বিডিজেন ডেস্ক
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, তারা কমিশনের পক্ষ থেকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের প্রস্তাব করেছেন। এর মধ্যে নিম্নকক্ষ হবে বর্তমান আসনভিত্তিক। আর উচ্চকক্ষ হবে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর)। সংবিধান সংস্কার কমিশনও একই রকম প্রস্তাব করেছে।
খবর প্রথম আলোর।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এই দুটো পদ্ধতিরই কিন্তু ইতিবাচক দিক আছে, নেতিবাচক দিকও আছে। ভালো দিক আছে, খারাপ দিকও আছে। কোনোটিই ‘অ্যাবসলিউটলি পারফেক্ট’ তথা একেবারে নিখুঁত নয়।
শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ‘জুলাই সনদ: আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবায়ন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বদিউল আলম মজুমদার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি নিয়ে তাঁর একটি বক্তব্য খণ্ডিতভাবে ভাইরাল করা হয়েছে উল্লেখ করে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সম্প্রতি আমার একটা বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে। যে বক্তব্যটা ভাইরাল হয়েছে, ওটার কোনো সূত্র নেই, ওটা কবে, কোথায় আমি বক্তব্য দিয়েছি। শুধু তা–ই নয়, এটা খণ্ডিতভাবে উত্থাপন করা হয়েছে পিআর পদ্ধতির ব্যাপারে। আমি নাকি পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে, এ রকম অবস্থান নিয়েছি।’
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, খণ্ডিত যে বক্তব্যের মাধ্যমে ভুল–বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছে, তিনি আশা করেন তার অবসান হবে। এ জন্যই তারা দুটোরই (আসনভিত্তিক ও সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি) প্রস্তাব করেছেন।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সংবিধানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো মানুষের অধিকার। যে সংবিধানে অধিকারগুলো যত বিস্তৃত হয়, মানুষ তত বেশি অধিকার উপভোগ করেন। ১৯৭২ সালের সংবিধানে সেটা (মানুষের অধিকার) সংকুচিত করা হয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের মাধ্যমে মানুষের মৌলিক অধিকারের পরিধি বাড়ানের চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি।
পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন সত্যিকার অর্থে যাতে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হয়, যাতে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে এবং মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারে, তারা সেই চেষ্টাও করেছেন বলে জানান নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান।
জুলাই–আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কের বিষয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, জুলাই জাতীয় সনদে তারা জাতিসংঘ ঘোষিত যে তথ্য, সেটা বিবেচনায় নিয়েছেন। জুলাই ঘোষণায় সরকারের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে তাদের সংখ্যার অমিল আছে। এই বিষয়ের সুরাহা হয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
গণতন্ত্রের জন্য দেশের জন্য সবাই এক—এতটুকু যদি ঠিক থাকে, তাহলে কোথাও তেমন কোনো সমস্যা হবে না বলে গোলটেবিল বৈঠকে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন। তিনি বলেন, ‘ভিন্নমত থাকবে, ভিন্নপথ থাকবে, ভিন্ন অবস্থান থাকবে। তবে দেশের স্বার্থে শেষ পর্যন্ত ভিন্ন ভিন্ন পথ বেয়ে আমরা একই গন্তব্যে পৌঁছাব।’
মাহাদী আমিন বলেন, ‘যদি আমরা জুলাই সনদের কথাই বলি বা অন্য যেকোনো নামে জোর করে কাউকে চাপিয়ে দেওয়া হয় যে তুমি এটা ভিন্ন কথা বলছ, এটা হবে না। এটাই মানতে হবে। এটাও তো গণতান্ত্রিক আচরণ নয়। এটাও একটা ভিন্নতান্ত্রিক স্বৈরশাসন।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘বিএনপির দিক থেকে আমরা বলছি, আমাদের জার্নিটা ডিফারেন্ট (যাত্রাটা ভিন্ন) হতে পারে। বাট ডেস্টিনেশন (কিন্তু গন্তব্য হচ্ছে) হচ্ছে এমন একটা বাংলাদেশ গড়ে তোলা, যেখানে আমরা সত্যিই মানবাধিকারটা নিশ্চিত করতে পারব। সত্যিই আইনের অনুশাসনটা প্রতিষ্ঠা করতে পারব। সত্যিই সবার বাক্স্বাধীনতা দিতে পারব।’
সব রাজনৈতিক দল এক হলে জুলাই সনদ এখনই বাস্তবায়ন সম্ভব বলে গোলটেবিল বৈঠকে মত দেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। আর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মজলিসে শুরার সদস্য কামাল হোসেন বলেন, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ও এর আইনি ভিত্তি থাকা দরকার।
শহীদ সৈকতের বোন সাবরিনা আফরোজ অভিযোগ করেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে যেসব পরিবারের সদস্যরা শহীদ ও আহত হয়েছেন, তাদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে পলাতক ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ। তিনি এসব পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনামের সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক জুবায়ের ইবনে কামালের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) মহাসচিব মমিনুল আমিন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি প্রমুখ।
সূত্র: প্রথম আলো
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, তারা কমিশনের পক্ষ থেকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের প্রস্তাব করেছেন। এর মধ্যে নিম্নকক্ষ হবে বর্তমান আসনভিত্তিক। আর উচ্চকক্ষ হবে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর)। সংবিধান সংস্কার কমিশনও একই রকম প্রস্তাব করেছে।
