
বিডিজেন ডেস্ক

ঘড়িতে বেলা ১১টা। তখনো আকাশে দেখা নেই সূর্যের। চট্টগ্রাম আজ ঘন কুয়াশায় মোড়া এক শহর। সড়কে থাকা যানবাহনগুলো চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। একটু উষ্ণতার খোঁজে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছেন শীতে কাবু মানুষজন।
আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম নগরের বিগত দিনের তুলনায় শীতের তীব্রতা বেশি দেখা গেছে। বেলা সাড়ে ১১টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আকাশে সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি। আবহাওয়া অফিস বলছে, এদিন সকালে চট্টগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার পর তা ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রিতে নেমে আসবে।
খবর প্রথম আলোর।
সকাল সাড়ে ১০টায় নগরের বহদ্দারহাট থেকে রাহাত্তারপুল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ দোকানে তখনো তালা দেওয়া। কনকনে হিমেল বাতাস ঠান্ডার অনুভূতি আরও বাড়িয়েছে। রাস্তায় যানবাহন অন্য দিনের তুলনায় কম। শ্রমজীবী মানুষ বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে কষ্টে পড়েছেন। পর্যাপ্ত শীতের কাপড় না থাকায় ফুটপাতে আশ্রয় নেওয়া মানুষ আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা পেতে চাইছিলেন।
তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ায় বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন হতদরিদ্র মানুষ। তাদের অনেকের পর্যাপ্ত গরম কাপড় নেই। তাই ঠান্ডা থেকে বাঁচতে কাগজ, পলিথিন ও ছেঁড়া কাপড় জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা। কেউ কেউ চটের বস্তা গায়ে জড়িয়েছেন।
আজ সকালে নতুন চান্দগাঁও থানা এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক আবুল ফজলের সঙ্গে। সড়কের পাশে পলিথিন ও কাগজ জ্বালিয়ে বসে ছিলেন তিনি। সঙ্গে আরও কয়েকজনকে দেখা গেল। আবুল ফজল বলেন, আগে সকাল ৭টায় রিকশা নিয়ে বের হতেন। ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় আজ বের হয়েছেন ১০টায়। আগুন পোহাতে পোহাতে কুয়াশা কমার অপেক্ষা করছেন তিনি।

নগরের এক কিলোমিটার এলাকা থেকে শুরু হওয়া এম এ মান্নান উড়ালসড়ক শেষ হয়েছে শুলকবহর এলাকায়। প্রায় দেড় কিলোমিটার এই উড়ালসড়কের নিচে বিভিন্ন স্থানে গুটিসুটি মেরে বসে থাকতে দেখা গেছে দরিদ্র ও বাস্তুহারা মানুষদের। শিশুদের কোলে নিয়ে জবুথবু হয়ে আগুন পোহাচ্ছেন কেউ কেউ। তবে শীত যেন মানছে না।
বহদ্দারহাট এলাকায় উড়ালসড়কের নিচে আগুন পোহাচ্ছিলেন অন্তত ৭ জন মানুষ। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন পাশের আবাসিক এলাকার নিরাপত্তাকর্মী মো. সেলিম। তিনি বলেন, এখানে অধিকাংশ মানুষের জীবিকা কাগজ কুড়ানো। রাতে ফ্লাইওভারের নিচেই তারা থাকেন। শীত থেকে বাঁচতে আগুন জ্বালিয়েই ঘুমান তারা।
নগরের অন্য এলাকাগুলোতেও দেখা গেছে একই চিত্র। শীতের কারণে ভাসমান ব্যবসায়ী, দোকানি—সবাই বিপাকে পড়েছেন। সড়কে মানুষজন না থাকায় ব্যবসা নেই। অন্যদিকে ঠান্ডার কারণে ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেও কষ্ট হচ্ছে। নগরের জামালখান এলাকার কলা বিক্রেতা এখলাস উদ্দিন বলেন, ‘সোয়েটার, টুপি, মাফলার পরেও বাঁচতে পারছি না। শীত মানছে না।’
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জ্বল কান্তি পাল প্রথম আলোকে বলেন, আগামী ৫-৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এই কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকতে পারে। রাতের দিকে শীত আরও বাড়বে। বাতাসের গতি বাড়লে শীত বেশি অনুভূত হতে পারে।
সূত্র: প্রথম আলো

ঘড়িতে বেলা ১১টা। তখনো আকাশে দেখা নেই সূর্যের। চট্টগ্রাম আজ ঘন কুয়াশায় মোড়া এক শহর। সড়কে থাকা যানবাহনগুলো চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। একটু উষ্ণতার খোঁজে সড়কের পাশে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা খুঁজছেন শীতে কাবু মানুষজন।
আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম নগরের বিগত দিনের তুলনায় শীতের তীব্রতা বেশি দেখা গেছে। বেলা সাড়ে ১১টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আকাশে সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি। আবহাওয়া অফিস বলছে, এদিন সকালে চট্টগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার পর তা ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রিতে নেমে আসবে।
খবর প্রথম আলোর।
সকাল সাড়ে ১০টায় নগরের বহদ্দারহাট থেকে রাহাত্তারপুল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ দোকানে তখনো তালা দেওয়া। কনকনে হিমেল বাতাস ঠান্ডার অনুভূতি আরও বাড়িয়েছে। রাস্তায় যানবাহন অন্য দিনের তুলনায় কম। শ্রমজীবী মানুষ বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে কষ্টে পড়েছেন। পর্যাপ্ত শীতের কাপড় না থাকায় ফুটপাতে আশ্রয় নেওয়া মানুষ আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা পেতে চাইছিলেন।
তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ায় বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন হতদরিদ্র মানুষ। তাদের অনেকের পর্যাপ্ত গরম কাপড় নেই। তাই ঠান্ডা থেকে বাঁচতে কাগজ, পলিথিন ও ছেঁড়া কাপড় জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা। কেউ কেউ চটের বস্তা গায়ে জড়িয়েছেন।
আজ সকালে নতুন চান্দগাঁও থানা এলাকায় কথা হয় রিকশাচালক আবুল ফজলের সঙ্গে। সড়কের পাশে পলিথিন ও কাগজ জ্বালিয়ে বসে ছিলেন তিনি। সঙ্গে আরও কয়েকজনকে দেখা গেল। আবুল ফজল বলেন, আগে সকাল ৭টায় রিকশা নিয়ে বের হতেন। ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় আজ বের হয়েছেন ১০টায়। আগুন পোহাতে পোহাতে কুয়াশা কমার অপেক্ষা করছেন তিনি।

নগরের এক কিলোমিটার এলাকা থেকে শুরু হওয়া এম এ মান্নান উড়ালসড়ক শেষ হয়েছে শুলকবহর এলাকায়। প্রায় দেড় কিলোমিটার এই উড়ালসড়কের নিচে বিভিন্ন স্থানে গুটিসুটি মেরে বসে থাকতে দেখা গেছে দরিদ্র ও বাস্তুহারা মানুষদের। শিশুদের কোলে নিয়ে জবুথবু হয়ে আগুন পোহাচ্ছেন কেউ কেউ। তবে শীত যেন মানছে না।
বহদ্দারহাট এলাকায় উড়ালসড়কের নিচে আগুন পোহাচ্ছিলেন অন্তত ৭ জন মানুষ। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন পাশের আবাসিক এলাকার নিরাপত্তাকর্মী মো. সেলিম। তিনি বলেন, এখানে অধিকাংশ মানুষের জীবিকা কাগজ কুড়ানো। রাতে ফ্লাইওভারের নিচেই তারা থাকেন। শীত থেকে বাঁচতে আগুন জ্বালিয়েই ঘুমান তারা।
নগরের অন্য এলাকাগুলোতেও দেখা গেছে একই চিত্র। শীতের কারণে ভাসমান ব্যবসায়ী, দোকানি—সবাই বিপাকে পড়েছেন। সড়কে মানুষজন না থাকায় ব্যবসা নেই। অন্যদিকে ঠান্ডার কারণে ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেও কষ্ট হচ্ছে। নগরের জামালখান এলাকার কলা বিক্রেতা এখলাস উদ্দিন বলেন, ‘সোয়েটার, টুপি, মাফলার পরেও বাঁচতে পারছি না। শীত মানছে না।’
চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জ্বল কান্তি পাল প্রথম আলোকে বলেন, আগামী ৫-৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এই কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকতে পারে। রাতের দিকে শীত আরও বাড়বে। বাতাসের গতি বাড়লে শীত বেশি অনুভূত হতে পারে।
সূত্র: প্রথম আলো
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, দক্ষ ও আধা দক্ষ শ্রমিকসহ বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভিসা সুবিধা পুনরায় চালু করতে বাহরাইনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন কাতারের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের ওপর যেকোনো হুমকির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দৃঢ় সংহতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ইসির নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নিবন্ধন শেষ হলে সেই তথ্য সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চলে যাবে। তাদের মাধ্যমে পৃথক ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা হবে। এরপর নির্ধারিত সময়ে ভোটারের ঠিকানায় তিন খামের ভেতর ব্যালট পাঠানো হবে।
সভায় জানানো হয়, দেশের মোট কর্মসংস্থানের উল্লেখযোগ্য অংশ কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্পে হলেও জাতীয় অর্থনীতিতে এর অবদান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছেনি। এ পরিপ্রেক্ষিতে, ব্যাপক সম্ভাবনাময় এ খাতের প্রসারে চলতি অর্থবছরে পিকেএসএফ মোট ৪ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।