

শরীফুল আলম

আমি বসন্তের দেশে যাব
আমি প্রাচীন কাক, বাবুই, দোয়েল, সারসের দেশে যাব,
আমি এখন ক্লান্ত এক প্রাণ
নির্জনে অক্ষর নিয়ে থাকি
আবার ভাবছি, ফিরব না আর
ওখানে এখন তুষের আড়ালে বিড়াল লুকায়
স্বপ্ন যেটুকু আছে তা কেবলই উষ্ণতা
প্রতিটি দিন সেখানে অন্যরকম,
কুয়াশায় ঘ্রাণ হয়তো বা এখনো আছে
ঘন নীল জলও হয়তো বা আছে
বনপথে পদচিহ্ন কে জানে হয়তো বা আছে
জামরুল, জারুল আছে
শুধু পাইনের আলোড়ন নেই সেখানে।

আমার মাঝেমাধ্যে মনে হয়
তবে কি ওটাই পৃথিবীর শেষ বিন্দু?
যেখানে ঈশ্বর থাকেন!
আশ্রয়হীন কুকুর, বেড়াল, মানুষ যেখানে থাকে
আবার ফিনকি দিয়ে জ্যোৎস্নাও সেখানে ওঠে
সেকি জ্যোৎস্নার আলোর সুগন্ধি!
আমি তার সুগন্ধে ধ্যানে থাকি
এখনো ইচ্ছে হয় ফসলি জমির আল ধরে আমি হাঁটি
নবান্ন ভাতে থানকুনির ঝোল মিশাই।
আমার আজও মনে পড়ে
আমাদের বাড়ির আঙ্গিনায় নীল অপরাজিতার কথা
মনে পড়ে কোকিলের গেয়ে চলা উচ্চাঙ্গ সংগীতের কথা
মনে পড়ে বানভাসি মানুষের অজস্র দুঃখের কথা,
গোমতীর ওপারে ভারত
ওপারের পাখি এপারে আসে
এপারের পাখি যায় ওপারে
হয়তো বা হেমন্তজুড়ে নেচে ওঠে প্রাণ
যদিও উদগ্রীব সীমান্ত জোয়ানের চোখে বিস্ময়
ওপারের নুড়ি আসে এপারে
আমিও একদিন প্রত্যাবর্তন করব আমার দেশে।
*লেখক বোর্ড মেম্বার, পিভিসি কন্টেইনার করপোরেশন ইএসএ, কলামিস্ট ও কবি।
নিউইয়র্ক, আমেরিকা। ইমেইল: [email protected]

আমি বসন্তের দেশে যাব
আমি প্রাচীন কাক, বাবুই, দোয়েল, সারসের দেশে যাব,
আমি এখন ক্লান্ত এক প্রাণ
নির্জনে অক্ষর নিয়ে থাকি
আবার ভাবছি, ফিরব না আর
ওখানে এখন তুষের আড়ালে বিড়াল লুকায়
স্বপ্ন যেটুকু আছে তা কেবলই উষ্ণতা
প্রতিটি দিন সেখানে অন্যরকম,
কুয়াশায় ঘ্রাণ হয়তো বা এখনো আছে
ঘন নীল জলও হয়তো বা আছে
বনপথে পদচিহ্ন কে জানে হয়তো বা আছে
জামরুল, জারুল আছে
শুধু পাইনের আলোড়ন নেই সেখানে।

আমার মাঝেমাধ্যে মনে হয়
তবে কি ওটাই পৃথিবীর শেষ বিন্দু?
যেখানে ঈশ্বর থাকেন!
আশ্রয়হীন কুকুর, বেড়াল, মানুষ যেখানে থাকে
আবার ফিনকি দিয়ে জ্যোৎস্নাও সেখানে ওঠে
সেকি জ্যোৎস্নার আলোর সুগন্ধি!
আমি তার সুগন্ধে ধ্যানে থাকি
এখনো ইচ্ছে হয় ফসলি জমির আল ধরে আমি হাঁটি
নবান্ন ভাতে থানকুনির ঝোল মিশাই।
আমার আজও মনে পড়ে
আমাদের বাড়ির আঙ্গিনায় নীল অপরাজিতার কথা
মনে পড়ে কোকিলের গেয়ে চলা উচ্চাঙ্গ সংগীতের কথা
মনে পড়ে বানভাসি মানুষের অজস্র দুঃখের কথা,
গোমতীর ওপারে ভারত
ওপারের পাখি এপারে আসে
এপারের পাখি যায় ওপারে
হয়তো বা হেমন্তজুড়ে নেচে ওঠে প্রাণ
যদিও উদগ্রীব সীমান্ত জোয়ানের চোখে বিস্ময়
ওপারের নুড়ি আসে এপারে
আমিও একদিন প্রত্যাবর্তন করব আমার দেশে।
*লেখক বোর্ড মেম্বার, পিভিসি কন্টেইনার করপোরেশন ইএসএ, কলামিস্ট ও কবি।
নিউইয়র্ক, আমেরিকা। ইমেইল: [email protected]
আমি দেখি এক তরুণের হাত/ পতাকা ছুঁয়ে থমকে যায়/ যেন এক মুহূর্তে/ ইতিহাস তার বুকে ঢুকে পড়ে/ ধুকধুক ধুকধুক করে।
আমার আজও মনে পড়ে/ আমাদের বাড়ির আঙ্গিনায় নীল অপরাজিতার কথা/ মনে পড়ে কোকিলের গেয়ে চলা উচ্চাঙ্গ সংগীতের কথা/ মনে পড়ে বানভাসি মানুষের অজস্র দুঃখের কথা,
একটি সভ্য দেশে এ ধরনের বর্বরতা কখনোই কাম্য নয় এবং কখনো এটা আশা করিনি। অস্ট্রেলিয়া একটি শান্তিপূর্ণ দেশ; এখানে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আশা করা যায় না। ধর্মীয় বিদ্বেষ ধেকে এ ধরনের বর্বরোচিত হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। এ ধরনের ঘটনা শুধু ইহুদির জন্য নয়, আমাদের সবার জন্যই উদ্বেগজনক।
বাংলাদেশেরও একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিদেশের মাটিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে, যা অনেকেরই অজানা। প্রতিষ্ঠানটির নাম বাংলাদেশ স্কুল মাস্কাট। এটি ইংরেজি মাধ্যম অ্যাডেক্সসেল কারিকুলামের অধীনে পরিচালিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ওমানের রাজধানী মাস্কাটের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই স্কুল।