বাসস, ঢাকা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়ের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ের জন্য আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাতে পেরে আমি আনন্দিত।’
বার্তায় তিনি বলেন, ‘আপনার দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া আপনার নেতৃত্ব ও দৃষ্টিভঙ্গি যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে আলোড়িত করেছে তারই প্রতিফলন।’
ড. ইঊনূস বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে আপনার নেতৃত্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উন্নতির পথে তার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে এবং বিশ্বজুড়ে অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে।’
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের কথা স্মরণ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগের মেয়াদে দুদেশের মধ্যকার সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে আরো গভীর ও বিস্তৃত হয়েছে।
দুদেশের অংশীদারিত্ব আরও জোরদার এবং টেকসই উন্নয়ন এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছেন উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ অংশীদারিত্বের নতুন নতুন ক্ষেত্র অন্বেষণে কাজ করার অফুরান সম্ভাবনা রয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘সবার জন্য শান্তি, সম্প্রীতি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আপনার প্রচেষ্টায় অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার জন্য বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ার অঙ্গীকারের নিরিখে অপেক্ষায় রয়েছে।’
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্বাগত জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সদ্যবিজয়ী রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। ট্রাম্পের নেতৃত্বে দুই দেশের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ সরকার। গতকাল ৬ নভেম্বর বুধবার রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমাদের তরফ থেকে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে স্বাগত জানায়। আমরা মনে করি ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিজয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরো উচ্চতায় যাবে।’
জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে বলে মন্তব্য করেন শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিমধ্যে ভাল সম্পর্ক আছে। তবে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর এই সম্পর্ক ভিন্ন মাত্রায় এসেছে, কারণ যুক্তরাষ্ট্র চায় পৃথিবীর সকল দেশে গণতন্ত্র থাকুক, সবাই গনতন্ত্রের চর্চা করুক। গত ১৫/১৬ বছর বাংলাদেশে একটি স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতায় ছিলো-সেই জায়গা থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ হলো গণতান্ত্রিক উত্তোরণ ঘটানো। সেই কারণে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে এখন কাজ করা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।’
প্রেস সচিব বলেন, অন্তর্বতী সরকার গণতন্ত্র উত্তরণে কাজ করছে। আমরা মনে করি গণতন্ত্র উত্তোরণের স্বার্থে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সাথে ট্রাম্পও চাইবে সারা পৃথিবীতে গণতন্ত্রের বিস্তার ঘটুক। তাই আমরা আশা করছি ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ হবে। তিনি উল্লেখ করেন অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় দলের সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে। এই দুই দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে বলে তিনি জানান।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়ের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ের জন্য আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাতে পেরে আমি আনন্দিত।’
বার্তায় তিনি বলেন, ‘আপনার দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া আপনার নেতৃত্ব ও দৃষ্টিভঙ্গি যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে আলোড়িত করেছে তারই প্রতিফলন।’
ড. ইঊনূস বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে আপনার নেতৃত্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উন্নতির পথে তার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে এবং বিশ্বজুড়ে অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে।’
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের কথা স্মরণ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগের মেয়াদে দুদেশের মধ্যকার সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে আরো গভীর ও বিস্তৃত হয়েছে।
দুদেশের অংশীদারিত্ব আরও জোরদার এবং টেকসই উন্নয়ন এগিয়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছেন উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ অংশীদারিত্বের নতুন নতুন ক্ষেত্র অন্বেষণে কাজ করার অফুরান সম্ভাবনা রয়েছে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘সবার জন্য শান্তি, সম্প্রীতি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আপনার প্রচেষ্টায় অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার জন্য বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ার অঙ্গীকারের নিরিখে অপেক্ষায় রয়েছে।’
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্বাগত জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সদ্যবিজয়ী রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। ট্রাম্পের নেতৃত্বে দুই দেশের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ সরকার। গতকাল ৬ নভেম্বর বুধবার রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমাদের তরফ থেকে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে স্বাগত জানায়। আমরা মনে করি ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বিজয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরো উচ্চতায় যাবে।’
জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে বলে মন্তব্য করেন শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিমধ্যে ভাল সম্পর্ক আছে। তবে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর এই সম্পর্ক ভিন্ন মাত্রায় এসেছে, কারণ যুক্তরাষ্ট্র চায় পৃথিবীর সকল দেশে গণতন্ত্র থাকুক, সবাই গনতন্ত্রের চর্চা করুক। গত ১৫/১৬ বছর বাংলাদেশে একটি স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতায় ছিলো-সেই জায়গা থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ হলো গণতান্ত্রিক উত্তোরণ ঘটানো। সেই কারণে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে এখন কাজ করা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।’
প্রেস সচিব বলেন, অন্তর্বতী সরকার গণতন্ত্র উত্তরণে কাজ করছে। আমরা মনে করি গণতন্ত্র উত্তোরণের স্বার্থে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সাথে ট্রাম্পও চাইবে সারা পৃথিবীতে গণতন্ত্রের বিস্তার ঘটুক। তাই আমরা আশা করছি ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ হবে। তিনি উল্লেখ করেন অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় দলের সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে। এই দুই দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে বলে তিনি জানান।
ইরানে ইসরায়েলি হামলার মধ্যে নিরাপত্তা শঙ্কায় দেশটির রাজধানী তেহরান থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নিষিদ্ধ করার সুযোগ তৈরি করে আইন সংশোধনের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক।
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে আজ মঙ্গলবারও (১৭ জুন) সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন সরকারি কর্মচারীরা।
যশোরের শার্শা উপজেলায় এক প্রবাসী তরুণকে অপহরণ করে শারীরিক নির্যাতন ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় কিছু দুর্বৃত্ত এই ঘটনায় জড়িত। মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছিল ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছে।