
জাহিদ হোসেন জনি, কুয়েত থেকে

কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কার্যকর উদ্যোগের ফলে ভিসা দালালদের সিন্ডিকেটে ধস নেমেছে। এতে অসাধু নিয়োগকর্তাদের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে লাগাম পড়েছে।
এক সময় কুয়েতে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হতো না। শুধু ভিসা থাকলেই বাংলাদেশ দূতাবাসের সত্যায়ন ছাড়াই জনশক্তি থেকে অনুমোদন নিয়ে বাংলাদেশ কর্মী পাঠানো হতো। আর সেই সুযোগে গড়ে উঠেছিল ভয়াবহ দালাল চক্র।
দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ তারেক হোসেনের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তারা একের পর এক বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ায় এখন আর সেই দিন নেই।
রাষ্ট্রদূতের নির্দেশনায় বর্তমানে যেকোনো কোম্পানিকে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে হলে অবশ্যই দূতাবাস কর্তৃক নির্ধারিত প্রবাসী শ্রমিকবান্ধব শর্ত মেনে তবেই নিয়োগ দিতে হয়। ভিসা অনুমোদনের আগে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে শ্রমিকের সঙ্গে কমপক্ষে দুই বছরের চুক্তি, নির্ধারিত বেতন কাঠামো ও প্রবাসীদের প্রাপ্য সুযোগ–সুবিধা সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্রে স্বাক্ষর করতে হয়। তারপরই মিলছে দূতাবাসের সত্যায়ন।
এ ছাড়া, গৃহকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে শর্তসমূহ শ্রমিক বান্ধব করা হয়েছে। নিয়োগকর্তাকে সরাসরি দূতাবাসে এসে শ্রমিকের জন্য বেতন, ছুটি ও ভাতার নিশ্চয়তা দিয়ে স্বাক্ষর করতে হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের অবিচার বা প্রতারণা হলে তাকে আইনের আওতায় আনা যায়।
দূতাবাসের কঠোর নজরদারির আওতায় সম্প্রতি শ্রমিক নির্যাতনকারী কোম্পানি ওয়েল আল নসিফকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এই কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা ৩ থেকে ৬ মাসের চুক্তিতে শ্রমিক এনে তাদের কাছ থেকে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা অবৈধভাবে আদায় করত। এই ধরনের নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে, বাংলাদেশ দূতাবাস এখন প্রবাসী সুরক্ষায় বেশ তৎপর।
দূতাবাসের কর্মকর্তাদের এসব পদক্ষেপে দিশেহারা হয়ে পড়েছে দালাল চক্র। তারা প্রায়ই নানাভাবে দূতাবাসের কঠোর নিয়ম শিথিল করার অপচেষ্টায় মরিয়া হয়ে ওঠে। তবে রাষ্ট্রদূত স্পষ্ট করে দিয়েছেন বাংলাদেশি শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় দূতাবাসের কর্মকর্তারা কোনো ধরনের আপস করবেন না।
দূতাবাস প্রবাসীদের স্বার্থে আরও যেসব জনবান্ধব ও স্বচ্ছ কার্যক্রম চালু করেছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে–
* প্রতিমাসে গণশুনানি ও কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা
* দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নেমপ্লেট বাধ্যতামূলক করে পরিচয় নিশ্চিত করা
* দালাল শনাক্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে দেশে ফেরত পাঠানো
* ভিসা ও পাসপোর্ট প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা
* দূতাবাসের ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইট হালনাগাদ করে তথ্যসেবা বৃদ্ধি
* অভিযোগ বাক্স ও হটলাইন চালু রাখা
* মৃত প্রবাসীর মরদেহ সরকারি খরচে ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা
* দূতাবাসের দুর্নীতিপরায়ণ ও অযোগ্য কর্মচারীদের অব্যাহতি এবং যোগ্য জনবল নিয়োগ
* ন্যূনতম বেতন বৃদ্ধির দাবিতে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখা

কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কার্যকর উদ্যোগের ফলে ভিসা দালালদের সিন্ডিকেটে ধস নেমেছে। এতে অসাধু নিয়োগকর্তাদের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে লাগাম পড়েছে।
এক সময় কুয়েতে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হতো না। শুধু ভিসা থাকলেই বাংলাদেশ দূতাবাসের সত্যায়ন ছাড়াই জনশক্তি থেকে অনুমোদন নিয়ে বাংলাদেশ কর্মী পাঠানো হতো। আর সেই সুযোগে গড়ে উঠেছিল ভয়াবহ দালাল চক্র।
দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ তারেক হোসেনের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তারা একের পর এক বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ায় এখন আর সেই দিন নেই।
রাষ্ট্রদূতের নির্দেশনায় বর্তমানে যেকোনো কোম্পানিকে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে হলে অবশ্যই দূতাবাস কর্তৃক নির্ধারিত প্রবাসী শ্রমিকবান্ধব শর্ত মেনে তবেই নিয়োগ দিতে হয়। ভিসা অনুমোদনের আগে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে শ্রমিকের সঙ্গে কমপক্ষে দুই বছরের চুক্তি, নির্ধারিত বেতন কাঠামো ও প্রবাসীদের প্রাপ্য সুযোগ–সুবিধা সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্রে স্বাক্ষর করতে হয়। তারপরই মিলছে দূতাবাসের সত্যায়ন।
এ ছাড়া, গৃহকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে শর্তসমূহ শ্রমিক বান্ধব করা হয়েছে। নিয়োগকর্তাকে সরাসরি দূতাবাসে এসে শ্রমিকের জন্য বেতন, ছুটি ও ভাতার নিশ্চয়তা দিয়ে স্বাক্ষর করতে হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের অবিচার বা প্রতারণা হলে তাকে আইনের আওতায় আনা যায়।
দূতাবাসের কঠোর নজরদারির আওতায় সম্প্রতি শ্রমিক নির্যাতনকারী কোম্পানি ওয়েল আল নসিফকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এই কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা ৩ থেকে ৬ মাসের চুক্তিতে শ্রমিক এনে তাদের কাছ থেকে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা অবৈধভাবে আদায় করত। এই ধরনের নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে, বাংলাদেশ দূতাবাস এখন প্রবাসী সুরক্ষায় বেশ তৎপর।
দূতাবাসের কর্মকর্তাদের এসব পদক্ষেপে দিশেহারা হয়ে পড়েছে দালাল চক্র। তারা প্রায়ই নানাভাবে দূতাবাসের কঠোর নিয়ম শিথিল করার অপচেষ্টায় মরিয়া হয়ে ওঠে। তবে রাষ্ট্রদূত স্পষ্ট করে দিয়েছেন বাংলাদেশি শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় দূতাবাসের কর্মকর্তারা কোনো ধরনের আপস করবেন না।
দূতাবাস প্রবাসীদের স্বার্থে আরও যেসব জনবান্ধব ও স্বচ্ছ কার্যক্রম চালু করেছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে–
* প্রতিমাসে গণশুনানি ও কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা
* দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নেমপ্লেট বাধ্যতামূলক করে পরিচয় নিশ্চিত করা
* দালাল শনাক্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে দেশে ফেরত পাঠানো
* ভিসা ও পাসপোর্ট প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা
* দূতাবাসের ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইট হালনাগাদ করে তথ্যসেবা বৃদ্ধি
* অভিযোগ বাক্স ও হটলাইন চালু রাখা
* মৃত প্রবাসীর মরদেহ সরকারি খরচে ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা
* দূতাবাসের দুর্নীতিপরায়ণ ও অযোগ্য কর্মচারীদের অব্যাহতি এবং যোগ্য জনবল নিয়োগ
* ন্যূনতম বেতন বৃদ্ধির দাবিতে কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রাখা
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক নাজমুন নেসা পিয়ারিকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
উদ্যোগটির লক্ষ্য, প্রবাসীদের মধ্যে কৃষি ও বাগানচর্চার আগ্রহ বৃদ্ধি এবং স্থানীয় পরিবেশে উপযোগী উদ্ভিদ সরবরাহের মাধ্যমে একটি টেকসই উদ্যানতাত্ত্বিক নেটওয়ার্ক তৈরি করা।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, শুরুটা ছোট পরিসরে হলেও তাদের লক্ষ্য খুব শিগগিরই ফ্যাশন হাউসের কার্যক্রমের পরিধি বাড়িয়ে পুরো অস্ট্রেলিয়াজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়া। অনলাইন ও সরাসরি—দুই প্ল্যাটফর্মেই পাওয়া যাবে তাদের বৈচিত্র্যময় ফ্যাশন সংগ্রহ।
কনস্যুলেট সূত্র জানিয়েছে, এই সেবা চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত হটলাইনে ফোন এসেছে দুই লাখেরও বেশি। কল করা বেশির ভাগ প্রবাসীদের তাৎক্ষণিক তথ্য প্রদান করা হয়েছে। বাকিদেরও কনস্যুলেটের নির্দিষ্ট শাখায় সংযোগ প্রদানের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হয়েছে।