logo
খবর

কমপ্লিট সেপারেশন অব জুডিশিয়ারি বলে কিছু নেই: বিচারবিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান

বাসস, ঢাকা০৯ অক্টোবর ২০২৪
Copied!
কমপ্লিট সেপারেশন অব জুডিশিয়ারি বলে কিছু নেই: বিচারবিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান
বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের দ্বিতীয় বৈঠক মঙ্গলবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হয়।

বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান বলেছেন, কমপ্লিট সেপারেশন অব জুডিশিয়ারি বলে কিছু নেই। মঙ্গলবার রাজধানীতে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের দ্বিতীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আপিল বিভাগের সাবেক এই বিচারপতি এ কথা বলেন।

রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের’ দ্বিতীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কমিশন প্রধান। এ সময় সংস্কার কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হকও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কথা বলেন। আগামী সোমবার বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের তৃতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান বলেছেন, বিচার বিভাগে আস্থা ফিরিয়ে আনতে সুপারিশ করা হবে। তিনি বলেন, ‘হস্তক্ষেপমুক্ত বিচার বিভাগ চাইব। কমপ্লিট সেপারেশন অব জুডিশিয়ারি বলে কিছু নেই। মামলায় বিচার হলে রায় কার্যকর করবে কে? সরকার। দেশ চালাতে রাষ্ট্রের তিন অঙ্গকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। এ্যাবসলিউট সেপারেশন বলে কিছু নেই।’

কমিশন প্রধান বলেন, ‘বিচার বিভাগ না থাকলে দেশ চলতে পারবে না। বিচার বিভাগের কথা সবাইকে শুনতে হবে। নির্বাহী বিভাগ যাতে বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ করতে না পারে, সে বিষয়ে সুপারিশ, প্রস্তাব দেওয়া হবে। রায় পছন্দ না হলে আপিলের সুযোগ আছে। রায়ে তো দুই পক্ষকে খুশি করা যাবে না।’

বিচারক নিয়োগ নিয়ে আপিল বিভাগের সাবেক এই বিচারপতি বলেন, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে বিচারক নিয়োগের একটা নীতিমালা করে দেব।  কেউ এসে বলবে, অমুক আমার চাচা, তাকে জজ বানাতে হবে- এটা যাতে না হয় সেজন্য নীতিমালাটা করব।’

শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান বলেন, ‘অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কার কমিশন রিপোর্ট প্রস্তুত করবে। রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনার ব্যাপারে আমাদের রিজার্ভেশন রয়েছে। আমরা সুপারিশ দেব। সেটি নিয়ে হয়তো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবে উপদেষ্টা পরিষদ।’ তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে সরকার থেকে আমরা এখনো কোনো গাইডলাইন পাইনি। হয়তো এরই মধ্যে পেয়ে যাব।’

কমিশন প্রধান বলেন, ‘জনসাধারণের সুবিধা কীভাবে হয়, আমরা সেটি দেখব। বিচারকার্যে যেন বিলম্ব না হয় এবং বিচার প্রার্থীর খরচ যেন কম হয়, এ বিষয়টি নিশ্চিতে সুপারিশ করব। মামলা রুজু করতে এসে একজন বিচারপ্রার্থীকে বিবিধ খাতে খরচ করতে হয়। এই খরচ কমানোর বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। দেশের আর্থিক অবস্থা ভালো হলে সরকারই বাদীর খরচ চালাবে। যে মামলায় হেরে যাবে তাকেই ওই খরচের ভার বহন করতে হবে।’

কমিশন প্রধান জানান, সরকার কমিশনকে ৯০ দিনের সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই সংস্কারের সুপারিশ দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক বলেন, দেশে বিদ্যমান মামলার জট কিভাবে কমানো যায়, সে বিষয়ে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ থাকবে। কী কারণে মামলার এ বিশাল জট তাও নিরূপণ করা হবে।’

প্রসঙ্গত, বিচার বিভাগকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষ্যে গঠিত বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রথম বৈঠক হয় গত ৬ অক্টোবর। এর আগে গত ৩ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। এতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমানকে প্রধান করা হয়। কমিশনের সদস্যরা হলেন, হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এবং সাবেক জেলা ও দায়রা জজ বিচারপতি এমদাদুল হক ও বিচারপতি ফরিদ আহমেদ শিবলী সাবেক জেলা ও দায়রা জজ এবং সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার সাইয়েদ আমিনুল ইসলাম, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ এবং মাজদার হোসেন বনাম রাষ্ট্র মামলার বাদী মাজদার হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী তানিম হোসেন শাওন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক (সুপন) ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।

আরও পড়ুন

এক সময় ভাত খুঁজত ক্যান্টিনে, এখন হাঁস খোঁজে ওয়েস্টিনে: আন্দালিব রহমান পার্থ

এক সময় ভাত খুঁজত ক্যান্টিনে, এখন হাঁস খোঁজে ওয়েস্টিনে: আন্দালিব রহমান পার্থ

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে দেওয়া ফেসবুক পোস্টে আন্দালিব রহমান পার্থ লিখেছেন, ‘এক সময় ভাত খুজতো ক্যান্টিনে, এখন হাঁস খুজে ওয়েস্টিনে।’

১৩ ঘণ্টা আগে

ফ্যাসিবাদের জায়গায় তারেক রহমান গণতন্ত্রের সূচনা করবেন: নজরুল ইসলাম খান

ফ্যাসিবাদের জায়গায় তারেক রহমান গণতন্ত্রের সূচনা করবেন: নজরুল ইসলাম খান

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান মন্তব্য করেছেন বাকশালের পরিবর্তে গণতন্ত্র এনেছিলেন জিয়াউর রহমান। সামরিক স্বৈরশাসনের গোরস্তানে গণতন্ত্র এনেছিলেন খালেদা জিয়া। আর ফ্যাসিবাদের জায়গায় তারেক রহমান গণতন্ত্রের সূচনা করবেন।

১৪ ঘণ্টা আগে

বসতঘর থেকে একই পরিবারের ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার

বসতঘর থেকে একই পরিবারের ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার

রাজশাহীর পবা উপজেলার বামুনশিকড় এলাকায় একই পরিবারের ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

১৬ ঘণ্টা আগে

৯ মাস পর কারামুক্ত হলেন শমী কায়সার

৯ মাস পর কারামুক্ত হলেন শমী কায়সার

রাজধানী ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানার ২টি হত্যাচেষ্টা মামলা থেকে জামিনের পর কারামুক্ত হয়েছেন অভিনেত্রী শমী কায়সার। ২০২৪ সালের ৫ নভেম্বর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁকে আটক করেছিল।

১৬ ঘণ্টা আগে