খবর প্রথম আলোর।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এই দুটো পদ্ধতিরই কিন্তু ইতিবাচক দিক আছে, নেতিবাচক দিকও আছে। ভালো দিক আছে, খারাপ দিকও আছে। কোনোটিই ‘অ্যাবসলিউটলি পারফেক্ট’ তথা একেবারে নিখুঁত নয়।
শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ‘জুলাই সনদ: আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবায়ন’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বদিউল আলম মজুমদার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি নিয়ে তাঁর একটি বক্তব্য খণ্ডিতভাবে ভাইরাল করা হয়েছে উল্লেখ করে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সম্প্রতি আমার একটা বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে। যে বক্তব্যটা ভাইরাল হয়েছে, ওটার কোনো সূত্র নেই, ওটা কবে, কোথায় আমি বক্তব্য দিয়েছি। শুধু তা–ই নয়, এটা খণ্ডিতভাবে উত্থাপন করা হয়েছে পিআর পদ্ধতির ব্যাপারে। আমি নাকি পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে, এ রকম অবস্থান নিয়েছি।’
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, খণ্ডিত যে বক্তব্যের মাধ্যমে ভুল–বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছে, তিনি আশা করেন তার অবসান হবে। এ জন্যই তারা দুটোরই (আসনভিত্তিক ও সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি) প্রস্তাব করেছেন।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সংবিধানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো মানুষের অধিকার। যে সংবিধানে অধিকারগুলো যত বিস্তৃত হয়, মানুষ তত বেশি অধিকার উপভোগ করেন। ১৯৭২ সালের সংবিধানে সেটা (মানুষের অধিকার) সংকুচিত করা হয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের মাধ্যমে মানুষের মৌলিক অধিকারের পরিধি বাড়ানের চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি।
পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন সত্যিকার অর্থে যাতে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হয়, যাতে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে এবং মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারে, তারা সেই চেষ্টাও করেছেন বলে জানান নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান।
জুলাই–আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কের বিষয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, জুলাই জাতীয় সনদে তারা জাতিসংঘ ঘোষিত যে তথ্য, সেটা বিবেচনায় নিয়েছেন। জুলাই ঘোষণায় সরকারের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে তাদের সংখ্যার অমিল আছে। এই বিষয়ের সুরাহা হয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
গণতন্ত্রের জন্য দেশের জন্য সবাই এক—এতটুকু যদি ঠিক থাকে, তাহলে কোথাও তেমন কোনো সমস্যা হবে না বলে গোলটেবিল বৈঠকে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন। তিনি বলেন, ‘ভিন্নমত থাকবে, ভিন্নপথ থাকবে, ভিন্ন অবস্থান থাকবে। তবে দেশের স্বার্থে শেষ পর্যন্ত ভিন্ন ভিন্ন পথ বেয়ে আমরা একই গন্তব্যে পৌঁছাব।’
মাহাদী আমিন বলেন, ‘যদি আমরা জুলাই সনদের কথাই বলি বা অন্য যেকোনো নামে জোর করে কাউকে চাপিয়ে দেওয়া হয় যে তুমি এটা ভিন্ন কথা বলছ, এটা হবে না। এটাই মানতে হবে। এটাও তো গণতান্ত্রিক আচরণ নয়। এটাও একটা ভিন্নতান্ত্রিক স্বৈরশাসন।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘বিএনপির দিক থেকে আমরা বলছি, আমাদের জার্নিটা ডিফারেন্ট (যাত্রাটা ভিন্ন) হতে পারে। বাট ডেস্টিনেশন (কিন্তু গন্তব্য হচ্ছে) হচ্ছে এমন একটা বাংলাদেশ গড়ে তোলা, যেখানে আমরা সত্যিই মানবাধিকারটা নিশ্চিত করতে পারব। সত্যিই আইনের অনুশাসনটা প্রতিষ্ঠা করতে পারব। সত্যিই সবার বাক্স্বাধীনতা দিতে পারব।’
সব রাজনৈতিক দল এক হলে জুলাই সনদ এখনই বাস্তবায়ন সম্ভব বলে গোলটেবিল বৈঠকে মত দেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। আর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মজলিসে শুরার সদস্য কামাল হোসেন বলেন, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ও এর আইনি ভিত্তি থাকা দরকার।
শহীদ সৈকতের বোন সাবরিনা আফরোজ অভিযোগ করেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে যেসব পরিবারের সদস্যরা শহীদ ও আহত হয়েছেন, তাদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে পলাতক ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ। তিনি এসব পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনামের সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক জুবায়ের ইবনে কামালের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) মহাসচিব মমিনুল আমিন, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি প্রমুখ।
সূত্র: প্রথম আলো
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিবন্ধনের জন্য ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ নামের অ্যাপ তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অত্যাধুনিক ভিসা আবেদন কেন্দ্র চালু করেছে ফ্রান্স। স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ভিসা প্রার্থী বাংলাদেশি আবেদনকারীদের উন্নত সেবা প্রদানের জন্য আবেদন কেন্দ্রটি চালু করা হয়।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ভোট দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রবাসী বাংলাদেশিরা যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা আছে বলে ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
অবৈধ পথে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিতে গিয়ে লিবিয়ায় ধরা পড়া ১৭৬ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।