যাল পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
এর অর্থ হচ্ছে সূর্যের সবচেয়ে কাছে গিয়ে এর প্রচণ্ড তাপ ও চরম বিকিরণ সহ্য করেও অক্ষত অবস্থায় ফিরে আসতে পেরেছে মহাকাশযানটি। নাসা জানিয়েছে, মহাকাশযানটি নিরাপদ আছে এবং স্বাভাবিকভাবে কাজও করছে।
নাসার তথ্য অনুযায়ী, প্রোবটির একটি ‘আলোক সংকেত’ যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের লরেল শহরে অবস্থিত জনস হপকিনস অ্যাপ্লায়েড ফিজিকস ল্যাবরেটরিতে (এপিএল) এসে পৌঁছেছে। এখান থেকে প্রোবটি পরিচালনা করা হচ্ছে।
পার্কার সোলার প্রোব ঘণ্টায় প্রায় ৪ লাখ ৩০ হাজার মাইল গতিতে গত মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সূর্যের দিকে ছুটতে শুরু করে। এ সময় প্রোবটিকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮০০ ফারেনহাইট বা ৯৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে হয়েছে। এসব প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে অবশেষে তা বাংলাদেশ সময় গতকাল বেলা ১১টার দিকে সূর্যপৃষ্ঠের প্রায় ৩৮ লাখ মাইল কাছাকাছি পৌঁছাতে সক্ষম হয়।
মহাকাশযানটির প্রোগ্রাম এমন করে ঠিক করা ছিল, তা যদি সফলভাবে সূর্যের কাছাকাছি প্রত্যাশিত স্থানে পৌঁছাতে পারে, তা হলে একটি আলোক সংকেত পাঠাবে। এই সংকেতের জন্যই নাসার বিজ্ঞানীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন।
পার্কার সোলার প্রোব সূর্যের এতটা কাছাকাছি যাওয়ার ফলে এই নক্ষত্র সম্পর্কে নতুন তথ্য জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এসব তথ্য সূর্যের চারপাশের অতি উত্তপ্ত অঞ্চলকে বুঝতে এবং সৌরবায়ুর উৎস শনাক্ত করতে বিজ্ঞানীদের সহায়তা করবে।
প্রোবটি সূর্যের কতটা কাছে পৌঁছতে পেরেছে এ সম্পর্কে নাসার হেড অব সায়েন্স ডা. নিকোলা ফক্স বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা সূর্য থেকে ৯ কোটি ৩০ লাখ মাইল দূরে আছি। যদি আমি সূর্য ও পৃথিবীকে এক মিটার দূরত্বে রাখি, তবে পার্কার সোলার প্রোব সূর্য থেকে মাত্র চার সেন্টিমিটার দূরে। তাই এটি সত্যিই খুব কাছাকাছি।’
অর্থাৎ, পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব যেখানে ৯ কোটি ৩০ লাখ মাইল, সেখানে নাসার পার্কার সোলার প্রোবটি সূর্যের মাত্র ৩৮ লাখ মাইল দূরে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে! উল্লেখ্য পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব ২ লাখ ৩৮ হাজার মাইল (২,৩৮,৮৫৫ মাইল)।
ইতিহাসে সূর্যের সর্বনিম্ন দূরত্বে পৌঁছে প্রোবটিকে সহ্য করতে হয়েছে ১ হাজার ৪০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। পাশাপাশি প্রচণ্ড বিকিরণেরও সম্মুখীন হতে হয়েছে এই মহাকাশযানটিকে। এমন প্রতিকূল পরিবেশ সাধারণ মহাকাশযান পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তবে সোলার প্রোবে রয়েছে ১১.৫ সেন্টিমিটার (৪.৫ ইঞ্চি) পুরু কার্বন-মিশ্রিত একটি ঢাল বা পর্দা- যেটা সূর্যের প্রচণ্ড তাপ ও বিকিরণ থেকে মহাকাশযানটিকে সুরক্ষিত রেখেছে।

সূর্যের এত কাছে গিয়েও ফিরে আসা যায়! সত্যিই বিস্ময়ের। এমনটা এর আগে হয়তো নাসার বিজ্ঞানীরাও ভাবতে পারেননি। তবে না ভাবলেও নাসার মহাকাশযান ‘পার্কার সোলার প্রোব’ ঠিক সেটাই করে দেখাল।
মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছতে পেরেছে এই মহাকাশযান। শুধু যে পৌঁছতে পেরেছে তাই-ই নয়, মহাকাশযানটি সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডল থেকে অক্ষত অবস্থায় সফলভাবে ফিরেও আসতে পেরেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসার একটি মহাকাশযান গতকাল শুক্রবার (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টার দিকে) সফলভাবে সূর্যের কাছাকাছি যেতে সক্ষম হয়েছে। মহাকাশযানটির নাম ‘পার্কার সোলার প্রোব’। এর আগে আর কোনো মহাকাশযান সূর্যের এত কাছাকাছি যেতে পারেনি।
প্রশ্ন হচ্ছে মহাকাশযানটি সূর্যের কত কাছে পৌঁছতে পেরেছিল? নাসা জানাচ্ছে, সোলার প্রোবটি যেখানে পৌঁছতে পেরেছে সেখান থেকে সূর্য পৃষ্ঠের দূরত্ব ৩৮ লাখ মাইল (৬১ লাখ কিলোমিটার)। অর্থাৎ, সূর্যের ৩৮ লাখ মাইলের মধ্যে যেতে পেরেছে এই মহাকাশযানটি।
গত ২৪ ডিসেম্বর সোলার প্রোবটি সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার পর প্রতিকূল পরিবেশের কারণে নাসার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় (জিএমটি সময় সকাল ৫টা) বিজ্ঞানীরা ‘পার্কার সোলার প্রোব’ থেকে একটি সিগন্যাল পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
এর অর্থ হচ্ছে সূর্যের সবচেয়ে কাছে গিয়ে এর প্রচণ্ড তাপ ও চরম বিকিরণ সহ্য করেও অক্ষত অবস্থায় ফিরে আসতে পেরেছে মহাকাশযানটি। নাসা জানিয়েছে, মহাকাশযানটি নিরাপদ আছে এবং স্বাভাবিকভাবে কাজও করছে।
নাসার তথ্য অনুযায়ী, প্রোবটির একটি ‘আলোক সংকেত’ যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের লরেল শহরে অবস্থিত জনস হপকিনস অ্যাপ্লায়েড ফিজিকস ল্যাবরেটরিতে (এপিএল) এসে পৌঁছেছে। এখান থেকে প্রোবটি পরিচালনা করা হচ্ছে।
পার্কার সোলার প্রোব ঘণ্টায় প্রায় ৪ লাখ ৩০ হাজার মাইল গতিতে গত মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সূর্যের দিকে ছুটতে শুরু করে। এ সময় প্রোবটিকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮০০ ফারেনহাইট বা ৯৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে হয়েছে। এসব প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে অবশেষে তা বাংলাদেশ সময় গতকাল বেলা ১১টার দিকে সূর্যপৃষ্ঠের প্রায় ৩৮ লাখ মাইল কাছাকাছি পৌঁছাতে সক্ষম হয়।
মহাকাশযানটির প্রোগ্রাম এমন করে ঠিক করা ছিল, তা যদি সফলভাবে সূর্যের কাছাকাছি প্রত্যাশিত স্থানে পৌঁছাতে পারে, তা হলে একটি আলোক সংকেত পাঠাবে। এই সংকেতের জন্যই নাসার বিজ্ঞানীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন।
পার্কার সোলার প্রোব সূর্যের এতটা কাছাকাছি যাওয়ার ফলে এই নক্ষত্র সম্পর্কে নতুন তথ্য জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এসব তথ্য সূর্যের চারপাশের অতি উত্তপ্ত অঞ্চলকে বুঝতে এবং সৌরবায়ুর উৎস শনাক্ত করতে বিজ্ঞানীদের সহায়তা করবে।
প্রোবটি সূর্যের কতটা কাছে পৌঁছতে পেরেছে এ সম্পর্কে নাসার হেড অব সায়েন্স ডা. নিকোলা ফক্স বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা সূর্য থেকে ৯ কোটি ৩০ লাখ মাইল দূরে আছি। যদি আমি সূর্য ও পৃথিবীকে এক মিটার দূরত্বে রাখি, তবে পার্কার সোলার প্রোব সূর্য থেকে মাত্র চার সেন্টিমিটার দূরে। তাই এটি সত্যিই খুব কাছাকাছি।’
অর্থাৎ, পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব যেখানে ৯ কোটি ৩০ লাখ মাইল, সেখানে নাসার পার্কার সোলার প্রোবটি সূর্যের মাত্র ৩৮ লাখ মাইল দূরে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে! উল্লেখ্য পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব ২ লাখ ৩৮ হাজার মাইল (২,৩৮,৮৫৫ মাইল)।
ইতিহাসে সূর্যের সর্বনিম্ন দূরত্বে পৌঁছে প্রোবটিকে সহ্য করতে হয়েছে ১ হাজার ৪০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। পাশাপাশি প্রচণ্ড বিকিরণেরও সম্মুখীন হতে হয়েছে এই মহাকাশযানটিকে। এমন প্রতিকূল পরিবেশ সাধারণ মহাকাশযান পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তবে সোলার প্রোবে রয়েছে ১১.৫ সেন্টিমিটার (৪.৫ ইঞ্চি) পুরু কার্বন-মিশ্রিত একটি ঢাল বা পর্দা- যেটা সূর্যের প্রচণ্ড তাপ ও বিকিরণ থেকে মহাকাশযানটিকে সুরক্ষিত রেখেছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, দক্ষ ও আধা দক্ষ শ্রমিকসহ বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা সুবিধা পুনরায় চালু করতে বাহরাইনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন কাতারের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের ওপর যেকোনো হুমকির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দৃঢ় সংহতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ইসির নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নিবন্ধন শেষ হলে সেই তথ্য সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চলে যাবে। তাদের মাধ্যমে পৃথক ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হবে। এরপর নির্ধারিত সময়ে ভোটারের ঠিকানায় তিন খামের ভেতর ব্যালট পাঠানো হবে।
সভায় জানানো হয়, দেশের মোট কর্মসংস্থানের উল্লেখযোগ্য অংশ কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্পে হলেও জাতীয় অর্থনীতিতে এর অবদান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছেনি। এ পরিপ্রেক্ষিতে, ব্যাপক সম্ভাবনাময় এ খাতের প্রসারে চলতি অর্থবছরে পিকেএসএফ মোট ৪ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।