প্রতিবেদক, বিডিজেন
জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) কারাবন্দী প্রবাসীদের মুক্তিসহ ৪ দফা দাবিতে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন একই কারণে সাজাপ্রাপ্ত বাংলাদেশি যারা দেশটির প্রেসিডেন্টের ক্ষমা পেয়ে চাকরিচ্যুত হয়ে দেশে ফিরে এসেছেন, সেইসব প্রবাসী এবং কারাবন্দীদের পরিবারের সদস্যরা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় তারা এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
‘জুলাই ২৪-এর আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত জেলফেরত ভুক্তভোগী প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধারা’ ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
রোববার (২২ জুন) বেলা ৩টার দিকে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে থেকে আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ফেরত সগীর তালুকদার এই ঘোষণা দেন। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাওয়া ৮ জন প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এরপর তারা সেখানেই অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়। পরে আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে ইস্কাটন গার্ডেন রোডে প্রবাসী কল্যাণ ভবনের সামনে অবস্থান নেয়।
এর আগে আন্দোলনকারীরা সকালে শাহবাগ এলাকায় জড়ো হয়। পরে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে মিছিল নিয়ে রওনা হয়। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে এলে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। পরে তারা সেখানে অবস্থান নেয়। এতে বাংলামোটর হয়ে যমুনা অভিমুখের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। বেলা দেড়টার দিকে পুলিশের সহায়তায় আন্দোলনকারীদের ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যায়। অন্যরা সেখানকার সড়কের অবস্থান নেয়।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এ ঘটনায় ৫৭ জন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় দেশটির একটি আদালত। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুমতি ছাড়া যেকোনো ধরনের বিক্ষোভ নিষিদ্ধ। পরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ওই বাংলাদেশিদের মুক্তির ব্যাপারে আরব আমিরাত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে গত বছরের সেপ্টেম্বরের শুরুতেই সেই ৫৭ বাংলাদেশির সবাইকে আমিরাত প্রেসিডেন্ট ক্ষমা করে দেন। এরপর ৭ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরেন ১৪ জন।
আজ সগীর তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল সদর কারাগারে ২৫ জন ভাই বন্দী আছেন। তাদের মুক্তির জন্য আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করানোর কথা বলা হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করানো হয়েছে। আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা কারাবন্দীদের মুক্তির ব্যাপারে মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন উল্লেখ করে সগীর তালুকদার বলেন, অতীতেও আমাদের এই ধরনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আমরা সন্তুষ্ট হতে পারছি না। আমাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই। আমরা এখন থেকে আমরণ অনশন পালন করব। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাফনের কাপড় পরে আমরা অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
আরেক প্রতিনিধি এরশাদ মিয়া বলেন, ‘আমাদের ভাইদের মুক্ত করতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করব। আমাদের লাশ বাড়ি যাবে কিন্তু আমরা যাব না।’
আন্দোলনকারীরা বলছেন, জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়ে তারা, তাদের স্বজনেরা জেলে যান, আটক হন। তাদের মধ্যে ১৮৯ জন সংযুক্ত আরব আমিরাতের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরেছেন। তাদের মুক্তিতে সহায়তা করেন প্রধান উপদেষ্টা। কিন্তু এখনো সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবে প্রবাসীরা কারাবন্দী-আটক আছেন। তাদের মুক্তির বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন
জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) কারাবন্দী প্রবাসীদের মুক্তিসহ ৪ দফা দাবিতে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন একই কারণে সাজাপ্রাপ্ত বাংলাদেশি যারা দেশটির প্রেসিডেন্টের ক্ষমা পেয়ে চাকরিচ্যুত হয়ে দেশে ফিরে এসেছেন, সেইসব প্রবাসী এবং কারাবন্দীদের পরিবারের সদস্যরা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় তারা এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
‘জুলাই ২৪-এর আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত জেলফেরত ভুক্তভোগী প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধারা’ ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
রোববার (২২ জুন) বেলা ৩টার দিকে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে থেকে আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ফেরত সগীর তালুকদার এই ঘোষণা দেন। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাওয়া ৮ জন প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এরপর তারা সেখানেই অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়। পরে আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে ইস্কাটন গার্ডেন রোডে প্রবাসী কল্যাণ ভবনের সামনে অবস্থান নেয়।
এর আগে আন্দোলনকারীরা সকালে শাহবাগ এলাকায় জড়ো হয়। পরে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে মিছিল নিয়ে রওনা হয়। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে এলে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। পরে তারা সেখানে অবস্থান নেয়। এতে বাংলামোটর হয়ে যমুনা অভিমুখের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। বেলা দেড়টার দিকে পুলিশের সহায়তায় আন্দোলনকারীদের ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যায়। অন্যরা সেখানকার সড়কের অবস্থান নেয়।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এ ঘটনায় ৫৭ জন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় দেশটির একটি আদালত। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুমতি ছাড়া যেকোনো ধরনের বিক্ষোভ নিষিদ্ধ। পরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ওই বাংলাদেশিদের মুক্তির ব্যাপারে আরব আমিরাত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে গত বছরের সেপ্টেম্বরের শুরুতেই সেই ৫৭ বাংলাদেশির সবাইকে আমিরাত প্রেসিডেন্ট ক্ষমা করে দেন। এরপর ৭ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরেন ১৪ জন।
আজ সগীর তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল সদর কারাগারে ২৫ জন ভাই বন্দী আছেন। তাদের মুক্তির জন্য আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করানোর কথা বলা হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করানো হয়েছে। আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা কারাবন্দীদের মুক্তির ব্যাপারে মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন উল্লেখ করে সগীর তালুকদার বলেন, অতীতেও আমাদের এই ধরনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আমরা সন্তুষ্ট হতে পারছি না। আমাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই। আমরা এখন থেকে আমরণ অনশন পালন করব। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাফনের কাপড় পরে আমরা অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
আরেক প্রতিনিধি এরশাদ মিয়া বলেন, ‘আমাদের ভাইদের মুক্ত করতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করব। আমাদের লাশ বাড়ি যাবে কিন্তু আমরা যাব না।’
আন্দোলনকারীরা বলছেন, জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়ে তারা, তাদের স্বজনেরা জেলে যান, আটক হন। তাদের মধ্যে ১৮৯ জন সংযুক্ত আরব আমিরাতের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরেছেন। তাদের মুক্তিতে সহায়তা করেন প্রধান উপদেষ্টা। কিন্তু এখনো সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবে প্রবাসীরা কারাবন্দী-আটক আছেন। তাদের মুক্তির বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরত এসেছেন আরও ৩৯ বাংলাদেশি। একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরত আসেন তারা। আজ শনিবার (২ আগস্ট) সকালে রাজধানী ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় দলটি।
জুলাই ঘোষণাপত্র ৫ আগস্টের মধ্যে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।
২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের পর থেকে বাংলাদেশের বিনোদন জগতের শিল্পীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে বিভাজন। সেই বিভাজনের রেশ এখনো কাটেনি। সুযোগ পেলেই একে অন্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে পিছপা হচ্ছেন না অনেকে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভার্চুয়াল বিবাদে জড়িয়েছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন ও সোহানা সাবা।
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অবস্থানের অভিযোগে আটক হওয়া বাংলাদেশের একদল নাগরিককে ঢাকায় পাঠিয়ে দিচ্ছে দেশটির সরকার। একটি সামরিক বিমানে আজ শনিবার (২ আগস্ট) তাদের ঢাকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে।