বিডিজেন ডেস্ক
সংকটে থাকা ৬টি ব্যাংকের লেনদেন স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য এসব ব্যাংককে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ধার দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আরও টাকার প্রয়োজন হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেই সহায়তা দেবে। সরকার সব ব্যাংক আমানতকারীর পাশে আছে বলে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
তারল্য নিয়ে যে ৬টি ব্যাংক সমস্যায় রয়েছে, সেই ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান ও প্রতিনিধিদের নিয়ে এক সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তারল্য সংকটে পড়া ৬টি ব্যাংক হলো ন্যাশনাল ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘সমস্যায় থাকা ব্যাংকগুলোকে বড়ভাবে সাহায্য করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এসব ব্যাংক নিবিড় তদারকিতে রাখা হয়েছে। গ্রাহকের স্বার্থ দেখতে আমরা বদ্ধপরিকর। সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রত্যেক আমানতকারীর জমা করা অর্থের সুরক্ষা দেওয়া হবে। কোনো ব্যাংকে তারল্য সমস্যা হলে তাতে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা তারল্যসহায়তা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও সহায়তা দেওয়া হবে। আমানতকারীদের স্বার্থ পুরোপুরি সুরক্ষিত থাকবে।’
তিনি বলেন, ব্যাংকের সব শাখা থেকে গ্রাহকেরা তাদের চাহিদামতো টাকা তুলে পারছেন। আগামী দিনেও কোনো সমস্যা হবে না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আহসান মনসুর বলেন, ‘একটি ব্যাংকের সব গ্রাহক টাকা তুলে ফেলতে চাইলে পৃথিবীর কোনো ব্যাংকই সব টাকা একসঙ্গে ফেরত দিতে পারবে না। তাই আমরা গ্রাহকদের বলব, সবাই একসঙ্গে টাকা তুলতে যাবেন না। যে ব্যাংকেই টাকা থাকুক না কেন, তা নিরাপদ থাকবে। ব্যাংকে থাকা আমানত নিরাপদ থাকবে, আমরা সেই মর্যাদা দেব। ব্যাংকে যে অস্থিরতা রয়েছে, তা থেকে আমরা বের হয়ে আসতে চাই।’
টাকা ছাপানো প্রসঙ্গ
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে টাকা ছাপানোর বিপক্ষে ছিলেন আহসান এইচ মনসুর, এখন কেন সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেললেন, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টাকা ছাপানো হবে না, এ সিদ্ধান্ত থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাময়িকভাবে সরে এসেছে। তবে ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেওয়ার প্রক্রিয়াটিকে পুরোপুরি টাকা ছাপানো বলা যাবে না। এখানে এক হাতে বাজার থেকে টাকা তুলে অন্য হাতে ব্যাংকগুলোকে দেওয়া হবে। মুদ্রানীতি আগের মতো সংকোচনমূলক থাকবে।
আগের সরকারের সময়ে যেভাবে টাকা ছাপানো হয়েছে, তার সঙ্গে এর পার্থক্য কী, তা জানতে চাইলে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘এসব ব্যাংকের পর্ষদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। টাকা চুরি বন্ধ করা হয়েছে। সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনা হয়েছে। সূচকগুলো নিয়মিত তদারকির মধ্যে আনা হয়েছে। বাচ্চারা ললিপপ চাইলে বাবারা যেমন দিতে থাকেন, আগে এভাবে টাকা ছাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এক ইসলামী ব্যাংককে ছাপিয়ে ৩০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এসব টাকার কোনো হিসাব মেলেনি।’
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘১০ টাকা ধার দিয়ে ১০ টাকা বাজার থেকে তুলে নিলে কোনো সমস্যা হবে না। এটা একধরনের স্টেরিলাইজেশন পদ্ধতি ব্যবহারের মতো। এর ফলে প্রকৃতপক্ষে টাকা ছাপানো বৃদ্ধি পাবে না। আমাদের বড় লক্ষ্য হলো মূল্যস্ফীতি কমানো ও আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা করা।’
গভর্নর বলেন, ‘যারা ব্যাংক লুট করেছে, তাদের শেয়ার বিক্রি করে টাকা তোলা হবে। এসব শেয়ার যারা কিনবে, সেই নতুন মালিকেরা ব্যাংক পরিচালনা করবে। আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোনো তদারক করেনি, এখন করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ব্যাংক খাতকে শক্তিশালী অবস্থানে নিতে চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে জনগণের আস্থা থাকা উচিত। জনগণের জন্য যেটা ভালো হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক সেই উদ্যোগ নেবে। গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষায় যা প্রয়োজন, তা–ই করা হবে।
সংকটে থাকা ৬টি ব্যাংকের লেনদেন স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য এসব ব্যাংককে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ধার দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আরও টাকার প্রয়োজন হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেই সহায়তা দেবে। সরকার সব ব্যাংক আমানতকারীর পাশে আছে বলে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
