রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি থানায় করা চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলায় জামিন পাওয়ার পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন গ্রেপ্তার মডেল মেঘনা আলম। আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্ত হন।
রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি থানায় করা চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার মডেল মেঘনা আলমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সানাউল্লাহ এ আদেশ দেন।
চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার মডেল মেঘনা আলমের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা রহমান এ আদেশ দেন।
মডেল মেঘনা আলমের সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য তলব করা হয়েছে। আজ সোমবার (২১ এপ্রিল) বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সব ব্যাংকের কাছে এই তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে।
মডেল মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে স্মারকলিপি দিয়েছেন আইনজীবী, অধিকারকর্মী, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশার ২৭ জন বিশিষ্ট নারী। রোববার (২০ এপ্রিল) স্মারকলিপিটি প্রধান উপদেষ্টাকে ই-মেইলে পাঠানো হয়।
শুধু সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আলদুহাইলানের সঙ্গেই সম্পর্ক ছিল বলে আদালতের কাছে দাবি করেছেন ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ ও মডেল মেঘনা আলম। তিনি বলেন, ব্যবসায়ী দেওয়ান সমিরকে তাঁর বন্ধু বলা হচ্ছে, যা সঠিক নয়। তিনি দেওয়ান সমিরকে চেনেন না।
‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ ও মডেল মেঘনা আলম এবং দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি মডেল থানায় দায়ের করা মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, তারা কূটনীতিকের কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার অর্থ দাবি করেছেন।
‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ ও মডেল মেঘনা আলমকে রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া।
চাঁদাবাজির মামলায় ব্যবসায়ী মো. দেওয়ান সমিরকে ৫ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। দেওয়ান সমির বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক মডেল মেঘনা আলমের পূর্বপরিচিত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিশেষ ক্ষমতা আইনে ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ ও মডেল মেঘনা আলমের আটকাদেশকে ফ্যাসিবাদী তৎপরতা ও স্বৈরাচারী আচরণের প্রকাশ বলে মনে করে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি।
বিশেষ ক্ষমতা আইনে ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ’ ও মডেল মেঘনা আলমকে আটকের পর কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। শুক্রবার ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ উদ্বেগ প্রকাশ করে সংগঠনটি।
সাবেক মিস আর্থ বাংলাদেশ ও মডেল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটকাদেশ দিয়ে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ডিবি পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ এ আদেশ দেন।
বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ে না তাঁর। প্রায়ই নিজের নানা উদ্ভট কর্মকাণ্ডের জন্য খবরের শিরোনামে থাকেন তিনি। কিছুদিন আগে তিনি খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন স্ত্রীর স্নানের ভিডিও পোস্ট করে।