বিডিজেন ডেস্ক
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ইতিহাসের সবচেয়ে দুর্বলতম সরকার আখ্যা দিয়ে ২০২৫ সালের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জিয়া শিশু-কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
খবর বার্তা সংস্থা ইউএনবির।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, একটি দুর্বল সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হতে পারে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে, অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। এগুলো ঠিক করার জন্য একটি নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন। ২০২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশের সব সংকটের কারণ হলো নির্বাচন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার সংস্কারের কথা বলে। কিন্তু সরকার ইতিমধ্যে সংস্কারের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ মিস করেছে। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করার ক্ষেত্রে সংস্কারের যে উদ্যোগ, সেখানে তারা ভুল করেছে। নির্বাচনের কোনো তারিখ দেয়নি, কিন্তু নির্বাচন কমিশন গঠন করে বসল। অথচ নির্বাচন কমিশনসংক্রান্ত কোনো সংস্কারের প্রতিবেদনই আসেনি। দুর্নীতি দমন কমিশন নিয়ে আলোচনা হওয়ার প্রথম রিপোর্ট পেশ করার আগেই সরকার দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করে বসল।
বিচার বিভাগের সংস্কার প্রশ্নে আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘বিচার বিভাগে ২৩ জন বিচারপতি নিয়োগ করে বসলেন। শেখ হাসিনা যে পদ্ধতিতে বিচারক নিয়োগ দিয়েছেন, ঠিক সেভাবেই এই সরকার বিচারক নিয়োগ দেন। আমরা চেয়েছিলাম সংস্কারের মধ্য দিয়ে বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া তৈরি হবে, কিন্তু সরকার সেটি করেনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে পেয়েছি, সংস্কারের কথা বলে সংস্কারের প্রক্রিয়া পাশ কাটিয়ে তারা হাসিনার পথ অনুসরণ করে বিচারক নিয়োগ করছেন, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেছেন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে লোক নিয়োগ করেছেন। এগুলো সবই হচ্ছে হাসিনার পরিত্যক্ত মডেল। এ সরকার কতটুকু সংস্কার করতে চায়, সেটি আমরা জানি না। কিন্তু সংস্কারের নামে বছরের পর বছর তারা যদি ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকতে চায়, এটি বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না।’
সংকট এখনো শেষ হয়নি বলেও মন্তব্য করেন আসাদুজ্জামান রিপন। তিনি বলেন, ‘ভীষণ একটি সংকটের মধ্যে আমরা আছি। আমাদের নেতা তারেক রহমান বারবার বলেছেন, আগামী নির্বাচন কঠিন হবে এবং বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। মানুষের কাছে যেতে হবে এবং আস্থা অর্জন করতে হবে। তিনি বলেছেন, ৫ আগস্টের আগের রাজনীতি আর ৫ আগস্টের পরের রাজনীতি এক নয়।’
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘রাজনীতি যদি করতে হয়, তাহলে জনগণ কী ভাবে, সেটি মাথায় রাখতে হবে। এটি মাথায় না রাখলে রাজনীতি ভুল হয়ে যাবে। আমাদের একটি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। আর সেটি হলো, আন্দোলনকে কোনোভাবেই বিভক্ত করা যাবে না; আন্দোলনের স্পিরিটকে কোনোভাবে বিভক্ত করা যাবে না। আন্দোলনকে বিভক্ত করলে পতিত স্বৈরাচার লাভবান হবে। সুতরাং স্বৈরাচারকে লাভবান হতে দেওয়া যাবে না।’
বিএনপির সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সাবেক আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন চুন্নুর ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়।
জাহিদ হোসেন চুন্নুর স্মৃতিচারণা করে ড. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘জাহিদ হোসেন চুন্নু আশির দশকে ছাত্রদলের সঙ্গে যুক্ত না থেকেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাসাসের সঙ্গে যুক্ত থেকে পুরো আন্দোলনেই আমাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি খুবই সক্রিয় ও নির্ভরযোগ্য ছিলেন। তার মধ্যে অমিত সম্ভাবনা ছিল। তার অস্বাভাবিক মৃত্যু আমাদের পার্টিকে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।’
জিয়া শিশু-কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর শিকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ইতিহাসের সবচেয়ে দুর্বলতম সরকার আখ্যা দিয়ে ২০২৫ সালের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জিয়া শিশু-কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
খবর বার্তা সংস্থা ইউএনবির।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, একটি দুর্বল সরকার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হতে পারে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে, অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। এগুলো ঠিক করার জন্য একটি নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন। ২০২৫ সালের মধ্যেই নির্বাচন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশের সব সংকটের কারণ হলো নির্বাচন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার সংস্কারের কথা বলে। কিন্তু সরকার ইতিমধ্যে সংস্কারের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ মিস করেছে। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করার ক্ষেত্রে সংস্কারের যে উদ্যোগ, সেখানে তারা ভুল করেছে। নির্বাচনের কোনো তারিখ দেয়নি, কিন্তু নির্বাচন কমিশন গঠন করে বসল। অথচ নির্বাচন কমিশনসংক্রান্ত কোনো সংস্কারের প্রতিবেদনই আসেনি। দুর্নীতি দমন কমিশন নিয়ে আলোচনা হওয়ার প্রথম রিপোর্ট পেশ করার আগেই সরকার দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করে বসল।
বিচার বিভাগের সংস্কার প্রশ্নে আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘বিচার বিভাগে ২৩ জন বিচারপতি নিয়োগ করে বসলেন। শেখ হাসিনা যে পদ্ধতিতে বিচারক নিয়োগ দিয়েছেন, ঠিক সেভাবেই এই সরকার বিচারক নিয়োগ দেন। আমরা চেয়েছিলাম সংস্কারের মধ্য দিয়ে বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া তৈরি হবে, কিন্তু সরকার সেটি করেনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে পেয়েছি, সংস্কারের কথা বলে সংস্কারের প্রক্রিয়া পাশ কাটিয়ে তারা হাসিনার পথ অনুসরণ করে বিচারক নিয়োগ করছেন, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেছেন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে লোক নিয়োগ করেছেন। এগুলো সবই হচ্ছে হাসিনার পরিত্যক্ত মডেল। এ সরকার কতটুকু সংস্কার করতে চায়, সেটি আমরা জানি না। কিন্তু সংস্কারের নামে বছরের পর বছর তারা যদি ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকতে চায়, এটি বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না।’
সংকট এখনো শেষ হয়নি বলেও মন্তব্য করেন আসাদুজ্জামান রিপন। তিনি বলেন, ‘ভীষণ একটি সংকটের মধ্যে আমরা আছি। আমাদের নেতা তারেক রহমান বারবার বলেছেন, আগামী নির্বাচন কঠিন হবে এবং বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। মানুষের কাছে যেতে হবে এবং আস্থা অর্জন করতে হবে। তিনি বলেছেন, ৫ আগস্টের আগের রাজনীতি আর ৫ আগস্টের পরের রাজনীতি এক নয়।’
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘রাজনীতি যদি করতে হয়, তাহলে জনগণ কী ভাবে, সেটি মাথায় রাখতে হবে। এটি মাথায় না রাখলে রাজনীতি ভুল হয়ে যাবে। আমাদের একটি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। আর সেটি হলো, আন্দোলনকে কোনোভাবেই বিভক্ত করা যাবে না; আন্দোলনের স্পিরিটকে কোনোভাবে বিভক্ত করা যাবে না। আন্দোলনকে বিভক্ত করলে পতিত স্বৈরাচার লাভবান হবে। সুতরাং স্বৈরাচারকে লাভবান হতে দেওয়া যাবে না।’
বিএনপির সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সাবেক আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন চুন্নুর ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়।
জাহিদ হোসেন চুন্নুর স্মৃতিচারণা করে ড. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘জাহিদ হোসেন চুন্নু আশির দশকে ছাত্রদলের সঙ্গে যুক্ত না থেকেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাসাসের সঙ্গে যুক্ত থেকে পুরো আন্দোলনেই আমাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি খুবই সক্রিয় ও নির্ভরযোগ্য ছিলেন। তার মধ্যে অমিত সম্ভাবনা ছিল। তার অস্বাভাবিক মৃত্যু আমাদের পার্টিকে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।’
জিয়া শিশু-কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর শিকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রাজধানী ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের বোর্ডিং ব্রিজ ও ভিজ্যুয়াল ডকিং গাইডেন্স সিস্টেম (জিডিজিএস) প্রথমবারের মতো ব্যবহার করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট।
গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাদের বলেছেন, যে যা-ই বলুক, সত্য প্রকাশে তিনি একচুলও পিছপা হবেন না। সত্য আজ নয় কাল প্রতিষ্ঠা হবেই। সত্য প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে পিছপা হওয়া যাবে না। যে যা বলার বলুক।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাত ৮টা ২০ মিনিটে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।