তারল্য নিয়ে যে ৬টি ব্যাংক সমস্যায় রয়েছে, সেই ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান ও প্রতিনিধিদের নিয়ে এক সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তারল্য সংকটে পড়া ৬টি ব্যাংক হলো ন্যাশনাল ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘সমস্যায় থাকা ব্যাংকগুলোকে বড়ভাবে সাহায্য করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এসব ব্যাংক নিবিড় তদারকিতে রাখা হয়েছে। গ্রাহকের স্বার্থ দেখতে আমরা বদ্ধপরিকর। সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রত্যেক আমানতকারীর জমা করা অর্থের সুরক্ষা দেওয়া হবে। কোনো ব্যাংকে তারল্য সমস্যা হলে তাতে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা তারল্যসহায়তা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও সহায়তা দেওয়া হবে। আমানতকারীদের স্বার্থ পুরোপুরি সুরক্ষিত থাকবে।’
তিনি বলেন, ব্যাংকের সব শাখা থেকে গ্রাহকেরা তাদের চাহিদামতো টাকা তুলে পারছেন। আগামী দিনেও কোনো সমস্যা হবে না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আহসান মনসুর বলেন, ‘একটি ব্যাংকের সব গ্রাহক টাকা তুলে ফেলতে চাইলে পৃথিবীর কোনো ব্যাংকই সব টাকা একসঙ্গে ফেরত দিতে পারবে না। তাই আমরা গ্রাহকদের বলব, সবাই একসঙ্গে টাকা তুলতে যাবেন না। যে ব্যাংকেই টাকা থাকুক না কেন, তা নিরাপদ থাকবে। ব্যাংকে থাকা আমানত নিরাপদ থাকবে, আমরা সেই মর্যাদা দেব। ব্যাংকে যে অস্থিরতা রয়েছে, তা থেকে আমরা বের হয়ে আসতে চাই।’
টাকা ছাপানো প্রসঙ্গ
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে টাকা ছাপানোর বিপক্ষে ছিলেন আহসান এইচ মনসুর, এখন কেন সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেললেন, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টাকা ছাপানো হবে না, এ সিদ্ধান্ত থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাময়িকভাবে সরে এসেছে। তবে ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেওয়ার প্রক্রিয়াটিকে পুরোপুরি টাকা ছাপানো বলা যাবে না। এখানে এক হাতে বাজার থেকে টাকা তুলে অন্য হাতে ব্যাংকগুলোকে দেওয়া হবে। মুদ্রানীতি আগের মতো সংকোচনমূলক থাকবে।
আগের সরকারের সময়ে যেভাবে টাকা ছাপানো হয়েছে, তার সঙ্গে এর পার্থক্য কী, তা জানতে চাইলে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘এসব ব্যাংকের পর্ষদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। টাকা চুরি বন্ধ করা হয়েছে। সবাইকে জবাবদিহির আওতায় আনা হয়েছে। সূচকগুলো নিয়মিত তদারকির মধ্যে আনা হয়েছে। বাচ্চারা ললিপপ চাইলে বাবারা যেমন দিতে থাকেন, আগে এভাবে টাকা ছাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এক ইসলামী ব্যাংককে ছাপিয়ে ৩০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এসব টাকার কোনো হিসাব মেলেনি।’
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘১০ টাকা ধার দিয়ে ১০ টাকা বাজার থেকে তুলে নিলে কোনো সমস্যা হবে না। এটা একধরনের স্টেরিলাইজেশন পদ্ধতি ব্যবহারের মতো। এর ফলে প্রকৃতপক্ষে টাকা ছাপানো বৃদ্ধি পাবে না। আমাদের বড় লক্ষ্য হলো মূল্যস্ফীতি কমানো ও আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা করা।’
গভর্নর বলেন, ‘যারা ব্যাংক লুট করেছে, তাদের শেয়ার বিক্রি করে টাকা তোলা হবে। এসব শেয়ার যারা কিনবে, সেই নতুন মালিকেরা ব্যাংক পরিচালনা করবে। আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোনো তদারক করেনি, এখন করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ব্যাংক খাতকে শক্তিশালী অবস্থানে নিতে চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে জনগণের আস্থা থাকা উচিত। জনগণের জন্য যেটা ভালো হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক সেই উদ্যোগ নেবে। গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষায় যা প্রয়োজন, তা–ই করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ৫ বা ৮ আগস্ট জাতির উদ্দেশে দেওয়া টেলিভিশন ভাষণে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের সময় ঘোষণা করতে পারেন।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া ‘টাইগার শার্ক’ সফলভাবে শেষ হয়েছে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি, পারস্পরিক সমন্বয় এবং দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে পরিচালিত এই মহড়ার মাধ্যমে দুই পক্ষের প্রতিরক্ষা অংশীদারত্ব জোরদার হয়েছে।
ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়া আলোচিত সিনেমা 'উৎসব' এবার আসছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে। তানিম নূর পরিচালিত সিনেমাটির কথা পৌঁছে গেছে দেশের আনাচে–কানাচে, প্রবাসী বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে। দর্শকেরা তাই সিনেমাটি দেখার আগ্রহের কথা জানিয়ে আসছিলেন সামাজিক মাধ্যমে।
এশিয়া কাপের ভেন্যু ও ম্যাচের সময়সূচি প্রকাশ করেছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। এবার এশিয়া কাপে 'বি' গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের সবগুলো ম্যাচই পড়েছে আবুধাবির শেখ আবু জায়েদ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।