বিডিজেন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে দর-কষাকষিতে সব পক্ষের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের মতামত শুনে মনে হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত এই পাল্টা শুল্কের আলোচনাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। এ বিষয়ে তৈরি পোশাকশিল্পসহ সামগ্রিক শিল্প খাত জড়িত।
খবর প্রথম আলোর।
আজ মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর বনানীর এক হোটেলে ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে বৈঠক করে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৈঠকে ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সাবেক সভাপতি তপন চৌধুরী, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ, তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান টি রহমান ও সহসভাপতি সিমিন রহমান, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলএফএমইএবি) সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, বাংলাদেশ টেরি টাওয়েল অ্যান্ড লিলেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিটিএলএমইএ) সাবেক চেয়ারম্যান এম শাহদাৎ হোসেন, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের ওপর আমাদের মোট রপ্তানির একটি বড় অংশ নির্ভর করে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাত। যুক্তরাষ্ট্রে বছরে প্রায় আট বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয়। এর সঙ্গে জড়িত আরও প্রায় ১৫-১৬ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান। তাই এ সমস্যার সমাধান সঠিকভাবে না করা গেলে শুধু রপ্তানি খাত নয়, এর সঙ্গে কর্মসংস্থান, শিল্প ও সেবা খাতেও এর প্রভাব পড়বে। এটা অনেক বড় বিষয়। শুল্কের এই বিষয় অন্য কোনো কিছুর সঙ্গে মেলানো সম্ভব নয়।
আমীর খসরু আরও বলেন, ‘সবাই মিলে দেশের স্বার্থে একটা সুষ্ঠু সমাধানের জন্য আমরা আজকে বসেছি। আমরা ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের কথা শুনেছি। বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার চেষ্টা করব। সেখানে তাদের মতামতগুলোও তুলে ধরব, যেন এ বিষয়ে একটি সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া যায়।’
এ সময় নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে বিএনপি নেতা আমীর খসরু বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে এই শুল্কের সঙ্গে অনেক ধরনের বিষয় জড়িত আছে। সরকারি কেনাকাটা ও নীতিগত সিদ্ধান্তেও নিরাপত্তার বিষয় থাকতে পারে। অনেকগুলো বিষয় আছে, যেগুলো আমরা পত্রপত্রিকায় দেখতে পাচ্ছি। যেহেতু এ বিষয়টি প্রকাশযোগ্য নয় তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। তবে সবকিছু মিলিয়ে আমাদের একটা সমাধানের জায়গায় আসতে হবে। এত বড় রপ্তানির বাজার হারানো যাবে না।’
আমীর খসরু বলেন, ‘ভারত, ভিয়েতনামসহ অন্য প্রতিযোগী দেশের কথাও আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে। তাদের শুল্ক যদি আমাদের চেয়ে কম হয় তাহলে আমাদের পক্ষে রপ্তানির বাজারে প্রতিযোগিতা করা কঠিন হবে।’
বৈঠক শেষে নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে আমাদের এই বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। মূলত আমাদের কথা শোনার জন্য এই বৈঠকের আয়োজন করা হয় বলে জানিয়েছে বিএনপি। বৈঠকে আমরা ব্যবসায়ীরা বলেছি, রাজনৈতিকভাবে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু করণীয় থাকলে যেন সেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। যেকোনো সিদ্ধান্তে যেন দেশের কোনো ক্ষতি না হয় সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে বলেছি আমরা। এ ছাড়া আমরা বলেছি, আমাদের এই শুল্কের পরিমাণ যেন ভারত ও ভিয়েতনামের কাছাকাছি থাকে। তাহলে আমরা এই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে পারব।’
সূত্র: প্রথম আলো
যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে দর-কষাকষিতে সব পক্ষের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের মতামত শুনে মনে হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত এই পাল্টা শুল্কের আলোচনাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। এ বিষয়ে তৈরি পোশাকশিল্পসহ সামগ্রিক শিল্প খাত জড়িত।
খবর প্রথম আলোর।
আজ মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর বনানীর এক হোটেলে ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নিয়ে বৈঠক করে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৈঠকে ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সাবেক সভাপতি তপন চৌধুরী, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ, তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান টি রহমান ও সহসভাপতি সিমিন রহমান, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলএফএমইএবি) সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, বাংলাদেশ টেরি টাওয়েল অ্যান্ড লিলেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিটিএলএমইএ) সাবেক চেয়ারম্যান এম শাহদাৎ হোসেন, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের ওপর আমাদের মোট রপ্তানির একটি বড় অংশ নির্ভর করে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাত। যুক্তরাষ্ট্রে বছরে প্রায় আট বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয়। এর সঙ্গে জড়িত আরও প্রায় ১৫-১৬ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান। তাই এ সমস্যার সমাধান সঠিকভাবে না করা গেলে শুধু রপ্তানি খাত নয়, এর সঙ্গে কর্মসংস্থান, শিল্প ও সেবা খাতেও এর প্রভাব পড়বে। এটা অনেক বড় বিষয়। শুল্কের এই বিষয় অন্য কোনো কিছুর সঙ্গে মেলানো সম্ভব নয়।
আমীর খসরু আরও বলেন, ‘সবাই মিলে দেশের স্বার্থে একটা সুষ্ঠু সমাধানের জন্য আমরা আজকে বসেছি। আমরা ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের কথা শুনেছি। বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার চেষ্টা করব। সেখানে তাদের মতামতগুলোও তুলে ধরব, যেন এ বিষয়ে একটি সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া যায়।’
এ সময় নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে বিএনপি নেতা আমীর খসরু বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে এই শুল্কের সঙ্গে অনেক ধরনের বিষয় জড়িত আছে। সরকারি কেনাকাটা ও নীতিগত সিদ্ধান্তেও নিরাপত্তার বিষয় থাকতে পারে। অনেকগুলো বিষয় আছে, যেগুলো আমরা পত্রপত্রিকায় দেখতে পাচ্ছি। যেহেতু এ বিষয়টি প্রকাশযোগ্য নয় তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। তবে সবকিছু মিলিয়ে আমাদের একটা সমাধানের জায়গায় আসতে হবে। এত বড় রপ্তানির বাজার হারানো যাবে না।’
আমীর খসরু বলেন, ‘ভারত, ভিয়েতনামসহ অন্য প্রতিযোগী দেশের কথাও আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে। তাদের শুল্ক যদি আমাদের চেয়ে কম হয় তাহলে আমাদের পক্ষে রপ্তানির বাজারে প্রতিযোগিতা করা কঠিন হবে।’
বৈঠক শেষে নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে আমাদের এই বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। মূলত আমাদের কথা শোনার জন্য এই বৈঠকের আয়োজন করা হয় বলে জানিয়েছে বিএনপি। বৈঠকে আমরা ব্যবসায়ীরা বলেছি, রাজনৈতিকভাবে বিএনপির পক্ষ থেকে কিছু করণীয় থাকলে যেন সেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। যেকোনো সিদ্ধান্তে যেন দেশের কোনো ক্ষতি না হয় সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে বলেছি আমরা। এ ছাড়া আমরা বলেছি, আমাদের এই শুল্কের পরিমাণ যেন ভারত ও ভিয়েতনামের কাছাকাছি থাকে। তাহলে আমরা এই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে পারব।’
সূত্র: প্রথম আলো
সৌদি আরবের সঙ্গে প্রবাসী কর্মী ও কর্মসংস্থান নিয়ে একটি চুক্তি সই করা হচ্ছে বলে জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, ২ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে এটা জানতে পারবেন। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সৌদি আরবের সঙ্গে প্রবাসী কর্মীদের নিয়ে একটি চুক্তি হচ্ছে।
জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ৫ আগস্ট বিকেল ৫টায় জাতির সামনে জুলাই ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করা হবে। শনিবার (২ আগস্ট) দুপুর ১২টার পর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট দিয়ে এ কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বাংলাদেশের বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক, সাংবাদিক ও অনুবাদক মশিউল আলম ইতালির চিভিতেলা রানিয়েরি ফেলোশিপে ভূষিত হয়েছেন। এই আন্তর্জাতিক সম্মাননা প্রতিবছর বিশ্বের খ্যাতিমান ভিজ্যুয়াল শিল্পী, লেখক ও সংগীতজ্ঞদের দেওয়া হয়। মশিউল আলম এই ফেলোশিপপ্রাপ্ত প্রথম বাংলাদেশি লেখক।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরত এসেছেন আরও ৩৯ বাংলাদেশি। একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরত আসেন তারা। আজ শনিবার (২ আগস্ট) সকালে রাজধানী ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় দলটি।