
রহমান মৃধা

জানালার বাইরে শরতের সোনালি আলো ছড়িয়ে আছে। বাতাসে পাতা ঝরার মৃদু শব্দ। এমন সময় মনে হলো, জীবনের ছয় দশকের দীর্ঘ পথ পেরিয়ে দাঁড়িয়ে আছি এক অচেনা মোড়ে।
হাসি, তামাশা, আনন্দ, উল্লাস, প্রেম, প্রীতি, ভালোবাসা, বিরহ, বিচ্ছেদ, কর্ম, অকর্ম, ব্যর্থতা, সফলতা, কলহ, দ্বন্দ্ব, পূর্ণতা, অপূর্ণতা, ভালো মন্দ, সবকিছু মিলিয়ে গড়ে উঠেছে আমার ‘আমি’। আজ এই নিঃশব্দ বিকেলে মনে হয়, যেন ইতিহাস, ভূগোল, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান, প্রযুক্তি আর গণিতের মতো বিষয়ও জীবনের অংশ হয়ে গেছে। সবকিছু যেন মিশে আছে এক অদৃশ্য সমীকরণে।
প্রশ্ন জাগে, কেন আজ এমন ভাবনা? তাহলে কি জীবনের সন্ধ্যা সত্যিই ঘনিয়ে এসেছে? তা আমি জানি না। তবে শরৎচন্দ্রের মতো এতটুকু বলতে পারি, ‘মরতে তো একদিন হবেই।’
সুইডেনে একটি প্রবাদ আছে, ‘Dödsstädning।’ বাংলায় বলা যায় ‘মৃত্যুর আগে গুছিয়ে নেওয়া’, অথবা আরও গভীরভাবে ‘জীবনের শেষ পরিস্কার’। ভাবনাটা সহজ, যেমন আপনি একটি বাসা ভাড়া নিলেন, এক বছর থাকার পর ছেড়ে দিলেন।
তখন নিয়মানুযায়ী বাসাটি আগের মতো পরিষ্কার অবস্থায় রেখে যেতে হয়। নইলে জরিমানা, এমনকি শাস্তিও হতে পারে।
এই শৃঙ্খলা শুধু ঘরবাড়ির নয়, একটি জীবনের প্রতিও শ্রদ্ধা ও দায়বোধ। সুইডিশ সমাজে রেপুটেশন বা সামাজিক বিশ্বাসই সবচেয়ে বড় সম্পদ। ভালো রেপুটেশন থাকলে সবকিছু সহজ হয়; খারাপ থাকলে জীবনের প্রতিটি দরজা ধীরে ধীরে বন্ধ হতে থাকে।
আমরা সবাই ঝুঁকি নিয়ে বেঁচে আছি। অনেক কিছু ঠিকমতো করি, আবার অনেক কিছু করেও অসম্পূর্ণ রেখে যাই। যেমন, হঠাৎ বাবার মৃত্যু হলো। তিনি অঢেল সম্পদ রেখে গেলেন, কিন্তু সঙ্গে রইল কিছু অসমাপ্ত হিসাব, অবিভক্ত সম্পত্তি, অনিষ্পন্ন ঋণ, ভাই-বোনদের বঞ্চনা কিংবা পুরোনো পারিবারিক জটিলতা।
একটি মৃত্যুর পরই সম্পর্কগুলো যেন অদৃশ্য পরীক্ষায় পড়ে যায়।
একদিকে কান্নার রোল, অন্যদিকে সম্পত্তির হিসাব-নিকাশ, কে কী পাবে, কে পাবে না। তারপর শুরু হয় মামলা, উকিল, কোর্ট-কাচারি, শালিশ, অপমান, দুঃখ, সব মিলিয়ে এক অনন্ত ক্লান্তি।
এই দৃশ্য শুধু বাংলাদেশে নয়, প্রায় গোটা বিশ্বেই ঘটে।
সমাধান হয়, কিন্তু প্রায়ই ভালোবাসা, বিশ্বাস আর সম্পর্কের বিনিময়ে। মানবজাতি আজ নিজের সৃষ্টি করা জটিলতায়ই আবদ্ধ। আমরা মহাকাশে উড়েছি, প্রযুক্তিকে বশ করেছি, কিন্তু নিজেকে গুছিয়ে নেওয়া শেখিনি।
প্রাচীন মিসরে মানুষ মৃত্যুর আগেই নিজের পরকালীন যাত্রার জন্য প্রস্তুত হতো। কফিনে রাখত প্রিয় জিনিস, প্রিয় চিন্তা, প্রিয় স্মৃতি। জাপানের সামুরাইরাও বিশ্বাস করত, মৃত্যুর আগে নিজের অস্তিত্বকে পরিস্কার করা। এটিই জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা।
সুইডিশ সমাজে Dödsstädning সেই প্রাচীন বোধেরই আধুনিক রূপ, নিজের জীবন গুছিয়ে নেওয়া, যেন মৃত্যুর পরও অন্যের জীবন বিশৃঙ্খল না হয়।
আমাদের সমাজেও যদি এই সংস্কৃতি গড়ে উঠত, ‘মৃত্যুর আগে গুছিয়ে নেওয়া’, তবে কত সম্পর্ক বাঁচত, কত অশ্রু শুকিয়ে যেত, আর কত সন্তান মুক্ত হতো পিতার অসমাপ্ত দায় থেকে। এই শিক্ষা আসলে মৃত্যুর প্রস্তুতির নয়, জীবনের পরিপূর্ণতার শিক্ষা।
তবু আমি মনে করি, মৃত্যু কেবল শেষ নয়। এ যেন পরকালের এক নতুন দেখা, এক সাধ, এক প্রতীক্ষা, এক পুনর্মিলনের আশা।
আমরা যেন মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, এ দেখাই যেন শেষ দেখা না হয়। ডেসটিনি যেন বারবার মনে করিয়ে দেয়, আবার দেখা হবে পরকালে।
আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত একদিন নিজের জন্য সেই নীরব, সৎ মুহূর্তটি খুঁজে বের করা, যেখানে আমরা নিজেকে প্রশ্ন করব: ‘আমি কি গুছিয়ে রেখে যাচ্ছি আমার ইহকালের জীবন?’
কারণ, মৃত্যুর আগে গুছিয়ে নেওয়াই জীবনের প্রতি সবচেয়ে বড় শ্রদ্ধা। আর সেই শ্রদ্ধাই মানুষকে অমর করে, তার চলে যাওয়ায় নয়, রেখে যাওয়া আলোয়।
জন্মের পর দীর্ঘ সময় আমরা পরনির্ভরশীল থাকি, কারও স্নেহ, কারও যত্ন, কারও আশ্রয়ে বড় হয়ে উঠি। তারপর শুরু হয় দায়িত্বের দীর্ঘ পথচলা, পরিবার, সমাজ, কর্মক্ষেত্র, নানান বাধ্যবাধকতা আর প্রতিশ্রুতির জালে জড়িয়ে ধীরে ধীরে পৌঁছে যাই বার্ধক্যের দোরগোড়ায়। সেখানে এসে আবারও পরনির্ভর হয়ে পড়ি, এক অদৃশ্য চক্রে ঘুরে আসি জীবনের সূচনাবিন্দুতে।
তাহলে প্রশ্ন জাগে, এই জীবন যার শুরু ও শেষ দুই দিকেই পরনির্ভরতার ছায়া, সেই জীবনের মাঝখানে এত পাপের বোঝা, এত অশান্তি, এত অপরাধবোধ ও অনুশোচনার ভার কেন বহন করতে হবে?
যেহেতু জীবনের শুরু ও শেষের নিয়তি আমাদের হাতে নয়, তাই মাঝের সময়টুকুই আমাদের একমাত্র মুক্ত ভূমি, যেখানে মানুষ হতে পারে নিজের সত্য রূপে, নিজের আলোয়। এই মাঝখানের সময়টাই হোক আত্মনির্ভরতার ঋতু, নির্মল আনন্দের স্বপ্ন আর মনের মুক্তির অধ্যায়।
এখানেই মানুষ শিখুক, জীবন মানে শুধু বেঁচে থাকা নয়; বরং ভারমুক্ত হয়ে, পাপমুক্ত হয়ে, অন্তরের শান্তি ও সৌন্দর্যের পথে এগিয়ে যাওয়া।
এই মাঝের সময়টুকু হোক আত্মনির্ভরতার আরাধনা, নৈতিক জাগরণের ঋতু, আর নিজের সঙ্গে পুনর্মিলনের সবচেয়ে পবিত্র মুহূর্ত।
এভাবেই হয়তো মানবজীবনের পরম লক্ষ্য নিজেকে আবিষ্কার করা, নিজেকে অতিক্রম করা, এবং সেই অতিক্রমণের মধ্য দিয়েই প্রকৃত মুক্তি খুঁজে পাওয়া।
(মতামত লেখকের নিজস্ব
*লেখক গবেষক ও সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন। ইমেইল: [email protected]

জানালার বাইরে শরতের সোনালি আলো ছড়িয়ে আছে। বাতাসে পাতা ঝরার মৃদু শব্দ। এমন সময় মনে হলো, জীবনের ছয় দশকের দীর্ঘ পথ পেরিয়ে দাঁড়িয়ে আছি এক অচেনা মোড়ে।
হাসি, তামাশা, আনন্দ, উল্লাস, প্রেম, প্রীতি, ভালোবাসা, বিরহ, বিচ্ছেদ, কর্ম, অকর্ম, ব্যর্থতা, সফলতা, কলহ, দ্বন্দ্ব, পূর্ণতা, অপূর্ণতা, ভালো মন্দ, সবকিছু মিলিয়ে গড়ে উঠেছে আমার ‘আমি’। আজ এই নিঃশব্দ বিকেলে মনে হয়, যেন ইতিহাস, ভূগোল, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান, প্রযুক্তি আর গণিতের মতো বিষয়ও জীবনের অংশ হয়ে গেছে। সবকিছু যেন মিশে আছে এক অদৃশ্য সমীকরণে।
প্রশ্ন জাগে, কেন আজ এমন ভাবনা? তাহলে কি জীবনের সন্ধ্যা সত্যিই ঘনিয়ে এসেছে? তা আমি জানি না। তবে শরৎচন্দ্রের মতো এতটুকু বলতে পারি, ‘মরতে তো একদিন হবেই।’
সুইডেনে একটি প্রবাদ আছে, ‘Dödsstädning।’ বাংলায় বলা যায় ‘মৃত্যুর আগে গুছিয়ে নেওয়া’, অথবা আরও গভীরভাবে ‘জীবনের শেষ পরিস্কার’। ভাবনাটা সহজ, যেমন আপনি একটি বাসা ভাড়া নিলেন, এক বছর থাকার পর ছেড়ে দিলেন।
তখন নিয়মানুযায়ী বাসাটি আগের মতো পরিষ্কার অবস্থায় রেখে যেতে হয়। নইলে জরিমানা, এমনকি শাস্তিও হতে পারে।
এই শৃঙ্খলা শুধু ঘরবাড়ির নয়, একটি জীবনের প্রতিও শ্রদ্ধা ও দায়বোধ। সুইডিশ সমাজে রেপুটেশন বা সামাজিক বিশ্বাসই সবচেয়ে বড় সম্পদ। ভালো রেপুটেশন থাকলে সবকিছু সহজ হয়; খারাপ থাকলে জীবনের প্রতিটি দরজা ধীরে ধীরে বন্ধ হতে থাকে।
আমরা সবাই ঝুঁকি নিয়ে বেঁচে আছি। অনেক কিছু ঠিকমতো করি, আবার অনেক কিছু করেও অসম্পূর্ণ রেখে যাই। যেমন, হঠাৎ বাবার মৃত্যু হলো। তিনি অঢেল সম্পদ রেখে গেলেন, কিন্তু সঙ্গে রইল কিছু অসমাপ্ত হিসাব, অবিভক্ত সম্পত্তি, অনিষ্পন্ন ঋণ, ভাই-বোনদের বঞ্চনা কিংবা পুরোনো পারিবারিক জটিলতা।
একটি মৃত্যুর পরই সম্পর্কগুলো যেন অদৃশ্য পরীক্ষায় পড়ে যায়।
একদিকে কান্নার রোল, অন্যদিকে সম্পত্তির হিসাব-নিকাশ, কে কী পাবে, কে পাবে না। তারপর শুরু হয় মামলা, উকিল, কোর্ট-কাচারি, শালিশ, অপমান, দুঃখ, সব মিলিয়ে এক অনন্ত ক্লান্তি।
এই দৃশ্য শুধু বাংলাদেশে নয়, প্রায় গোটা বিশ্বেই ঘটে।
সমাধান হয়, কিন্তু প্রায়ই ভালোবাসা, বিশ্বাস আর সম্পর্কের বিনিময়ে। মানবজাতি আজ নিজের সৃষ্টি করা জটিলতায়ই আবদ্ধ। আমরা মহাকাশে উড়েছি, প্রযুক্তিকে বশ করেছি, কিন্তু নিজেকে গুছিয়ে নেওয়া শেখিনি।
প্রাচীন মিসরে মানুষ মৃত্যুর আগেই নিজের পরকালীন যাত্রার জন্য প্রস্তুত হতো। কফিনে রাখত প্রিয় জিনিস, প্রিয় চিন্তা, প্রিয় স্মৃতি। জাপানের সামুরাইরাও বিশ্বাস করত, মৃত্যুর আগে নিজের অস্তিত্বকে পরিস্কার করা। এটিই জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা।
সুইডিশ সমাজে Dödsstädning সেই প্রাচীন বোধেরই আধুনিক রূপ, নিজের জীবন গুছিয়ে নেওয়া, যেন মৃত্যুর পরও অন্যের জীবন বিশৃঙ্খল না হয়।
আমাদের সমাজেও যদি এই সংস্কৃতি গড়ে উঠত, ‘মৃত্যুর আগে গুছিয়ে নেওয়া’, তবে কত সম্পর্ক বাঁচত, কত অশ্রু শুকিয়ে যেত, আর কত সন্তান মুক্ত হতো পিতার অসমাপ্ত দায় থেকে। এই শিক্ষা আসলে মৃত্যুর প্রস্তুতির নয়, জীবনের পরিপূর্ণতার শিক্ষা।
তবু আমি মনে করি, মৃত্যু কেবল শেষ নয়। এ যেন পরকালের এক নতুন দেখা, এক সাধ, এক প্রতীক্ষা, এক পুনর্মিলনের আশা।
আমরা যেন মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, এ দেখাই যেন শেষ দেখা না হয়। ডেসটিনি যেন বারবার মনে করিয়ে দেয়, আবার দেখা হবে পরকালে।
আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত একদিন নিজের জন্য সেই নীরব, সৎ মুহূর্তটি খুঁজে বের করা, যেখানে আমরা নিজেকে প্রশ্ন করব: ‘আমি কি গুছিয়ে রেখে যাচ্ছি আমার ইহকালের জীবন?’
