
বিডিজেন ডেস্ক

কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরের লক্ষ্মীপুর এলাকার সুমন মিয়া (৪২) চাল ব্যবসায়ী ছিলেন। বছরখানেক ধরে ব্যবসা ভালো যাচ্ছিল না তার। উন্নত জীবনের আশায় ইতালি যাবেন বলে ৪ মাস আগে দেশ ছাড়েন।
এই জন্য কয়েক দফায় দালাল চক্রকে দেন ১৮ লাখ টাকা। কিন্তু তার আর ইতালি যাওয়া হয়নি। লিবিয়ায় অবস্থানের সময় গত বুধবার সুমনের মৃত্যুর খবর পান পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের অভিযোগ, সুমনের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। দালাল চক্রের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে।
খবর প্রথম আলোর
গতকাল শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে সুমনের স্ত্রী তানজিনা বেগম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন। সুমন ভৈরব পৌর শহরের লক্ষ্মীপুর এলাকার মাহমুদ হোসেনের ছেলে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন লিবিয়া পর্যন্ত পৌঁছান নিজ উদ্যোগে। সেখানে গিয়ে দাদা নামের একজন দালালের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। দাদার মাধ্যমে পরিচয় ঘটে ভৈরব উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুর গ্রামের চান মিয়ার মেয়ে সুইটি বেগমের সঙ্গে। সুইটির স্বামীর নাম মোজাম্মেল হক। তিনি ইতালি লোক পাঠান। বর্তমানে দেশে রয়েছেন সুইটি। সমুদ্রপথে ইতালি পৌঁছানোর প্রতিশ্রুতিতে সুমনের পরিবারের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নেন সুইটি। কথা ছিল, চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি ইতালি পৌঁছে দেবেন। গত বুধবার খবর আসে সুমন ইতালি পৌঁছাতে পারেননি, মারা গেছেন।
সুমনের স্ত্রী তানজিনা বেগম বলেন, ‘সুইটিকে ১০ লাখ টাকা দেওয়া ছাড়াও অন্য দালালকে বড় অঙ্কের টাকা দিতে হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৮ লাখ টাকা খরচ হয়ে যায়। জমি, স্বর্ণালংকার বিক্রি ও ধার করে এই টাকা সংগ্রহ করা হয়েছিল। আমার স্বামীর সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয় ২৩ জানুয়ারি। তখন তিনি আমাকে জানিয়েছেন দালাল চক্র তার সঙ্গে টালবাহানা করছে। স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর দালাল সুইটির কাছে যাই। সুইটি তখন জানান, আমার স্বামী ইতালি পৌঁছে গেছে। সুইটি মৃত্যুর কথা স্বীকার করেননি। পরবর্তী সময় লিবিয়ার দালালের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। ফোন ধরেনি। এই অবস্থায় ৩ সন্তান নিয়ে পথে বসা ছাড়া আর কিছু দেখছি না।’
এ বিষয়ে সুইটি বলেন, ‘ইতালি পৌঁছানোর সকল ব্যবস্থা আমি করে রেখেছিলাম। এখন কেউ যদি গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে মারা যান, সে ক্ষেত্রে আমার কী করার থাকতে পারে।’ সুমনের মৃত্যু স্বাভাবিক দাবি করে সুইটি বলেন, সুমনের ওপর কোনো ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়নি।
সুমনের মৃত্যুর তথ্যটি জেনেছেন জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শবনম শারমিন বলেন, ‘সুমন অবৈধ পথে ইতালি যেতে চেয়েছিলেন। আমরা খোঁজ নিচ্ছি মন্ত্রণালয় তথ্যটি জানে কি না। না জানা থাকলে লিখিতভাবে জানিয়ে লাশ ফেরত পাওয়ার আবেদন জানাব।’
সূত্র: প্রথম আলো

কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরের লক্ষ্মীপুর এলাকার সুমন মিয়া (৪২) চাল ব্যবসায়ী ছিলেন। বছরখানেক ধরে ব্যবসা ভালো যাচ্ছিল না তার। উন্নত জীবনের আশায় ইতালি যাবেন বলে ৪ মাস আগে দেশ ছাড়েন।
এই জন্য কয়েক দফায় দালাল চক্রকে দেন ১৮ লাখ টাকা। কিন্তু তার আর ইতালি যাওয়া হয়নি। লিবিয়ায় অবস্থানের সময় গত বুধবার সুমনের মৃত্যুর খবর পান পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের অভিযোগ, সুমনের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। দালাল চক্রের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে।
খবর প্রথম আলোর
গতকাল শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে সুমনের স্ত্রী তানজিনা বেগম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন। সুমন ভৈরব পৌর শহরের লক্ষ্মীপুর এলাকার মাহমুদ হোসেনের ছেলে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, সুমন লিবিয়া পর্যন্ত পৌঁছান নিজ উদ্যোগে। সেখানে গিয়ে দাদা নামের একজন দালালের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। দাদার মাধ্যমে পরিচয় ঘটে ভৈরব উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুর গ্রামের চান মিয়ার মেয়ে সুইটি বেগমের সঙ্গে। সুইটির স্বামীর নাম মোজাম্মেল হক। তিনি ইতালি লোক পাঠান। বর্তমানে দেশে রয়েছেন সুইটি। সমুদ্রপথে ইতালি পৌঁছানোর প্রতিশ্রুতিতে সুমনের পরিবারের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নেন সুইটি। কথা ছিল, চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি ইতালি পৌঁছে দেবেন। গত বুধবার খবর আসে সুমন ইতালি পৌঁছাতে পারেননি, মারা গেছেন।
সুমনের স্ত্রী তানজিনা বেগম বলেন, ‘সুইটিকে ১০ লাখ টাকা দেওয়া ছাড়াও অন্য দালালকে বড় অঙ্কের টাকা দিতে হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৮ লাখ টাকা খরচ হয়ে যায়। জমি, স্বর্ণালংকার বিক্রি ও ধার করে এই টাকা সংগ্রহ করা হয়েছিল। আমার স্বামীর সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয় ২৩ জানুয়ারি। তখন তিনি আমাকে জানিয়েছেন দালাল চক্র তার সঙ্গে টালবাহানা করছে। স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর দালাল সুইটির কাছে যাই। সুইটি তখন জানান, আমার স্বামী ইতালি পৌঁছে গেছে। সুইটি মৃত্যুর কথা স্বীকার করেননি। পরবর্তী সময় লিবিয়ার দালালের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। ফোন ধরেনি। এই অবস্থায় ৩ সন্তান নিয়ে পথে বসা ছাড়া আর কিছু দেখছি না।’
এ বিষয়ে সুইটি বলেন, ‘ইতালি পৌঁছানোর সকল ব্যবস্থা আমি করে রেখেছিলাম। এখন কেউ যদি গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে মারা যান, সে ক্ষেত্রে আমার কী করার থাকতে পারে।’ সুমনের মৃত্যু স্বাভাবিক দাবি করে সুইটি বলেন, সুমনের ওপর কোনো ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়নি।
সুমনের মৃত্যুর তথ্যটি জেনেছেন জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শবনম শারমিন বলেন, ‘সুমন অবৈধ পথে ইতালি যেতে চেয়েছিলেন। আমরা খোঁজ নিচ্ছি মন্ত্রণালয় তথ্যটি জানে কি না। না জানা থাকলে লিখিতভাবে জানিয়ে লাশ ফেরত পাওয়ার আবেদন জানাব।’
সূত্র: প্রথম আলো
ভুক্তভোগীরা বিডিজেনকে জানান, তারা বিভিন্ন সময় ধাপে ধাপে প্রায় ৪ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা বগুড়ায় বসবাসকারী একজন দালালের মাধ্যমে রিক্রুটিং এজেন্সির কাছে জমা দিয়েছিলেন। ওই দালাল অভিযুক্ত দুই এজেন্সির হয়ে কাজ করেন। গত দুই বছরের বেশি সময়েও ভুক্তভোগীরা বিদেশ যেতে না পারায় বাধ্য হয়ে বিএমইটিতে অভিযোগ করেন।
আন্তর্জাতিক ও জাতীয় অভিবাসী দিবস আজ ১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার)। অভিবাসী ও তাদের পরিবারের মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতি বছরের এই দিনে বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের পাশাপাশি জাতীয় অভিবাসী দিবস হিসেবে পালিত হয়।
গ্রামীণ ব্যাংকের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গ্রামাঞ্চলের নারীরা সন্তানদের বিদেশে পাঠাতে ঋণের জন্য আবেদন জানাতে শুরু করলে প্রথম দালালচক্রের বাস্তব চিত্র তার সামনে আসে।
লিবিয়ায় তিন বাংলাদেশিকে অপহরণের পর মুক্তিপণের দাবিতে শারীরিক নির্যাতনের ভিডিও চিত্র পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তাদের পরিবার। অপহরণকারী চক্রটি ডাচ বাংলা ব্যাংকের মতিঝিল করপোরেট শাখার একটি হিসাব নম্বরে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেছে।

ভুক্তভোগীরা বিডিজেনকে জানান, তারা বিভিন্ন সময় ধাপে ধাপে প্রায় ৪ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা বগুড়ায় বসবাসকারী একজন দালালের মাধ্যমে রিক্রুটিং এজেন্সির কাছে জমা দিয়েছিলেন। ওই দালাল অভিযুক্ত দুই এজেন্সির হয়ে কাজ করেন। গত দুই বছরের বেশি সময়েও ভুক্তভোগীরা বিদেশ যেতে না পারায় বাধ্য হয়ে বিএমইটিতে অভিযোগ করেন।
১ দিন আগে