নির্বাচন ছাড়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নয় বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি। এ কারণে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা জরুরি। এ ছাড়া, সরকার নির্ধারিত লক্ষ্য অনুযায়ী আগামী অর্থবছরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব নয় বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ ২ বছর ধরে বিশ্বব্যাংকের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ঝুঁকির ‘লাল শ্রেণি’তে রয়েছে। এই শ্রেণি মানে হচ্ছে, দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৫ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে রয়েছে, যা বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী বাংলাদেশে খাদ্যনিরাপত্তার জন্য এক বিরাট চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
চলতি ২০২৫ সালে বাংলাদেশে আরও ৩০ লাখ মানুষ ‘অতি গরিব’ হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। অতি দারিদ্র্যের হার বেড়ে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বর্ধিত শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর এই বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব নিয়ে বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন। এ কারণে সোনার দাম নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য হওয়া খাদ্যপণ্যের ওপর ভিত্তি করে মূল্যসূচক তৈরি করে থাকে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা। গত জানুয়ারিতে বিশ্বব্যাপী খাদ্যমূল্যের গড় সূচকমান ১২৪ দশমিক ৯ পয়েন্টে নির্ধারণ করেছে সংস্থাটি। ডিসেম্বরে যা ছিল ১২৭ পয়েন্ট।
বাংলাদেশের জন্য ২০২৫ সালে ৫টি বড় ঝুঁকি চিহ্নিত করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি মূল্যস্ফীতি। ডব্লিউইএফের বৈশ্বিক ঝুঁকি প্রতিবেদন ২০২৫–এ এমন তথ্য উঠে এসেছে। ১৫ জানুয়ারি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
ভয়েস অব আমেরিকা (ভিওএ) বাংলার এক জরিপে দেখা গেছে, অধিকাংশ মানুষ মনে করেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের চেয়ে খারাপ করছে অথবা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে।
গত জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্ক অতিক্রম করে।।
বাংলাদেশে আগের মাসের তুলনায় সেপ্টেম্বরে সাধারণ পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে মুদ্রাস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে। আগস্টে এ হার ছিল ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ।