ফারহানা আহমেদ লিসা, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র
ডা. শুভাগত স্যারের ছাত্রী আমি। সময়টা ১৯৯৩ সাল। সদ্য মেডিকেলের ক্লাস শুরু করেছি। বায়োকেমিস্ট্রির মতো কঠিন একটা বিষয় লেকচার গ্যালারিতে কী সুন্দর সহজভাবে স্যার বুঝিয়ে দিতেন। মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনতাম। সে শিক্ষা কাজে লেগেছে আজীবন। স্যার একসময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল হলেন। এ মেডিকেলকে তিনি অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন।
কিন্তু চট্টগ্রাম মেডিকেলে পড়তে যাওয়ার আগেই মার কাছে শুনেছিলাম তিনি স্যারের মা ড. মঞ্জুশ্রী চৌধুরীর (একজন বরেণ্য লেখক) একজন ভক্ত।
স্যারের ব্যক্তিত্ব অসাধারণ, একজন পারফেক্ট জেন্টলম্যান। যাঁর কাছে তাঁর পরিবারের সন্মান আকাশচুম্বী, যোগ্য মায়ের সুযোগ্য সন্তান স্যারের মতো মানুষের অসম্ভব বেশি প্রয়োজন দেশে। লন্ডন থেকে পিএইডডি করে এসেও দেশে আমাদেরকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য ফিরে এসেছিলেন আপনি, একজন মানুষ গড়ার কারিগর।
আমেরিকায় আসার পর পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে স্যারের লেখা পড়তাম। তারপর স্যারের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে অ্যাড হবার সৌভাগ্য হয়েছিল বছর কয়েকের জন্য। কয়েক দিন আগে স্যারের জন্মদিন ছিল। জীবনের শেষ লেখাতেও মানুষ কীভাবে সুস্থ থাকবেন সেসব লিখে গেছেন।
সর্বশেষ লেখাতেও লিখে গেছেন একজন ডাক্তারের বেতন কত হওয়া উচিত। স্যার শুধু একজন ডাক্তার হিসেবে দেখেননি, দেখেছেন একজন মানুষ যাঁর পরিবার সন্তান নিয়ে মানবসেবা করতে গিয়ে জীবনের সবটুকু দিয়ে দিতে হয়, জীবনধারণের সামান্য রসদ যুগোপযোগী না দিলে একজন ডাক্তার এ পেশায় কীভাবে টিকে থাকবেন?
স্যারের অসংখ্য বই আছে কীভাবে সুস্থ জীবনযাপন করা যাবে এ বিষয়ে। স্বাস্থ্যকর ঘরোয়া রান্না, ব্যায়ামের ওপর কত কত লেখা তিনি লিখেছেন। লিখেছেন ডায়াবেটিসসহ অনেক ক্রনিক রোগ নিয়ন্ত্রণ করার কথা। বছর কয়েক আগে কানাডায় মেয়ের কাছে গিয়ে একবার অনেক অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন স্যার। ভেবেছিলেন আর হয়তো ফিরবেন না স্যার সুস্থ হয়ে।
স্যার ফিরলেন, দেশেই চিকিৎসা নিলেন জীবনের বাকি কয়টা বছর নিজের ছাত্র ছাত্রীদের কাছে, যাদের সুনাম তিনি অসংখ্যবার করেছেন। লিখলেন ক্যানসারের সাথে বসবাস বিষয়ে বই। একটা ক্যানসার হাসপাতাল করার স্যারের ভীষণ ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সে ইচ্ছা পূরণের আগেই (১৫ জানুয়ারি) দূর আকাশের তারা হয়ে গেলেন স্যার আমার মতো দেশি–বিদেশি অনেক ছাত্রছাত্রীদের জীবনে জ্ঞানের আলো জ্বালিয়ে।
ওপারে ভালো থাকবেন স্যার। আপনার অভাব জীবনে পূরণ হবে না।
—ডা. ফারহানা আহমেদ
চিকিৎসক (মেডিসিন বিশেষজ্ঞ)
সান ডিয়াগো, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট
ডা. শুভাগত স্যারের ছাত্রী আমি। সময়টা ১৯৯৩ সাল। সদ্য মেডিকেলের ক্লাস শুরু করেছি। বায়োকেমিস্ট্রির মতো কঠিন একটা বিষয় লেকচার গ্যালারিতে কী সুন্দর সহজভাবে স্যার বুঝিয়ে দিতেন। মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনতাম। সে শিক্ষা কাজে লেগেছে আজীবন। স্যার একসময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল হলেন। এ মেডিকেলকে তিনি অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন।
কিন্তু চট্টগ্রাম মেডিকেলে পড়তে যাওয়ার আগেই মার কাছে শুনেছিলাম তিনি স্যারের মা ড. মঞ্জুশ্রী চৌধুরীর (একজন বরেণ্য লেখক) একজন ভক্ত।
স্যারের ব্যক্তিত্ব অসাধারণ, একজন পারফেক্ট জেন্টলম্যান। যাঁর কাছে তাঁর পরিবারের সন্মান আকাশচুম্বী, যোগ্য মায়ের সুযোগ্য সন্তান স্যারের মতো মানুষের অসম্ভব বেশি প্রয়োজন দেশে। লন্ডন থেকে পিএইডডি করে এসেও দেশে আমাদেরকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য ফিরে এসেছিলেন আপনি, একজন মানুষ গড়ার কারিগর।
আমেরিকায় আসার পর পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে স্যারের লেখা পড়তাম। তারপর স্যারের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে অ্যাড হবার সৌভাগ্য হয়েছিল বছর কয়েকের জন্য। কয়েক দিন আগে স্যারের জন্মদিন ছিল। জীবনের শেষ লেখাতেও মানুষ কীভাবে সুস্থ থাকবেন সেসব লিখে গেছেন।
সর্বশেষ লেখাতেও লিখে গেছেন একজন ডাক্তারের বেতন কত হওয়া উচিত। স্যার শুধু একজন ডাক্তার হিসেবে দেখেননি, দেখেছেন একজন মানুষ যাঁর পরিবার সন্তান নিয়ে মানবসেবা করতে গিয়ে জীবনের সবটুকু দিয়ে দিতে হয়, জীবনধারণের সামান্য রসদ যুগোপযোগী না দিলে একজন ডাক্তার এ পেশায় কীভাবে টিকে থাকবেন?
স্যারের অসংখ্য বই আছে কীভাবে সুস্থ জীবনযাপন করা যাবে এ বিষয়ে। স্বাস্থ্যকর ঘরোয়া রান্না, ব্যায়ামের ওপর কত কত লেখা তিনি লিখেছেন। লিখেছেন ডায়াবেটিসসহ অনেক ক্রনিক রোগ নিয়ন্ত্রণ করার কথা। বছর কয়েক আগে কানাডায় মেয়ের কাছে গিয়ে একবার অনেক অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন স্যার। ভেবেছিলেন আর হয়তো ফিরবেন না স্যার সুস্থ হয়ে।
স্যার ফিরলেন, দেশেই চিকিৎসা নিলেন জীবনের বাকি কয়টা বছর নিজের ছাত্র ছাত্রীদের কাছে, যাদের সুনাম তিনি অসংখ্যবার করেছেন। লিখলেন ক্যানসারের সাথে বসবাস বিষয়ে বই। একটা ক্যানসার হাসপাতাল করার স্যারের ভীষণ ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সে ইচ্ছা পূরণের আগেই (১৫ জানুয়ারি) দূর আকাশের তারা হয়ে গেলেন স্যার আমার মতো দেশি–বিদেশি অনেক ছাত্রছাত্রীদের জীবনে জ্ঞানের আলো জ্বালিয়ে।
ওপারে ভালো থাকবেন স্যার। আপনার অভাব জীবনে পূরণ হবে না।
—ডা. ফারহানা আহমেদ
চিকিৎসক (মেডিসিন বিশেষজ্ঞ)
সান ডিয়াগো, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া ‘টাইগার শার্ক’ সফলভাবে শেষ হয়েছে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি, পারস্পরিক সমন্বয় এবং দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে পরিচালিত এই মহড়ার মাধ্যমে দুই পক্ষের প্রতিরক্ষা অংশীদারত্ব জোরদার হয়েছে।
ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়া আলোচিত সিনেমা 'উৎসব' এবার আসছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে। তানিম নূর পরিচালিত সিনেমাটির কথা পৌঁছে গেছে দেশের আনাচে–কানাচে, প্রবাসী বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে। দর্শকেরা তাই সিনেমাটি দেখার আগ্রহের কথা জানিয়ে আসছিলেন সামাজিক মাধ্যমে।
এশিয়া কাপের ভেন্যু ও ম্যাচের সময়সূচি প্রকাশ করেছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। এবার এশিয়া কাপে 'বি' গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের সবগুলো ম্যাচই পড়েছে আবুধাবির শেখ আবু জায়েদ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
সৌদি আরবের সঙ্গে প্রবাসী কর্মী ও কর্মসংস্থান নিয়ে একটি চুক্তি সই করা হচ্ছে বলে জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, ২ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে এটা জানতে পারবেন। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সৌদি আরবের সঙ্গে প্রবাসী কর্মীদের নিয়ে একটি চুক্তি হচ্ছে।