
বিডিজেন ডেস্ক

বিদেশের কারাগারে আটক বাংলাদেশিদের সহায়তার যথেষ্ট সুযোগ নেই বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে চরম ভোগান্তি ও অনিশ্চয়তায় পড়েন প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যরা। জনবল সংকট আছে জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দরকার এক টেবিল থেকে সব সমাধান দেওয়ার ব্যবস্থা। একই সঙ্গে অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে এখনই উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
খবর ইনডেনডেন্টের।
চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি হিসাবে, বিদেশের কারাগারে বন্দী আছে ১১ হাজার ৬২২ জন বাংলাদেশি। অবৈধ অভিবাসন, মানবপাচারের শিকার, মাদক ও মারামারির মতো আইন ভঙ্গ করার অভিযোগে তারা কারাগারে।
এর মধ্যে মুক্তি পেয়ে কত জন দেশে ফিরেছেন, তা কেউ জানে না। তবে জানা গেছে ১৯টি দেশের কারাগারে বাংলাদেশিরা আটক আছে। সবচেয়ে বেশি সৌদি আরবের কারাগারে। সংখ্যায় তারা ৮ হাজারের মতো। মালয়েশিয়ায় আটক ১ হাজার ২৬ জন। এ ছাড়া, দুবাইয়ে ৮৯৬ ও ওমানে ৪৪৪ জন কারাবাস করছেন।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে বিক্ষোভ করে বিভিন্ন দেশে আটকদের মধ্যে ২০২ জনকেই ফিরিয়ে এনেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে এখনো ২২ জন দেশে ফেরার অপেক্ষায় কারাবাস করছেন আবুধাবিতে।
জেল ফেরত প্রবাসী হাফেজ মুহাম্মদ বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে পারছি না। ফেরত আসাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাও জরুরি। ৬ মাস ধরে আটক থাকায় পরিবারের অবস্থা করুণ পর্যায়ে পৌঁছেছে।’
সবার আগে, কারাবন্দীদের সব তথ্য সংগ্রহ করার তাগিদ দিয়েছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা। এরপর সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে প্রতিটি মামলায়, সহায়তা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
অভিবাসন ও শরণার্থীবিষয়ক বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর বলেন, ‘স্বজনদের সহায়তার জন্য আলাদা কোনো কাঠামো নেই। সমন্বিত কাঠামো নেই। লেবার কর্মকর্তারা দুই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেই সমন্বয় করে কাজ করে। তালিকা থাকলে যেকোনো কর্মকর্তার জন্যই কাজ করা সহজ হবে। এখানে সমন্বয়টা জরুরি, দরকার প্রচারণা।’
অনিয়মিত অভিবাসন কমানোর জোর তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ জন্য দেশ ছাড়ার আগে প্রতিটি কর্মীকে গন্তব্যের দেশের নিয়ম-নীতি ও আইন সম্পর্কে ভালো ধারণা দেওয়া জরুরি।
অভিবাসন বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ রাশেদ আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘আনঅথোরাইজড রুটে কর্মীদের পাঠানো হচ্ছে। এতে নিয়োগকর্তার শোষণের শিকার হন অনেকে। বাংলাদেশ হাইকমিশনের লোকসংখ্যাও অপ্রতুল। তাদের পক্ষেও আইনজীবী নিয়োগ করা কঠিন। সুবিচারের জন্য লেবার অ্যাটাচির সক্ষমতা বাড়াতে হবে।’
বিদেশের জেলে থাকা স্বজনের খোঁজ পেতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আলাদা ডেস্ক খোলার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র: ইনডেনডেন্ট

বিদেশের কারাগারে আটক বাংলাদেশিদের সহায়তার যথেষ্ট সুযোগ নেই বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে চরম ভোগান্তি ও অনিশ্চয়তায় পড়েন প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যরা। জনবল সংকট আছে জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দরকার এক টেবিল থেকে সব সমাধান দেওয়ার ব্যবস্থা। একই সঙ্গে অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকাতে এখনই উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
খবর ইনডেনডেন্টের।
চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি হিসাবে, বিদেশের কারাগারে বন্দী আছে ১১ হাজার ৬২২ জন বাংলাদেশি। অবৈধ অভিবাসন, মানবপাচারের শিকার, মাদক ও মারামারির মতো আইন ভঙ্গ করার অভিযোগে তারা কারাগারে।
এর মধ্যে মুক্তি পেয়ে কত জন দেশে ফিরেছেন, তা কেউ জানে না। তবে জানা গেছে ১৯টি দেশের কারাগারে বাংলাদেশিরা আটক আছে। সবচেয়ে বেশি সৌদি আরবের কারাগারে। সংখ্যায় তারা ৮ হাজারের মতো। মালয়েশিয়ায় আটক ১ হাজার ২৬ জন। এ ছাড়া, দুবাইয়ে ৮৯৬ ও ওমানে ৪৪৪ জন কারাবাস করছেন।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমর্থনে বিক্ষোভ করে বিভিন্ন দেশে আটকদের মধ্যে ২০২ জনকেই ফিরিয়ে এনেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে এখনো ২২ জন দেশে ফেরার অপেক্ষায় কারাবাস করছেন আবুধাবিতে।
জেল ফেরত প্রবাসী হাফেজ মুহাম্মদ বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে পারছি না। ফেরত আসাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাও জরুরি। ৬ মাস ধরে আটক থাকায় পরিবারের অবস্থা করুণ পর্যায়ে পৌঁছেছে।’
সবার আগে, কারাবন্দীদের সব তথ্য সংগ্রহ করার তাগিদ দিয়েছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা। এরপর সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে প্রতিটি মামলায়, সহায়তা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
অভিবাসন ও শরণার্থীবিষয়ক বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর বলেন, ‘স্বজনদের সহায়তার জন্য আলাদা কোনো কাঠামো নেই। সমন্বিত কাঠামো নেই। লেবার কর্মকর্তারা দুই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেই সমন্বয় করে কাজ করে। তালিকা থাকলে যেকোনো কর্মকর্তার জন্যই কাজ করা সহজ হবে। এখানে সমন্বয়টা জরুরি, দরকার প্রচারণা।’
অনিয়মিত অভিবাসন কমানোর জোর তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ জন্য দেশ ছাড়ার আগে প্রতিটি কর্মীকে গন্তব্যের দেশের নিয়ম-নীতি ও আইন সম্পর্কে ভালো ধারণা দেওয়া জরুরি।
অভিবাসন বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ রাশেদ আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘আনঅথোরাইজড রুটে কর্মীদের পাঠানো হচ্ছে। এতে নিয়োগকর্তার শোষণের শিকার হন অনেকে। বাংলাদেশ হাইকমিশনের লোকসংখ্যাও অপ্রতুল। তাদের পক্ষেও আইনজীবী নিয়োগ করা কঠিন। সুবিচারের জন্য লেবার অ্যাটাচির সক্ষমতা বাড়াতে হবে।’
বিদেশের জেলে থাকা স্বজনের খোঁজ পেতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আলাদা ডেস্ক খোলার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র: ইনডেনডেন্ট
ভুক্তভোগীরা বিডিজেনকে জানান, তারা বিভিন্ন সময় ধাপে ধাপে প্রায় ৪ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা বগুড়ায় বসবাসকারী একজন দালালের মাধ্যমে রিক্রুটিং এজেন্সির কাছে জমা দিয়েছিলেন। ওই দালাল অভিযুক্ত দুই এজেন্সির হয়ে কাজ করেন। গত দুই বছরের বেশি সময়েও ভুক্তভোগীরা বিদেশ যেতে না পারায় বাধ্য হয়ে বিএমইটিতে অভিযোগ করেন।
আন্তর্জাতিক ও জাতীয় অভিবাসী দিবস আজ ১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার)। অভিবাসী ও তাদের পরিবারের মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতি বছরের এই দিনে বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের পাশাপাশি জাতীয় অভিবাসী দিবস হিসেবে পালিত হয়।
গ্রামীণ ব্যাংকের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গ্রামাঞ্চলের নারীরা সন্তানদের বিদেশে পাঠাতে ঋণের জন্য আবেদন জানাতে শুরু করলে প্রথম দালালচক্রের বাস্তব চিত্র তার সামনে আসে।
লিবিয়ায় তিন বাংলাদেশিকে অপহরণের পর মুক্তিপণের দাবিতে শারীরিক নির্যাতনের ভিডিও চিত্র পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তাদের পরিবার। অপহরণকারী চক্রটি ডাচ বাংলা ব্যাংকের মতিঝিল করপোরেট শাখার একটি হিসাব নম্বরে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেছে।

ভুক্তভোগীরা বিডিজেনকে জানান, তারা বিভিন্ন সময় ধাপে ধাপে প্রায় ৪ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা বগুড়ায় বসবাসকারী একজন দালালের মাধ্যমে রিক্রুটিং এজেন্সির কাছে জমা দিয়েছিলেন। ওই দালাল অভিযুক্ত দুই এজেন্সির হয়ে কাজ করেন। গত দুই বছরের বেশি সময়েও ভুক্তভোগীরা বিদেশ যেতে না পারায় বাধ্য হয়ে বিএমইটিতে অভিযোগ করেন।
২০ ঘণ্টা আগে