বিডিজেন ডেস্ক
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার শরিফপুর গ্রামের বাসিন্দা বেলাল হোসেন। তিনি মালয়েশিয়াপ্রবাসী। দীর্ঘ ৩ বছর পর দেশে এসেছেন। গতকাল শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় রাজধানী ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁর ফ্লাইট অবতরণ করে। এরপর প্রাইভেট কার ভাড়া করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ফাল্গুনকরা মাজার এলাকায় একদল ডাকাত বেলাল হোসেনের সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছে।
খবর প্রথম আলোর।
ওই প্রবাসীর ইচ্ছা ছিল, এবারের ঈদটা পরিবারের সঙ্গে আনন্দে কাটাবেন। কিন্তু বিমানবন্দর থেকে বাড়িতে ফেরার আগেই ডাকাতেরা যেন তাঁর স্বপ্ন লুটে নিয়েছে।
শুধু বেলাল হোসেনই নন, ২ দিন আগে একই স্থানে আরও ১ প্রবাসী একই কায়দায় ডাকাতির শিকার হয়েছেন। ওই প্রবাসীর নাম নাইমুল ইসলাম। তিনি চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার উত্তর সোনাপাহাড় গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে। নাইমুল কুয়েতে থাকেন। দীর্ঘ ১৯ মাস পর তিনিও ঈদ করতে দেশে এসেছেন। গত বুধবার রাত ১১টায় তাঁর ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তাঁকে নিতে তাঁর বাবা আবুল খায়ের ও নিকটাত্মীয় নুরুল ইসলাম বিমানবন্দরে এসেছিলেন। তাঁরা একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। ভোরে মাইক্রোবাসটি চৌদ্দগ্রামের ফাল্গুনকরা মাজার এলাকায় এলে একদল ডাকাত নাইমুলের সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছে। তিনি যখন বাড়িতে ফেরেন, শেষ পর্যন্ত কিছুই তাঁর সঙ্গে ছিল না।
মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে একই স্থানে প্রবাসীর গাড়িতে ২টি ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফাল্গুনকরা মাজার এলাকা চৌদ্দগ্রাম থানা থেকে মাত্র ৫০০ গজ দূরে। হাইওয়ে পুলিশ বলছে, ডাকাতদের ধরতে মাঠে রয়েছে পুলিশ। ২টি ডাকাতির ঘটনা প্রায় একই ধরনের বলে জানিয়েছে তারা।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী বেলাল হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার রাত ১০টায় বিমানবন্দরে নামার পর রাত আড়াইটার দিকে তিনি বিমানবন্দর থেকে প্রাইভেট কার ভাড়া করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা করেন। তাঁকে আনতে বিমানবন্দরে যান তাঁর ভগ্নিপতি ইসলাম হোসেন। আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তাঁদের গাড়িটি ফাল্গুনকরা এলাকায় পৌঁছালে ৭-৮ জনের ডাকাত দল পিকআপ ভ্যানে এসে তাঁদের আটকায়। ডাকাতদের পিকআপ ভ্যানটি তাঁদের প্রাইভেট কারটিকে ধাক্কা দেয়। ডাকাত দল পিকআপ থেকে নেমে অস্ত্রের মুখে বেলাল হোসেনসহ তাঁর ভগ্নিপতিকে জিম্মি করে ৫টি মুঠোফোন, ১ ভরি সোনার গয়না, ৩ হাজার মালয়েশিয়ান রিংগিত (প্রায় সাড়ে ৮২ হাজার টাকা), চার প্যাকেট মালামাল লুট নিয়ে যায়। সব মিলিয়ে প্রায় ৬ লাখ টাকা ক্ষতির শিকার হয়েছেন বেলাল।
বেলাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ডাকাত দল পিকআপ থেকে নেমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাদের ভাড়া করা প্রাইভেট কারটিতে আঘাত করে ভাঙচুর করে। পরে আমাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমার সব মালামাল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় ডাকাতেরা আমার পাসপোর্টটিও কেড়ে নিয়েছিল। পরে আমি অনেক আকুতি জানিয়ে ডাকাত দলের কাছ থেকে পাসপোর্টটি ফেরত নিয়েছি।’
আক্ষেপ করে বেলাল বলেন, ‘গত ৩ বছর ধরে প্রবাসে। অনেকগুলো ঈদ পরিবারের সঙ্গে করতে পারিনি। ভেবেছিলাম, এবারের ঈদটা পরিবারের সঙ্গে আনন্দে করতে পারব। সে জন্য ছুটি পেয়েই শুক্রবার রাতে দেশে আসি। কিন্তু ডাকাত দল আমার কষ্টার্জিত সবকিছু নিয়ে গেছে। এ দেশে মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই। যেই প্রবাসীদের টাকায় দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরে, সেই প্রবাসীরা একের পর এক ডাকাতির শিকার হচ্ছে। বিদেশে এত কষ্ট করে দেশের জন্য টাকা পাঠাই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ডাকাতের কবলে পড়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে শূন্য হাতে।’
আজ দুপুরে চৌদ্দগ্রামের মিয়ার বাজার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, বিমানবন্দর থেকেই ওই প্রবাসীকে ফলো করেছে ডাকাত দল। একই স্থানে হওয়া দুটি ঘটনার ধরনও প্রায় একই। মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে শুক্রবার সারা রাত আমাদের একাধিক টিম মহাসড়কে ছিল। চৌদ্দগ্রাম থানা-পুলিশ এবং আমাদের হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি স্যার নিজেও টিম নিয়ে হাইওয়েতে ছিলেন। এরপরও ভোরে এক ফাঁকে এমন ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সঙ্গে চালকও জড়িত থাকতে পারেন। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। অতিরিক্ত ডিআইজি স্যার সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে আছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি স্যারও ঘটনাস্থলে আসছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা ডাকাতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।’
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপারের পদে থাকা অতিরিক্ত ডিআইজি খাইরুল আলম বলেন, ‘চৌদ্দগ্রামে মহাসড়কে প্রবাসীর গাড়িতে ডাকাতির সংবাদ পেয়ে আমি নিজেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে এসেছি। প্রবাসীর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। ডাকাত দলকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। পাশাপাশি মহাসড়কে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হচ্ছে।’
এদিকে বৃহস্পতিবারের ডাকাতির ঘটনায় প্রবাসী নাইমুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৮ থেকে ১০ জন ডাকাতের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা করেছেন। নাইমুল ইসলাম বলেন, সকাল ৬টা ২০ মিনিটে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ফাল্গুনকরা মাজার এলাকায় তাঁদের মাইক্রোবাসে ডাকাতেরা হামলা করে। পেছন থেকে ত্রিপল মোড়ানো একটি পিকআপ ভ্যান বাঁ দিক দিয়ে প্রবেশ করে তাঁদের মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। মুখোশ পরিহিত ৮-১০ জনের ডাকাত দল হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে নেমে মাইক্রোবাসটির দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে অস্ত্রের মুখে তাঁকে, তাঁর বাবা আবুল খায়ের ও নিকটাত্মীয় নুরুল ইসলামকে জিম্মি করে ৩টি কার্টনে আনা সব মালামাল, একটি লাগেজ থাকা দুই ভরি সোনার গয়না, নগদ টাকা, কুয়েতি দিনার লুট করে নিয়ে যায় ডাকাত দল।
সূত্র: প্রথম আলো
আরও পড়ুন
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার শরিফপুর গ্রামের বাসিন্দা বেলাল হোসেন। তিনি মালয়েশিয়াপ্রবাসী। দীর্ঘ ৩ বছর পর দেশে এসেছেন। গতকাল শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় রাজধানী ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁর ফ্লাইট অবতরণ করে। এরপর প্রাইভেট কার ভাড়া করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ফাল্গুনকরা মাজার এলাকায় একদল ডাকাত বেলাল হোসেনের সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছে।
খবর প্রথম আলোর।
ওই প্রবাসীর ইচ্ছা ছিল, এবারের ঈদটা পরিবারের সঙ্গে আনন্দে কাটাবেন। কিন্তু বিমানবন্দর থেকে বাড়িতে ফেরার আগেই ডাকাতেরা যেন তাঁর স্বপ্ন লুটে নিয়েছে।
শুধু বেলাল হোসেনই নন, ২ দিন আগে একই স্থানে আরও ১ প্রবাসী একই কায়দায় ডাকাতির শিকার হয়েছেন। ওই প্রবাসীর নাম নাইমুল ইসলাম। তিনি চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার উত্তর সোনাপাহাড় গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে। নাইমুল কুয়েতে থাকেন। দীর্ঘ ১৯ মাস পর তিনিও ঈদ করতে দেশে এসেছেন। গত বুধবার রাত ১১টায় তাঁর ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তাঁকে নিতে তাঁর বাবা আবুল খায়ের ও নিকটাত্মীয় নুরুল ইসলাম বিমানবন্দরে এসেছিলেন। তাঁরা একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। ভোরে মাইক্রোবাসটি চৌদ্দগ্রামের ফাল্গুনকরা মাজার এলাকায় এলে একদল ডাকাত নাইমুলের সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছে। তিনি যখন বাড়িতে ফেরেন, শেষ পর্যন্ত কিছুই তাঁর সঙ্গে ছিল না।
মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে একই স্থানে প্রবাসীর গাড়িতে ২টি ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফাল্গুনকরা মাজার এলাকা চৌদ্দগ্রাম থানা থেকে মাত্র ৫০০ গজ দূরে। হাইওয়ে পুলিশ বলছে, ডাকাতদের ধরতে মাঠে রয়েছে পুলিশ। ২টি ডাকাতির ঘটনা প্রায় একই ধরনের বলে জানিয়েছে তারা।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী বেলাল হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার রাত ১০টায় বিমানবন্দরে নামার পর রাত আড়াইটার দিকে তিনি বিমানবন্দর থেকে প্রাইভেট কার ভাড়া করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা করেন। তাঁকে আনতে বিমানবন্দরে যান তাঁর ভগ্নিপতি ইসলাম হোসেন। আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তাঁদের গাড়িটি ফাল্গুনকরা এলাকায় পৌঁছালে ৭-৮ জনের ডাকাত দল পিকআপ ভ্যানে এসে তাঁদের আটকায়। ডাকাতদের পিকআপ ভ্যানটি তাঁদের প্রাইভেট কারটিকে ধাক্কা দেয়। ডাকাত দল পিকআপ থেকে নেমে অস্ত্রের মুখে বেলাল হোসেনসহ তাঁর ভগ্নিপতিকে জিম্মি করে ৫টি মুঠোফোন, ১ ভরি সোনার গয়না, ৩ হাজার মালয়েশিয়ান রিংগিত (প্রায় সাড়ে ৮২ হাজার টাকা), চার প্যাকেট মালামাল লুট নিয়ে যায়। সব মিলিয়ে প্রায় ৬ লাখ টাকা ক্ষতির শিকার হয়েছেন বেলাল।
বেলাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ডাকাত দল পিকআপ থেকে নেমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাদের ভাড়া করা প্রাইভেট কারটিতে আঘাত করে ভাঙচুর করে। পরে আমাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমার সব মালামাল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় ডাকাতেরা আমার পাসপোর্টটিও কেড়ে নিয়েছিল। পরে আমি অনেক আকুতি জানিয়ে ডাকাত দলের কাছ থেকে পাসপোর্টটি ফেরত নিয়েছি।’
আক্ষেপ করে বেলাল বলেন, ‘গত ৩ বছর ধরে প্রবাসে। অনেকগুলো ঈদ পরিবারের সঙ্গে করতে পারিনি। ভেবেছিলাম, এবারের ঈদটা পরিবারের সঙ্গে আনন্দে করতে পারব। সে জন্য ছুটি পেয়েই শুক্রবার রাতে দেশে আসি। কিন্তু ডাকাত দল আমার কষ্টার্জিত সবকিছু নিয়ে গেছে। এ দেশে মানুষের কোনো নিরাপত্তা নেই। যেই প্রবাসীদের টাকায় দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরে, সেই প্রবাসীরা একের পর এক ডাকাতির শিকার হচ্ছে। বিদেশে এত কষ্ট করে দেশের জন্য টাকা পাঠাই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ডাকাতের কবলে পড়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে শূন্য হাতে।’
আজ দুপুরে চৌদ্দগ্রামের মিয়ার বাজার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, বিমানবন্দর থেকেই ওই প্রবাসীকে ফলো করেছে ডাকাত দল। একই স্থানে হওয়া দুটি ঘটনার ধরনও প্রায় একই। মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে শুক্রবার সারা রাত আমাদের একাধিক টিম মহাসড়কে ছিল। চৌদ্দগ্রাম থানা-পুলিশ এবং আমাদের হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি স্যার নিজেও টিম নিয়ে হাইওয়েতে ছিলেন। এরপরও ভোরে এক ফাঁকে এমন ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সঙ্গে চালকও জড়িত থাকতে পারেন। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। অতিরিক্ত ডিআইজি স্যার সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে আছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি স্যারও ঘটনাস্থলে আসছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা ডাকাতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।’
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপারের পদে থাকা অতিরিক্ত ডিআইজি খাইরুল আলম বলেন, ‘চৌদ্দগ্রামে মহাসড়কে প্রবাসীর গাড়িতে ডাকাতির সংবাদ পেয়ে আমি নিজেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে এসেছি। প্রবাসীর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। ডাকাত দলকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। পাশাপাশি মহাসড়কে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হচ্ছে।’
এদিকে বৃহস্পতিবারের ডাকাতির ঘটনায় প্রবাসী নাইমুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৮ থেকে ১০ জন ডাকাতের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা করেছেন। নাইমুল ইসলাম বলেন, সকাল ৬টা ২০ মিনিটে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ফাল্গুনকরা মাজার এলাকায় তাঁদের মাইক্রোবাসে ডাকাতেরা হামলা করে। পেছন থেকে ত্রিপল মোড়ানো একটি পিকআপ ভ্যান বাঁ দিক দিয়ে প্রবেশ করে তাঁদের মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। মুখোশ পরিহিত ৮-১০ জনের ডাকাত দল হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে নেমে মাইক্রোবাসটির দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে অস্ত্রের মুখে তাঁকে, তাঁর বাবা আবুল খায়ের ও নিকটাত্মীয় নুরুল ইসলামকে জিম্মি করে ৩টি কার্টনে আনা সব মালামাল, একটি লাগেজ থাকা দুই ভরি সোনার গয়না, নগদ টাকা, কুয়েতি দিনার লুট করে নিয়ে যায় ডাকাত দল।
সূত্র: প্রথম আলো
আরও পড়ুন
ইরানের রাজধানী তেহরানে গত সোমবার (১৬ জুন) ইসরায়েলের হামলায় সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত কর্মকর্তাদের বাসভবনও আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত একজন কর্মকর্তার বাড়িঘর ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে হামলার সময় ওই কর্মকর্তা বাড়িতে না থাকায় প্রাণে বেঁচে গেছেন।
ইরানে ইসরায়েলি হামলার মধ্যে নিরাপত্তা শঙ্কায় দেশটির রাজধানী তেহরান থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নিষিদ্ধ করার সুযোগ তৈরি করে আইন সংশোধনের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক।
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে আজ মঙ্গলবারও (১৭ জুন) সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন সরকারি কর্মচারীরা।