নুরুল ইসলাম, কায়রো, মিসর
মিসরের রাজধানী কায়রোয় বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ২৬ মার্চ যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এদিন প্রত্যুষে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করার মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি সূচিত হয়।
রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত সহকারে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করেন। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিল।
পরে দূতাবাসের সম্মেলন কক্ষে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদ, নির্ধাতিতা মা-বোন, জুলাই-আগস্টে শহীদের জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার পাঠানো বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মিসরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ। সবশেষে দিবসটি উপলক্ষে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ তাঁর বক্তব্যে উপস্থিত সবাইকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল বীর শহীদ, সম্ভ্রম হারানো মা–বোনদের প্রতি তাঁর অশেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি জুলাইয় গণঅভ্যুত্থানে শহীদ এবং আহতদের স্মরণ করেন।
সামিনা নাজ তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, ‘১৯৪৭ থেকে দীর্ঘ ২৪ বছরে সংগঠিত বিভিন্ন আন্দোলন–সংগ্রাম চূড়ান্ত রূপ লাভ করে আমাদের ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতাযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি আমাদের চূড়ান্ত বিজয়।’
রাষ্ট্রদূত ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ সংঘটিত ঘৃণ্যতম গণহত্যার বিষয় আলোকপাত করে বলেন, ‘এই গণহত্যা ছিল বাংলাদেশকে নেতৃত্ব এবং মেধাশূণ্য করার এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র।’
সামিনা নাজ বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান অগ্রযাত্রার বিষয়ে আলোকপাত করেন। বর্তমানে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৩ ভাগ। বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার জন্য আগামী মাসে আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ সামিট। পবিত্র হজ সম্পাদনের জন্য সৌদি আরব যাত্রাসহ আরব দেশগুলো ভ্রমণে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বিমান ভাড়া কমানোর কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণের বিষয়ে এগিয়ে চলেছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বৈষম্যহীন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান সরকারের অগ্রযাত্রাকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য সবাইকে স্বীয় ভূমিকা যথাযথভাবে পালনের আহ্বান জানান। তিনি আন্তর্জাতিক শান্তির প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকারের ব্যাপারে আলোকপাত করে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ মিসর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মিসর সফর এবং পরবর্তীতে পররাষ্ট্রসচিব নেতৃত্বে বাংলাদেশ মিসর দ্বিতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশনের মাধ্যমে সম্পর্ক জোরদারকরণ এবং সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হয়েছে।’
মিসরে এ বছর রমজানের পবিত্রতা বজায় রেখে সীমিত পরিসরে দূতাবাস প্রাঙ্গণে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়।
দূতাবাস থেকে জানানো হয়, রমজান এবং ঈদ পরবর্তী সময়ে মিসর সরকারের মন্ত্রী, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, মিসর সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, কূটনৈতিক কমিউনিটির সম্মানিত সদস্য, মিসরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত বাংলাদেশি শিক্ষক ও কর্মকর্তা, মিসরে প্রসিদ্ধ বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, পেশাজীবী, শ্রমজীবীসহ বাংলাদেশি মিডিয়া ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান জমকালোভাবে উদযাপন করা হবে।
মিসরের রাজধানী কায়রোয় বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ২৬ মার্চ যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এদিন প্রত্যুষে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করার মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি সূচিত হয়।
রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত সহকারে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করেন। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিল।
পরে দূতাবাসের সম্মেলন কক্ষে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদ, নির্ধাতিতা মা-বোন, জুলাই-আগস্টে শহীদের জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার পাঠানো বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মিসরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ। সবশেষে দিবসটি উপলক্ষে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ তাঁর বক্তব্যে উপস্থিত সবাইকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল বীর শহীদ, সম্ভ্রম হারানো মা–বোনদের প্রতি তাঁর অশেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি জুলাইয় গণঅভ্যুত্থানে শহীদ এবং আহতদের স্মরণ করেন।
সামিনা নাজ তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, ‘১৯৪৭ থেকে দীর্ঘ ২৪ বছরে সংগঠিত বিভিন্ন আন্দোলন–সংগ্রাম চূড়ান্ত রূপ লাভ করে আমাদের ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতাযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি আমাদের চূড়ান্ত বিজয়।’
রাষ্ট্রদূত ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ সংঘটিত ঘৃণ্যতম গণহত্যার বিষয় আলোকপাত করে বলেন, ‘এই গণহত্যা ছিল বাংলাদেশকে নেতৃত্ব এবং মেধাশূণ্য করার এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র।’
সামিনা নাজ বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান অগ্রযাত্রার বিষয়ে আলোকপাত করেন। বর্তমানে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৩ ভাগ। বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার জন্য আগামী মাসে আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ সামিট। পবিত্র হজ সম্পাদনের জন্য সৌদি আরব যাত্রাসহ আরব দেশগুলো ভ্রমণে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বিমান ভাড়া কমানোর কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণের বিষয়ে এগিয়ে চলেছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বৈষম্যহীন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান সরকারের অগ্রযাত্রাকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য সবাইকে স্বীয় ভূমিকা যথাযথভাবে পালনের আহ্বান জানান। তিনি আন্তর্জাতিক শান্তির প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকারের ব্যাপারে আলোকপাত করে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ মিসর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মিসর সফর এবং পরবর্তীতে পররাষ্ট্রসচিব নেতৃত্বে বাংলাদেশ মিসর দ্বিতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশনের মাধ্যমে সম্পর্ক জোরদারকরণ এবং সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হয়েছে।’
মিসরে এ বছর রমজানের পবিত্রতা বজায় রেখে সীমিত পরিসরে দূতাবাস প্রাঙ্গণে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়।
দূতাবাস থেকে জানানো হয়, রমজান এবং ঈদ পরবর্তী সময়ে মিসর সরকারের মন্ত্রী, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, মিসর সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, কূটনৈতিক কমিউনিটির সম্মানিত সদস্য, মিসরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত বাংলাদেশি শিক্ষক ও কর্মকর্তা, মিসরে প্রসিদ্ধ বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, পেশাজীবী, শ্রমজীবীসহ বাংলাদেশি মিডিয়া ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান জমকালোভাবে উদযাপন করা হবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে রবীন্দ্র–নজরুল জয়ন্তী উদ্যাপন করা হয়েছে।
বাহরাইনের রাজধানী মানামায় বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীদের উপস্থিতিতে আনন্দমুথর পরিবেশে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের রাজধানী সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ফাগুন হাওয়া ফেস্ট ২০২৫’-এর দশম বর্ষপূর্তির জমকালো সংস্করণ। বর্ণাঢ্য এ উৎসবে রং, সুর, আলোর ঝলকানিতে যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছিল প্রবাসী বাংলাদেশিদের মন।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলস এখন চার দিনের সফরে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। তারা সিডনিপ্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসকদের এক বিশেষ আয়োজনে সংগীত পরিবেশন করবে। এরপরই দলটি আবার উড়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের চলমান বিশ্বভ্রমণসংগীত যাত্রা সম্পন্ন করতে।