
নভোনীল রহমান

শান্তিপূর্ণ দেশ অস্ট্রেলিয়ায় হঠাৎ এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। দেশটির নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের সিডনির একটি সমুদ্রসৈকতে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের ‘হানুক্কেহ’ উৎসব চলাকালে বন্দুকধারীর হামলায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
শিক্ষা ভিসায় ২০১৯ সাল থেকে আমি অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী। এই ঘটনা আমার মনে গভীর রেখাপাত করেছে। আমি অন্ট্রেলিয়ায় আসার পর এই ধরনের সহিংসার ঘটনা এই প্রথম ঘটল। গতকাল রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ হামলার ঘটনা ঘটে। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এটি গত তিন দশকে অস্ট্রেলিয়ায় হওয়া সবচেয়ে ভয়াবহ বন্দুক হামলা। ১৯৯৬ সালে তাসমানিয়ার পোর্ট আর্থারে হামলায় ৩৫ জন নিহত হওয়ার পর দেশটিতে কঠোর অস্ত্র আইন কার্যকর হয়েছিল। ২০২৫ সালের বন্দাই বিচের এই হামলাকে গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক বলে উল্লেখ করা হচ্ছে।
ঘটনার সময়
সিডনির বিখ্যাত বন্দাই বিচে স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ইহুদিদের ‘হানুক্কেহ বাই দ্য সি‘ নামে ঐতিহ্যবাহী উৎসব চলাকালে দুজন বন্দুকধারী নির্বিচারে গুলি চালায়। গণমাধ্যমকে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪৭ মিনিটে জনে জনে শতাধিক মানুষ সমুদ্রসৈকতে ও পার্শ্ববর্তী আর্চার পার্কে আনন্দ করছিলেন; ঠিক সেই মুহূর্তে বন্দুকধারীরা তাদের ওপর গুলি ছোড়ে।
হতাহত ও হামলাকারীদের তথ্য
নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন বন্দুকধারী। প্রায় ২৬ জন আহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা ও অন্তত এক শিশু রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বাবা ও ছেলে মিলে এ হামলা করেছে। ৫০ বছর বয়সী বাবা সাজিদ আকরাম ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং তার ২৪ বছর বয়সী ছেলে নাভিদ আকরাম হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
সাজিদ প্রায় ২৭ বছর আগে ১৯৯৮ সালে শিক্ষার্থী ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় এসেছিলেন। ২০০১ সাল থেকে তিনি স্থায়ী ভিসায় ছিলেন। সাজিদ বৈধভাবে ৬টি আগ্নেয়াস্ত্রের মালিক এবং একটি বিনোদনমূলক বন্দুক ক্লাবের সদস্য ছিলেন। আর তার ছেলে নাভিদ জন্মসূত্রে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক।
এই ভয়াবহ ঘটনার পর অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকেরা নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করছেন। একই সঙ্গে কিছু মানুষের বীরত্বের গল্পও সামনে আসছে।
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছে, ঘটনার সময় এক ব্যক্তি হামলাকারীদের একজনকে বাধা দিয়ে তার কাছ থেকে বন্দুক কেড়ে নেন। এমন সাহসিকতার কারণে তাকে ‘বীর’ বলে প্রশংসা করা হচ্ছে। ৪৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম আহমেদ আল আহমেদ। তিনি সিডনিতে একটি ফলের দোকানের মালিক।
নিউ সাউথ ওয়েলসের আইন–শৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে এবিসি নিউজ জানিয়েছে, হামলাকারীদের একজন নাভিদ আকরাম সিডনির দক্ষিণ–পশ্চিমের বনি রিগ এলাকার বাসিন্দা। তার বাড়ি তল্লাশি করা হয়েছে।

ঘটনাক্রম
সন্ধ্যা ৬টা ৪৭ মিনিটে উৎসবের মাঝখানে হঠাৎ ৪০–৫০ রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মানুষ দৌড়ে পালাতে শুরু করে; অনেকে জুতা–ব্যাগ ফেলে রেখে সৈকত ও পার্শ্ববর্তী সড়কে ছুটে যায়। “আমি শুনেছি হয়তো ৪০–৫০ রাউন্ড গুলি; আমরা সবাই আতঙ্কে দৌড় দিয়েছিলাম,” সংবাদমাধ্যমকে বলেন প্রত্যক্ষদর্শী মার্কাস।
বীরের সাহসিকতা
একজন সাধারণ নাগরিকের সাহসিকতা পুরো দেশের হৃদয় জয় করেছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি বন্দুকধারীর কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নিয়ে তাকে মাটিতে চেপে ধরে। এনএসডব্লিউর প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স এই ব্যক্তিকে ‘সত্যিকারের নায়ক’ বলে অভিহিত করে বলেছেন, তার সাহসিকতার কারণে অনেক মানুষের জীবন বেঁচে গেছে।