কারণ, মৃত্যুর আগে গুছিয়ে নেওয়াই জীবনের প্রতি সবচেয়ে বড় শ্রদ্ধা। আর সেই শ্রদ্ধাই মানুষকে অমর করে, তার চলে যাওয়ায় নয়, রেখে যাওয়া আলোয়।
জন্মের পর দীর্ঘ সময় আমরা পরনির্ভরশীল থাকি, কারও স্নেহ, কারও যত্ন, কারও আশ্রয়ে বড় হয়ে উঠি। তারপর শুরু হয় দায়িত্বের দীর্ঘ পথচলা, পরিবার, সমাজ, কর্মক্ষেত্র, নানান বাধ্যবাধকতা আর প্রতিশ্রুতির জালে জড়িয়ে ধীরে ধীরে পৌঁছে যাই বার্ধক্যের দোরগোড়ায়। সেখানে এসে আবারও পরনির্ভর হয়ে পড়ি, এক অদৃশ্য চক্রে ঘুরে আসি জীবনের সূচনাবিন্দুতে।
তাহলে প্রশ্ন জাগে, এই জীবন যার শুরু ও শেষ দুই দিকেই পরনির্ভরতার ছায়া, সেই জীবনের মাঝখানে এত পাপের বোঝা, এত অশান্তি, এত অপরাধবোধ ও অনুশোচনার ভার কেন বহন করতে হবে?
যেহেতু জীবনের শুরু ও শেষের নিয়তি আমাদের হাতে নয়, তাই মাঝের সময়টুকুই আমাদের একমাত্র মুক্ত ভূমি, যেখানে মানুষ হতে পারে নিজের সত্য রূপে, নিজের আলোয়। এই মাঝখানের সময়টাই হোক আত্মনির্ভরতার ঋতু, নির্মল আনন্দের স্বপ্ন আর মনের মুক্তির অধ্যায়।
এখানেই মানুষ শিখুক, জীবন মানে শুধু বেঁচে থাকা নয়; বরং ভারমুক্ত হয়ে, পাপমুক্ত হয়ে, অন্তরের শান্তি ও সৌন্দর্যের পথে এগিয়ে যাওয়া।
এই মাঝের সময়টুকু হোক আত্মনির্ভরতার আরাধনা, নৈতিক জাগরণের ঋতু, আর নিজের সঙ্গে পুনর্মিলনের সবচেয়ে পবিত্র মুহূর্ত।
এভাবেই হয়তো মানবজীবনের পরম লক্ষ্য নিজেকে আবিষ্কার করা, নিজেকে অতিক্রম করা, এবং সেই অতিক্রমণের মধ্য দিয়েই প্রকৃত মুক্তি খুঁজে পাওয়া।
(মতামত লেখকের নিজস্ব
*লেখক গবেষক ও সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন। ইমেইল: [email protected]
দুপুরে ছেলেকে স্কুল থেকে নিয়ে বাসায় ফিরছি। দেখি আরেকটা ট্রাক থেকে ওয়াশিং মেশিন নামাচ্ছে। বিরাট গাবদা সাইজ। দুই/তিনতলা সিঁড়ি বেয়ে ওঠাতে হবে। বেচারার গার্লফ্রেন্ড নেই পাশে। এবার দেখি ছেলেলা আমার দিকে তাকায়, ‘হাই’ দেয়।
ষাটের দশক শুধু জেইনের জীবন নয়, বদলে দিল এক পুরো প্রজন্মকে। মানুষ শিখল প্রশ্ন করতে, প্রতিবাদ করতে, আর ভালোবাসতে। সত্যিই, এক নতুন সময়ের জন্ম হয়েছিল।
ওমান রাষ্ট্রীয়ভাবে শিক্ষাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যদি ভালো ভূমিকা রাখতে পারে তবে দীর্ঘমেয়াদে ওমানে বাংলাদেশের অবস্থান দৃঢ় হবে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষা ও গবেষণাতেও অবদান রাখতে পারে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিকে মজবুত করার জন্য রাজস্ব খাত ও আর্থিক খাতের সংস্কারকে সংহতভাবে এগিয়ে নিতে হবে। এটি শুধুমাত্র উন্নয়নের জন্য নয় বরং দেশের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।