ফারহানা আহমেদ লিসা, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র
সানডিয়েগোতে বাংলাদেশিরাই আমার আর আমার দুই বাচ্চার পরিবার। দেশ থেকে বহু দূরে থাকি ছোট্ট এক টুকরো বাংলাদেশে যেন। যে কয় দিন কাজ করি, বাসায় এসে বাচ্চাদের সঙ্গে ইফতার করা একটু কঠিন হয়ে পড়ে। দ্বিতীয় রোজার দিন তাই আমি আর বাচ্চারা ঠিক করলাম কাছের কয়েকটি পরিবার নিয়ে একসঙ্গে ইফতার করব। সব সময় ছুটির দিনে কারও না কারও বাসায় আমরা যাই। ইফতারের সময় একটু ভয় ছিল পারব তো? আধা ঘণ্টা আগে থেকেই বন্ধুরা আসা শুরু করল। এরপর ইফতারি সাজানো, কোন খাবার কখন বের করব, সব তারা নিজের কাঁধে তুলে নিলেন।
একসঙ্গে দোয়া, নামাজ পড়ে অপূর্ব মায়াময় একটা মাসের শুরু। ইনারামনি তার বাবা আর মাকে অসম্ভব ব্যস্ত রাখে। খুব চঞ্চল, আর সারা দিন ব্যথা পায়, আমাদের ভবিষ্যৎ আইনস্টাইন। সে ইফতারের খুশিতে শুরু করল নাচ। বাইরে তখন শুরু হয়েছে শিলাবৃষ্টি। কেউ কেউ চলে গেলেন মসজিদে তারাবিহ পড়তে। এক বছরের চারুলতা মায়ের সঙ্গে বসল বাসায়। আমার মেয়ে ‘রামাদান কারিম’ লেখা লাইট সাজিয়েছে।
পরের সপ্তাহে কনির বাসায় গেলাম আমরা ইফতারে। দোয়ার পর জমজম কূপের পানি দিয়ে ইফতার শুরু করলাম। রোজা রেখে সব খাবার এত অপূর্ব করে রান্না করে পরিবেশন করা ওর পক্ষেই সম্ভব। ভালোবাসামাখা যে।
চার শনিবারে মুসলিম কমিউনিটি সেন্টারে বড় করে সবাইকে ইফতারি খাওয়ান সবাই, তিন শনিবার অন্য দেশিরা। একটা শনিবার আমাদের সবাই ইফতারি খাওয়াই। একটা উৎসবমুখর পরিবেশ। খাবার আসে রেস্তোরাঁ থেকে, ফল সবাই কাটেন, গোছান।
গত শনিবার কাজ ছিল। যেতে পারিনি, নামাজ শেষে আমার আপা ঠিকই মসজিদের ইফতারি আমাদের দিয়েছেন বাসায় এসে। এই ইফতারির সঙ্গে সবাই বাড়তি টাকা দেন, মসজিদের জন্য। বেশ কয়েক বছর ধরে এ নিয়মই চলছে। জাকাত–ফিতরা সবাই দেশেই পাঠান, তবে অনেককে ঈদের নামাজের আগে ফিতরা মসজিদে দিতে দেখেছি। দেশে অনেকেই বিভিন্নভাবে ইফতারি খাওয়ান মানুষকে। ফান্ড রেইজ করেন। পরবর্তী প্রজন্ম শিখছে। আমাদের আশা, নাড়ির টান সব সময় যেন থাকে ওদের মধ্যে।
আগে ছোট করে কয়েকটা হতো। আর গত বছর থেকে বড় করেই হচ্ছে চাঁদরাত উদ্যাপন। একদিকে ঈদের আনন্দে গান, অন্যদিকে মেহেদির রঙে সাজছে সবাই। স্থানীয় বেশ কিছু শিল্পী আছেন নাচগানের। সেই সঙ্গে ছোট বাচ্চাদের পরিবেশনা দেশের আনন্দমুখর দিনগুলোয় নিয়ে যায়। নজরুলের ‘বুলবুলি’ গানটা গাওয়ার খুব ইচ্ছা আছে, তবে সেই রাতেই হাসপাতালের কাজে কেউ সিক কল করেছে। আমাকে আগেভাগে বলে রেখেছে যেতে। আকুল আবেদন জানিয়েছি, কেউ যদি তোলে সে শিফটটা। না তুললে সারা রাত কাজ করে দিনে হবে ঈদ। কাছের মানুষগুলোকে দেখব—এ আনন্দ রাখি কোথায়।
সবাইকে আগাম ঈদ মোবারক। পৃথিবীতে আসুক শান্তি আর ভালোবাসা। সবাইকে নিয়ে আমরা যেন খুব ভালো থাকি।
সানডিয়েগোতে বাংলাদেশিরাই আমার আর আমার দুই বাচ্চার পরিবার। দেশ থেকে বহু দূরে থাকি ছোট্ট এক টুকরো বাংলাদেশে যেন। যে কয় দিন কাজ করি, বাসায় এসে বাচ্চাদের সঙ্গে ইফতার করা একটু কঠিন হয়ে পড়ে। দ্বিতীয় রোজার দিন তাই আমি আর বাচ্চারা ঠিক করলাম কাছের কয়েকটি পরিবার নিয়ে একসঙ্গে ইফতার করব। সব সময় ছুটির দিনে কারও না কারও বাসায় আমরা যাই। ইফতারের সময় একটু ভয় ছিল পারব তো? আধা ঘণ্টা আগে থেকেই বন্ধুরা আসা শুরু করল। এরপর ইফতারি সাজানো, কোন খাবার কখন বের করব, সব তারা নিজের কাঁধে তুলে নিলেন।
একসঙ্গে দোয়া, নামাজ পড়ে অপূর্ব মায়াময় একটা মাসের শুরু। ইনারামনি তার বাবা আর মাকে অসম্ভব ব্যস্ত রাখে। খুব চঞ্চল, আর সারা দিন ব্যথা পায়, আমাদের ভবিষ্যৎ আইনস্টাইন। সে ইফতারের খুশিতে শুরু করল নাচ। বাইরে তখন শুরু হয়েছে শিলাবৃষ্টি। কেউ কেউ চলে গেলেন মসজিদে তারাবিহ পড়তে। এক বছরের চারুলতা মায়ের সঙ্গে বসল বাসায়। আমার মেয়ে ‘রামাদান কারিম’ লেখা লাইট সাজিয়েছে।
পরের সপ্তাহে কনির বাসায় গেলাম আমরা ইফতারে। দোয়ার পর জমজম কূপের পানি দিয়ে ইফতার শুরু করলাম। রোজা রেখে সব খাবার এত অপূর্ব করে রান্না করে পরিবেশন করা ওর পক্ষেই সম্ভব। ভালোবাসামাখা যে।
চার শনিবারে মুসলিম কমিউনিটি সেন্টারে বড় করে সবাইকে ইফতারি খাওয়ান সবাই, তিন শনিবার অন্য দেশিরা। একটা শনিবার আমাদের সবাই ইফতারি খাওয়াই। একটা উৎসবমুখর পরিবেশ। খাবার আসে রেস্তোরাঁ থেকে, ফল সবাই কাটেন, গোছান।
গত শনিবার কাজ ছিল। যেতে পারিনি, নামাজ শেষে আমার আপা ঠিকই মসজিদের ইফতারি আমাদের দিয়েছেন বাসায় এসে। এই ইফতারির সঙ্গে সবাই বাড়তি টাকা দেন, মসজিদের জন্য। বেশ কয়েক বছর ধরে এ নিয়মই চলছে। জাকাত–ফিতরা সবাই দেশেই পাঠান, তবে অনেককে ঈদের নামাজের আগে ফিতরা মসজিদে দিতে দেখেছি। দেশে অনেকেই বিভিন্নভাবে ইফতারি খাওয়ান মানুষকে। ফান্ড রেইজ করেন। পরবর্তী প্রজন্ম শিখছে। আমাদের আশা, নাড়ির টান সব সময় যেন থাকে ওদের মধ্যে।
আগে ছোট করে কয়েকটা হতো। আর গত বছর থেকে বড় করেই হচ্ছে চাঁদরাত উদ্যাপন। একদিকে ঈদের আনন্দে গান, অন্যদিকে মেহেদির রঙে সাজছে সবাই। স্থানীয় বেশ কিছু শিল্পী আছেন নাচগানের। সেই সঙ্গে ছোট বাচ্চাদের পরিবেশনা দেশের আনন্দমুখর দিনগুলোয় নিয়ে যায়। নজরুলের ‘বুলবুলি’ গানটা গাওয়ার খুব ইচ্ছা আছে, তবে সেই রাতেই হাসপাতালের কাজে কেউ সিক কল করেছে। আমাকে আগেভাগে বলে রেখেছে যেতে। আকুল আবেদন জানিয়েছি, কেউ যদি তোলে সে শিফটটা। না তুললে সারা রাত কাজ করে দিনে হবে ঈদ। কাছের মানুষগুলোকে দেখব—এ আনন্দ রাখি কোথায়।
সবাইকে আগাম ঈদ মোবারক। পৃথিবীতে আসুক শান্তি আর ভালোবাসা। সবাইকে নিয়ে আমরা যেন খুব ভালো থাকি।
এই মানবিকতা আমেরিকানদের জন্য নতুন নয়। ক্যালিফোর্নিয়াতে নিজেকে কখনো ইমিগ্র্যান্ট মনে হয়নি নিজেকে। মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়ায়। হাত বাড়িয়ে দেয় সাহায্যে।
আমেরিকায় আসার আমার ২৫ বছর পূর্ণ হলো। সময়ের হিসাবে এটি অনেক লম্বা একটা সময়। প্রথম প্রথম এখানে এসে অনেক লাভ–লোকসানের হিসাব করতাম। একটা পর্যায়ে দেশে ফেরত যাবারও ইচ্ছা করেছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি। তাই জীবনকে এখানে অন্যভাবে সাজিয়ে নিয়েছি।
একাকিত্ব একটি জটিল ও বহুমাত্রিক মানসিক সমস্যা। এটি মানুষের মনোজগতে গভীর প্রভাব ফেলে। এটি শুধুমাত্র শারীরিক বিচ্ছিন্নতা বা একা থাকার অনুভূতি নয়, বরং মানসিক ও আবেগিক বিচ্ছিন্নতার অনুভূতিও তৈরি করে। তবে একাকিত্বকে শুধু নেতিবাচক হিসেবে দেখার কোনো কারণ নেই।
বিশ্ব মা দিবসের প্রাক্কালে পুলিশ অফিসার পলাশ চলে গেলেন। মা একটা অপরূপ শব্দ, একটা অনন্য সম্পর্ক যেটা পৃথিবীর সুন্দরতম সম্পর্কের একটা। নিজের জীবন বাজি রেখে মা সন্তানের জন্ম দেন, তিল তিল করে বড় করে তোলেন।