পুলিশি অভিযান
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হামলার পরপরই প্রায় তিন ডজন পুলিশ ও অ্যাম্বুলেন্স গাড়ি ঘটনাস্থলে আসে। বিশেষ পুলিশ ইউনিট পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে এবং সন্দেহজাজন হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করে। রাত ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে পুলিশ জানায় যে আর কোনো সক্রিয় হামলাকারী নেই এবং এলাকা নিরাপদ করা হয়েছে।

ঘটনার প্রেক্ষাপট
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, হামলার লক্ষ্য ছিল ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের ‘হানুক্কেহ‘ উৎসব। প্রথম দিন হওয়ায় পরিবার–পরিজনসহ বহু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। ইহুদি সংগঠনগুলো এটিকে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের ওপর পরিকল্পিত হামলা বলছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গাজার যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে ঘিরে অস্ট্রেলিয়ায় বিক্ষোভ ও বিদ্বেষমূলক ঘটনার সংখ্যা বেড়েছে। ঘটনার পর ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ এই হামলাকে ‘বেইমান সন্ত্রাসী হামলা’ বলে নিন্দা করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ঘটনাটিকে ‘হৃদয়বিদারক ও বিভৎস’ উল্লেখ করে বলেছেন, গোটা অস্ট্রেলিয়া ইহুদি সম্প্রদায়ের পাশে রয়েছে।
তদন্ত ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এনএসডব্লিউর পুলিশ কমিশনার এই হামলাকে সন্ত্রাসী আক্রমণ বলে ঘোষণা করেছেন।
অস্ট্রেলিয়ান গোয়েন্দা সংস্থা এএসআইওর পরিচালক মাইক বার্গেস জানান, হামলাকারীদের একজন সংস্থার নজরে থাকলেও অবিলম্বে হুমকি হিসেবে তালিকাভুক্ত ছিল না। এখন দেশের সন্ত্রাসবিরোধী ঝুঁকি স্তর ‘সম্ভাব্য’ রাখা হয়েছে এবং আপাতত অন্য কোনো হামলার ইঙ্গিত নেই।
পুলিশ ও ইহুদি নেতাদের মতে, হামলাটি ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের লক্ষ্য করে পরিকল্পিত ছিল এবং ইহুদিবিদ্বেষ থেকে এটা প্রভাবিত হতে পারে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ ও এনএসডব্লিউর প্রিমিয়ার মিন্স জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠক করেছেন এবং ইহুদিদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ান ইহুদি কাউন্সিলের কো–প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স রিভচিন বলেন, “এটি খুব পরিকল্পিত ও লক্ষ্যবস্তু করে করা হামলা। এটা শুধু ইহুদিদেরই নয়, আমাদের সবার জন্য উদ্বেগজনক।”
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় ইমাম কাউন্সিলসহ বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, “এই ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই”। অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছে তারা।
লেখকের মন্তব্য
একটি সভ্য দেশে এ ধরনের বর্বরতা কখনোই কাম্য নয় এবং কখনো এটা আশা করিনি। অস্ট্রেলিয়া একটি শান্তিপূর্ণ দেশ; এখানে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আশা করা যায় না। ধর্মীয় বিদ্বেষ ধেকে এ ধরনের বর্বরোচিত হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। এ ধরনের ঘটনা শুধু ইহুদির জন্য নয়, আমাদের সবার জন্যই উদ্বেগজনক।
*লেখক অস্ট্রেলিয়ার সিডরিপ্রবাসী।

শান্তিপূর্ণ দেশ অস্ট্রেলিয়ায় হঠাৎ এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। দেশটির নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের সিডনির একটি সমুদ্রসৈকতে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের ‘হানুক্কেহ’ উৎসব চলাকালে বন্দুকধারীর হামলায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
শিক্ষা ভিসায় ২০১৯ সাল থেকে আমি অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী। এই ঘটনা আমার মনে গভীর রেখাপাত করেছে। আমি অন্ট্রেলিয়ায় আসার পর এই ধরনের সহিংসার ঘটনা এই প্রথম ঘটল। গতকাল রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ হামলার ঘটনা ঘটে। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এটি গত তিন দশকে অস্ট্রেলিয়ায় হওয়া সবচেয়ে ভয়াবহ বন্দুক হামলা। ১৯৯৬ সালে তাসমানিয়ার পোর্ট আর্থারে হামলায় ৩৫ জন নিহত হওয়ার পর দেশটিতে কঠোর অস্ত্র আইন কার্যকর হয়েছিল। ২০২৫ সালের বন্দাই বিচের এই হামলাকে গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক বলে উল্লেখ করা হচ্ছে।
ঘটনার সময়
সিডনির বিখ্যাত বন্দাই বিচে স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ইহুদিদের ‘হানুক্কেহ বাই দ্য সি‘ নামে ঐতিহ্যবাহী উৎসব চলাকালে দুজন বন্দুকধারী নির্বিচারে গুলি চালায়। গণমাধ্যমকে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪৭ মিনিটে জনে জনে শতাধিক মানুষ সমুদ্রসৈকতে ও পার্শ্ববর্তী আর্চার পার্কে আনন্দ করছিলেন; ঠিক সেই মুহূর্তে বন্দুকধারীরা তাদের ওপর গুলি ছোড়ে।
হতাহত ও হামলাকারীদের তথ্য
নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের পুলিশ জানিয়েছে, হামলায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন বন্দুকধারী। প্রায় ২৬ জন আহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা ও অন্তত এক শিশু রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বাবা ও ছেলে মিলে এ হামলা করেছে। ৫০ বছর বয়সী বাবা সাজিদ আকরাম ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং তার ২৪ বছর বয়সী ছেলে নাভিদ আকরাম হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
সাজিদ প্রায় ২৭ বছর আগে ১৯৯৮ সালে শিক্ষার্থী ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় এসেছিলেন। ২০০১ সাল থেকে তিনি স্থায়ী ভিসায় ছিলেন। সাজিদ বৈধভাবে ৬টি আগ্নেয়াস্ত্রের মালিক এবং একটি বিনোদনমূলক বন্দুক ক্লাবের সদস্য ছিলেন। আর তার ছেলে নাভিদ জন্মসূত্রে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক।
এই ভয়াবহ ঘটনার পর অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকেরা নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করছেন। একই সঙ্গে কিছু মানুষের বীরত্বের গল্পও সামনে আসছে।
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলোতে বলা হয়েছে, ঘটনার সময় এক ব্যক্তি হামলাকারীদের একজনকে বাধা দিয়ে তার কাছ থেকে বন্দুক কেড়ে নেন। এমন সাহসিকতার কারণে তাকে ‘বীর’ বলে প্রশংসা করা হচ্ছে। ৪৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম আহমেদ আল আহমেদ। তিনি সিডনিতে একটি ফলের দোকানের মালিক।
নিউ সাউথ ওয়েলসের আইন–শৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে এবিসি নিউজ জানিয়েছে, হামলাকারীদের একজন নাভিদ আকরাম সিডনির দক্ষিণ–পশ্চিমের বনি রিগ এলাকার বাসিন্দা। তার বাড়ি তল্লাশি করা হয়েছে।

ঘটনাক্রম
সন্ধ্যা ৬টা ৪৭ মিনিটে উৎসবের মাঝখানে হঠাৎ ৪০–৫০ রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মানুষ দৌড়ে পালাতে শুরু করে; অনেকে জুতা–ব্যাগ ফেলে রেখে সৈকত ও পার্শ্ববর্তী সড়কে ছুটে যায়। “আমি শুনেছি হয়তো ৪০–৫০ রাউন্ড গুলি; আমরা সবাই আতঙ্কে দৌড় দিয়েছিলাম,” সংবাদমাধ্যমকে বলেন প্রত্যক্ষদর্শী মার্কাস।
বীরের সাহসিকতা
একজন সাধারণ নাগরিকের সাহসিকতা পুরো দেশের হৃদয় জয় করেছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি বন্দুকধারীর কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নিয়ে তাকে মাটিতে চেপে ধরে। এনএসডব্লিউর প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স এই ব্যক্তিকে ‘সত্যিকারের নায়ক’ বলে অভিহিত করে বলেছেন, তার সাহসিকতার কারণে অনেক মানুষের জীবন বেঁচে গেছে।
পুলিশি অভিযান
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হামলার পরপরই প্রায় তিন ডজন পুলিশ ও অ্যাম্বুলেন্স গাড়ি ঘটনাস্থলে আসে। বিশেষ পুলিশ ইউনিট পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে এবং সন্দেহজাজন হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করে। রাত ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে পুলিশ জানায় যে আর কোনো সক্রিয় হামলাকারী নেই এবং এলাকা নিরাপদ করা হয়েছে।

ঘটনার প্রেক্ষাপট
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, হামলার লক্ষ্য ছিল ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের ‘হানুক্কেহ‘ উৎসব। প্রথম দিন হওয়ায় পরিবার–পরিজনসহ বহু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। ইহুদি সংগঠনগুলো এটিকে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের ওপর পরিকল্পিত হামলা বলছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গাজার যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে ঘিরে অস্ট্রেলিয়ায় বিক্ষোভ ও বিদ্বেষমূলক ঘটনার সংখ্যা বেড়েছে। ঘটনার পর ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ এই হামলাকে ‘বেইমান সন্ত্রাসী হামলা’ বলে নিন্দা করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ঘটনাটিকে ‘হৃদয়বিদারক ও বিভৎস’ উল্লেখ করে বলেছেন, গোটা অস্ট্রেলিয়া ইহুদি সম্প্রদায়ের পাশে রয়েছে।
তদন্ত ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এনএসডব্লিউর পুলিশ কমিশনার এই হামলাকে সন্ত্রাসী আক্রমণ বলে ঘোষণা করেছেন।
অস্ট্রেলিয়ান গোয়েন্দা সংস্থা এএসআইওর পরিচালক মাইক বার্গেস জানান, হামলাকারীদের একজন সংস্থার নজরে থাকলেও অবিলম্বে হুমকি হিসেবে তালিকাভুক্ত ছিল না। এখন দেশের সন্ত্রাসবিরোধী ঝুঁকি স্তর ‘সম্ভাব্য’ রাখা হয়েছে এবং আপাতত অন্য কোনো হামলার ইঙ্গিত নেই।
পুলিশ ও ইহুদি নেতাদের মতে, হামলাটি ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের লক্ষ্য করে পরিকল্পিত ছিল এবং ইহুদিবিদ্বেষ থেকে এটা প্রভাবিত হতে পারে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ ও এনএসডব্লিউর প্রিমিয়ার মিন্স জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠক করেছেন এবং ইহুদিদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ান ইহুদি কাউন্সিলের কো–প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স রিভচিন বলেন, “এটি খুব পরিকল্পিত ও লক্ষ্যবস্তু করে করা হামলা। এটা শুধু ইহুদিদেরই নয়, আমাদের সবার জন্য উদ্বেগজনক।”
অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় ইমাম কাউন্সিলসহ বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, “এই ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই”। অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছে তারা।
লেখকের মন্তব্য
একটি সভ্য দেশে এ ধরনের বর্বরতা কখনোই কাম্য নয় এবং কখনো এটা আশা করিনি। অস্ট্রেলিয়া একটি শান্তিপূর্ণ দেশ; এখানে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আশা করা যায় না। ধর্মীয় বিদ্বেষ ধেকে এ ধরনের বর্বরোচিত হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। এ ধরনের ঘটনা শুধু ইহুদির জন্য নয়, আমাদের সবার জন্যই উদ্বেগজনক।
*লেখক অস্ট্রেলিয়ার সিডরিপ্রবাসী।
আমি দেখি এক তরুণের হাত/ পতাকা ছুঁয়ে থমকে যায়/ যেন এক মুহূর্তে/ ইতিহাস তার বুকে ঢুকে পড়ে/ ধুকধুক ধুকধুক করে।
আমার আজও মনে পড়ে/ আমাদের বাড়ির আঙ্গিনায় নীল অপরাজিতার কথা/ মনে পড়ে কোকিলের গেয়ে চলা উচ্চাঙ্গ সংগীতের কথা/ মনে পড়ে বানভাসি মানুষের অজস্র দুঃখের কথা,
একটি সভ্য দেশে এ ধরনের বর্বরতা কখনোই কাম্য নয় এবং কখনো এটা আশা করিনি। অস্ট্রেলিয়া একটি শান্তিপূর্ণ দেশ; এখানে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আশা করা যায় না। ধর্মীয় বিদ্বেষ ধেকে এ ধরনের বর্বরোচিত হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। এ ধরনের ঘটনা শুধু ইহুদির জন্য নয়, আমাদের সবার জন্যই উদ্বেগজনক।
বাংলাদেশেরও একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিদেশের মাটিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে, যা অনেকেরই অজানা। প্রতিষ্ঠানটির নাম বাংলাদেশ স্কুল মাস্কাট। এটি ইংরেজি মাধ্যম অ্যাডেক্সসেল কারিকুলামের অধীনে পরিচালিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ওমানের রাজধানী মাস্কাটের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই স্কুল।