বাসস, ঢাকা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের আসন্ন বাংলাদেশ সফর নিঃসন্দেহে দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করবে। গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকায় সৌদি দূতাবাস আয়োজিত সৌদি আরবের ৯৪তম জাতীয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা অধীর আগ্রহে যুবরাজের আসন্ন সফরের অপেক্ষায় রয়েছি। তার সফরের মাধ্যমে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।’ দুই দেশের মধ্যে গভীর বন্ধনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু দেশের অংশীদারিত্ব বিকাশ লাভ করেছে। দুই দেশ আগামী বছর কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদ্যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে সৌদি অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় ও টেকসই করার লক্ষ্যে একটি রূপান্তরমূলক পরিকল্পনা সৌদি আরবের ভিশন-২০৩০-র প্রশংসা করেন তৌহিদ। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য তার অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা বিনিময় করে এই উচ্চাভিলাষী রূপকল্পে অবদান রাখতে বাংলাদেশের আকাক্ষার কথা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশি আধা-দক্ষ ও অদক্ষ প্রায় ৩০ লাখ শ্রমিক নিয়োগের জন্য সৌদি আরবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, এসব শ্রমিক উভয় দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় অবিচল অংশীদার। সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) বহু বছর ধরে আমাদের বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
তৌহিদ হোসেন উল্লেখ করেন যে, সৌদি বিনিয়োগকারীদের রসদ, অবকাঠামো এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি মতো খাতে ক্রমবর্ধমান আগ্রহের কারণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দু শ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।
উপদেষ্টা পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের সাম্প্রতিক বিনিয়োগ উদ্যোগের উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের লজিস্টিক্যাল সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সৌদি আরবের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন। তিনি সৌদি কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজে বের করার আমন্ত্রণ জানান। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, পর্যটন ও সেবা খাতের উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনার প্রস্তাব দেন।
তৌহিদ হোসেন আরও উল্লেখ করেন, উভয় দেশই বিশেষ করে শ্রম অভিবাসন, বিনিয়োগ, অবকাঠামো, শিক্ষা, কৃষি ও পরিবেশে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করেছে। তিনি বলেন, ‘আগামীর দিকে তাকিয়ে আমরা আমাদের সম্পর্কের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে যৌথ কমিশনকে মন্ত্রী পর্যায়ে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছি।’ এই পদক্ষেপটি নতুন সুযোগ উদঘাটন করবে এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহযোগিতা বাড়ানোসহ আন্তর্জাতিক ফোরামে একে অপরকে সমর্থন দেবে।
বাংলাদেশে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের আসন্ন বাংলাদেশ সফর নিঃসন্দেহে দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করবে। গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকায় সৌদি দূতাবাস আয়োজিত সৌদি আরবের ৯৪তম জাতীয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা অধীর আগ্রহে যুবরাজের আসন্ন সফরের অপেক্ষায় রয়েছি। তার সফরের মাধ্যমে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।’ দুই দেশের মধ্যে গভীর বন্ধনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু দেশের অংশীদারিত্ব বিকাশ লাভ করেছে। দুই দেশ আগামী বছর কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদ্যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে সৌদি অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় ও টেকসই করার লক্ষ্যে একটি রূপান্তরমূলক পরিকল্পনা সৌদি আরবের ভিশন-২০৩০-র প্রশংসা করেন তৌহিদ। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য তার অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা বিনিময় করে এই উচ্চাভিলাষী রূপকল্পে অবদান রাখতে বাংলাদেশের আকাক্ষার কথা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশি আধা-দক্ষ ও অদক্ষ প্রায় ৩০ লাখ শ্রমিক নিয়োগের জন্য সৌদি আরবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, এসব শ্রমিক উভয় দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় অবিচল অংশীদার। সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) বহু বছর ধরে আমাদের বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
তৌহিদ হোসেন উল্লেখ করেন যে, সৌদি বিনিয়োগকারীদের রসদ, অবকাঠামো এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি মতো খাতে ক্রমবর্ধমান আগ্রহের কারণে দুই দেশের মধ্যে দ্বিমুখী বাণিজ্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দু শ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।
উপদেষ্টা পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের সাম্প্রতিক বিনিয়োগ উদ্যোগের উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের লজিস্টিক্যাল সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সৌদি আরবের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন। তিনি সৌদি কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজে বের করার আমন্ত্রণ জানান। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, পর্যটন ও সেবা খাতের উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনার প্রস্তাব দেন।
তৌহিদ হোসেন আরও উল্লেখ করেন, উভয় দেশই বিশেষ করে শ্রম অভিবাসন, বিনিয়োগ, অবকাঠামো, শিক্ষা, কৃষি ও পরিবেশে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করেছে। তিনি বলেন, ‘আগামীর দিকে তাকিয়ে আমরা আমাদের সম্পর্কের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে যৌথ কমিশনকে মন্ত্রী পর্যায়ে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছি।’ এই পদক্ষেপটি নতুন সুযোগ উদঘাটন করবে এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহযোগিতা বাড়ানোসহ আন্তর্জাতিক ফোরামে একে অপরকে সমর্থন দেবে।
বাংলাদেশে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
ইরানে ইসরায়েলি হামলার মধ্যে নিরাপত্তা শঙ্কায় দেশটির রাজধানী তেহরান থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নিষিদ্ধ করার সুযোগ তৈরি করে আইন সংশোধনের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক।
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে আজ মঙ্গলবারও (১৭ জুন) সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন সরকারি কর্মচারীরা।
যশোরের শার্শা উপজেলায় এক প্রবাসী তরুণকে অপহরণ করে শারীরিক নির্যাতন ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় কিছু দুর্বৃত্ত এই ঘটনায় জড়িত। মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছিল ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছে।