
কানাডার ক্যালগেরিতে বাঙালিদের প্রাচীনতম সংগঠন ‘ক্যালগেরি বঙ্গীয় পরিষদ’–এর উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলথ রাজ্যের সিডনিতে দর্পণ কালচারাল অ্যান্ড রিলিজিয়াস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজনে ধুমধাম করে অনুষ্ঠিত হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা্।
পুরাণমতে রাজা সুরথ প্রথম দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন। তিনি বসন্তে এই পূজার আয়োজন করায় একে বাসন্তী পূজা বলা হয়। কিন্তু রাবনের হাত থেকে সীতাকে উদ্ধার করতে লঙ্কা যাত্রার আগে রামচন্দ্র দেবীর পূজার আয়োজন করেন। শরৎকালে এই পূজা হয়। তাই এর নাম শারদীয় উৎসব।
পর্তুগালে বাংলাদেশি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উদ্যাপিত হয়েছে। বাংলাদেশি হিন্দু কমিউনিটি ইন পর্তুগাল অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এই পূজা আয়োজন করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন করেন।
শারদীয় দুর্গোৎসব ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রবাসীদের মাঝে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটিতে পূজা উদযাপন করছেন বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রবাসীরা।
জেনারেল ওয়াকার বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষ যেন উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারে, সেটি আমাদের মূল উদ্দেশ্য।
বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হলো আজ।আগামী ১৩ অক্টোবর রোববার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ৫ দিনব্যাপী এ উৎসবের।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। এই দেশ আমাদের সকলের। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশ সকল মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি।