ফারহানা আহমেদ লিসা, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র
সাম্প্রতিককালে আমার বাসায় দুজন সদস্য যুক্ত হয়েছে। জুডো ও এ্যারিজোনা ( এই নাম নিয়েই দুই ভাই–বোন বিড়াল এসেছে)। বহু দিন ধরেই তাদের নতুন নামকরণ করা হবে শুনছি। পৃথিবীতে এত এত নামধাম থাকতেও এই রাজপুত্র ও রাজকন্যার নাম পাওয়া যাচ্ছে না। বললাম বাবা–মা, পুডিং আর কাপ কেক রেখে দে। ঝামেলা শেষ। শুনতেই আমার পুত্র–কন্যা তেড়ে মেড়ে এলো, মা ওরা ফুড না। তুমি অবশ্যই এসব উল্টা–পাল্টা নাম সাজেস্ট করবে না।
তাদের ফুড ক্যানে পাওয়া যায়। সুতরাং ঝামেলা শেষ। তখন বুঝিনি ঝামেলার আসলে শুরু সেটা। ওজন মেপে এক কাপের বেশি খাওয়া তাদের দেওয়া যাবে না। আমার জীবনেও পেট ছিল না। এই দুই বিড়াল শিশুর করুণ চেহারা দেখে একটু আধটু বেশি খাবার দিই। এক সপ্তাহ পরে দেখি ওজন করে বিড়াল ভেটের সঙ্গে কথা বলে আগুন চোখে দুই ভাইবোন দাঁড়ানো সাতসকালে আমার জন্য। আমি দ্বিতীয় কাপ হাতে নিতেই ওরা বিড়ালের প্লেট সরিয়ে নিয়ে গেল, এর বেশি খাবার দিবে না মা।
রাগ করে ম্যাটের ওপর ওদের খাবার দিলাম, জায়গায় বিড়ালদের খাবার দেবার কাজ থেকে ফায়ার্ড হলাম। আমি নাকি ওদের ডায়াবেটিস, হার্ট ডিজিজ আর আর্থরাইটিস করার চেষ্টা করছি। আমিও তেড়েমেড়ে বললঅম, তোরা ভেটের কাছ থেকে লিখিত নিউট্রিশনের কাগজ এনে দেখা।
যাক বিড়াল বাচ্চাদের ফুড সার্ভিং চাকরি থেকে ফায়ার হওয়ার পরদিন আবার চাকরিতে বহাল হলাম। নানাবিধ কারণ। বাচ্চারা তাদের রুমের দরজা বন্ধ করে ঘুমায়। আমার অভ্যাস দরজা খোলা রাখা। এক দিন বন্ধ রাখলাম। রাত ্টায় এ্যারিজোনা পা দিয়ে বাড়ি দিল দরজায়, মা–মা খোল। প্লাস সকাল সাড়ে ৬টায় কে উঠে প্রত্যেক দিন খাওয়াবে ওদের? ছেলেমেয়ে তো আমার মতোই রাত জাগে পারলে।
বিড়াল বাচ্চা দুটির ঘাড়ে চিপ আছে। ওরা স্পে, নিউটার করা। হিউম্যান সোসাইটি বলে দিয়েছে যদি আমরা কোনো কারণে ওদের দেখাশোনা না করতে চাই ওরা ফিরিয়ে নেবে ওদের বিড়াল, কোনো প্রশ্ন করা ছাড়া।
এই মানবিকতা আমেরিকানদের জন্য নতুন নয়। ক্যালিফোর্নিয়াতে নিজেকে কখনো ইমিগ্র্যান্ট মনে হয়নি নিজেকে। মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়ায়। হাত বাড়িয়ে দেয় সাহায্যে। আমার মালি স্প্যানিশ, বাসা পরিষ্কারের লোক ষ্প্যানিশ, সবচেয়ে কাছের বন্ধুরা বাংলাদেশি, চাইনিজ, ফিলিপিনো, জাপানি, সাদা–কালো। নিজের পরিবার কাছে নাই, ওরা আছে। অসুস্থ হলে ওরা দেখে, ওদের কিছু হলে আমি যাই।
এ রকম পরিবারকে নিজের কাছে রাখতে শান্তিপূর্ণ প্রটেস্ট সফল হোক লস অ্যান্জেলেস শহরে। নাশকতা দূর হোক। পাশের মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে ইন্টার ডিপেন্ডেড দুনিয়ায় আমারা বেঁচে থাকি এটুকু আশা।
সাম্প্রতিককালে আমার বাসায় দুজন সদস্য যুক্ত হয়েছে। জুডো ও এ্যারিজোনা ( এই নাম নিয়েই দুই ভাই–বোন বিড়াল এসেছে)। বহু দিন ধরেই তাদের নতুন নামকরণ করা হবে শুনছি। পৃথিবীতে এত এত নামধাম থাকতেও এই রাজপুত্র ও রাজকন্যার নাম পাওয়া যাচ্ছে না। বললাম বাবা–মা, পুডিং আর কাপ কেক রেখে দে। ঝামেলা শেষ। শুনতেই আমার পুত্র–কন্যা তেড়ে মেড়ে এলো, মা ওরা ফুড না। তুমি অবশ্যই এসব উল্টা–পাল্টা নাম সাজেস্ট করবে না।
তাদের ফুড ক্যানে পাওয়া যায়। সুতরাং ঝামেলা শেষ। তখন বুঝিনি ঝামেলার আসলে শুরু সেটা। ওজন মেপে এক কাপের বেশি খাওয়া তাদের দেওয়া যাবে না। আমার জীবনেও পেট ছিল না। এই দুই বিড়াল শিশুর করুণ চেহারা দেখে একটু আধটু বেশি খাবার দিই। এক সপ্তাহ পরে দেখি ওজন করে বিড়াল ভেটের সঙ্গে কথা বলে আগুন চোখে দুই ভাইবোন দাঁড়ানো সাতসকালে আমার জন্য। আমি দ্বিতীয় কাপ হাতে নিতেই ওরা বিড়ালের প্লেট সরিয়ে নিয়ে গেল, এর বেশি খাবার দিবে না মা।
রাগ করে ম্যাটের ওপর ওদের খাবার দিলাম, জায়গায় বিড়ালদের খাবার দেবার কাজ থেকে ফায়ার্ড হলাম। আমি নাকি ওদের ডায়াবেটিস, হার্ট ডিজিজ আর আর্থরাইটিস করার চেষ্টা করছি। আমিও তেড়েমেড়ে বললঅম, তোরা ভেটের কাছ থেকে লিখিত নিউট্রিশনের কাগজ এনে দেখা।
যাক বিড়াল বাচ্চাদের ফুড সার্ভিং চাকরি থেকে ফায়ার হওয়ার পরদিন আবার চাকরিতে বহাল হলাম। নানাবিধ কারণ। বাচ্চারা তাদের রুমের দরজা বন্ধ করে ঘুমায়। আমার অভ্যাস দরজা খোলা রাখা। এক দিন বন্ধ রাখলাম। রাত ্টায় এ্যারিজোনা পা দিয়ে বাড়ি দিল দরজায়, মা–মা খোল। প্লাস সকাল সাড়ে ৬টায় কে উঠে প্রত্যেক দিন খাওয়াবে ওদের? ছেলেমেয়ে তো আমার মতোই রাত জাগে পারলে।
বিড়াল বাচ্চা দুটির ঘাড়ে চিপ আছে। ওরা স্পে, নিউটার করা। হিউম্যান সোসাইটি বলে দিয়েছে যদি আমরা কোনো কারণে ওদের দেখাশোনা না করতে চাই ওরা ফিরিয়ে নেবে ওদের বিড়াল, কোনো প্রশ্ন করা ছাড়া।
এই মানবিকতা আমেরিকানদের জন্য নতুন নয়। ক্যালিফোর্নিয়াতে নিজেকে কখনো ইমিগ্র্যান্ট মনে হয়নি নিজেকে। মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়ায়। হাত বাড়িয়ে দেয় সাহায্যে। আমার মালি স্প্যানিশ, বাসা পরিষ্কারের লোক ষ্প্যানিশ, সবচেয়ে কাছের বন্ধুরা বাংলাদেশি, চাইনিজ, ফিলিপিনো, জাপানি, সাদা–কালো। নিজের পরিবার কাছে নাই, ওরা আছে। অসুস্থ হলে ওরা দেখে, ওদের কিছু হলে আমি যাই।
এ রকম পরিবারকে নিজের কাছে রাখতে শান্তিপূর্ণ প্রটেস্ট সফল হোক লস অ্যান্জেলেস শহরে। নাশকতা দূর হোক। পাশের মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে ইন্টার ডিপেন্ডেড দুনিয়ায় আমারা বেঁচে থাকি এটুকু আশা।
গণতন্ত্রের শক্তি: ক্ষমতার উৎস জনগণ—এই ধারণা এখনো বিশ্বের বহু দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ফরাসি বিপ্লব দেখিয়েছে, শোষণের বিরুদ্ধে সংগঠিত জনগণই পারে শাসকের ভাগ্য নির্ধারণ করতে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম ছাড়াও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো আমার প্রিয় একটা স্বভাব। সেটা কোনো মেলা হোক, গ্র্যাজুয়েশন পার্টি হোক বা হোক কোনো হাসপাতালের কক্ষ।
ভালোবাসার এই দেশে মাহমুদ খলিল, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ষ্টুডেন্ট অ্যাকটিভিস্ট মানে ক্যাম্পাসে লিড নেগেশিয়েটর, প্রো প্যালেস্টাইন। তাঁর যুক্তরাষ্ট্রে থাকার লিগ্যাল রাইট আছে। কিন্তু তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর স্ত্রী সন্তানসম্ভাবা।
এই মানবিকতা আমেরিকানদের জন্য নতুন নয়। ক্যালিফোর্নিয়াতে নিজেকে কখনো ইমিগ্র্যান্ট মনে হয়নি নিজেকে। মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়ায়। হাত বাড়িয়ে দেয় সাহায্যে।