
সহিদুল আলম স্বপন, জেনেভা, সুইজারল্যান্ড

একজন মানুষ পড়ে আছে রাস্তায়।
তার শরীরে লাল দাগ,
তার পাশে গড়িয়ে আছে কয়েকটা পাথর—
আরও কয়েকটা মানুষের হাতেই ছিল।
পাশে দাঁড়িয়ে একজন বলছিল—
‘সে আমাদের মতো না’,
আরেকজন বলছিল—
‘শেখাতে হবে ওদের একটা শিক্ষা।’
তারপর নেমে এল পাথরের বৃষ্টি।
হাত নড়ে না, চোখ ফেটে যায়, শরীর গুঁড়িয়ে যায়।
কিন্তু আশ্চর্য, যারা মারছে,
তাদের চোখে না আছে দয়া, না আছে ভয়।
পশু কি এমন করে?
একটি সিংহ তার শিকারকে মারে, কিন্তু তৃপ্তি হলে থেমে যায়।
কিন্তু মানুষ থামে না,
সে খুন করে, তারপর ছবি তোলে, পোস্ট দেয়, বলে—
‘এই তো বিচার হলো!’
আমি বুঝে উঠতে পারি না,
পাথর কে ছুঁড়েছিল—হাত, নাকি মন?
কোনটা ছিল বেশি কঠিন?
একটি পাথর শুধু হাড় ভাঙে না,
ভাঙে আমাদের সভ্যতার মুখোশ,
ভেঙে দেয় সমস্ত বিশ্বাস যে মানুষ এখনো মানুষ আছে।
পথে হাঁটলে এখন ভয় লাগে।
কে জানে, আমার মুখ, আমার ভাষা, আমার পোশাক,
কারও চোখে ‘অপরাধ’ হয়ে যায় কি না!
কে জানে, কোন কোণে লুকিয়ে আছে কিছু হাত,
তাদের মুঠোয় ধরা পাথর!
পশুদের বনে ভয় পাই না,
মানুষের ভিড়েই বুক কেঁপে ওঠে।
আমরা ভুলে যাচ্ছি—
একটা পাথর যখন একজন মানুষকে মারে,
সেই সঙ্গে মরে যায় এক টুকরো মনুষ্যত্ব,
আর জন্ম নেয়
আরও এক নিষ্ঠুর, মুখোশ-পরা পাষাণপ্রাণ।

একজন মানুষ পড়ে আছে রাস্তায়।
তার শরীরে লাল দাগ,
তার পাশে গড়িয়ে আছে কয়েকটা পাথর—
আরও কয়েকটা মানুষের হাতেই ছিল।
পাশে দাঁড়িয়ে একজন বলছিল—
‘সে আমাদের মতো না’,
আরেকজন বলছিল—
‘শেখাতে হবে ওদের একটা শিক্ষা।’
তারপর নেমে এল পাথরের বৃষ্টি।
হাত নড়ে না, চোখ ফেটে যায়, শরীর গুঁড়িয়ে যায়।
কিন্তু আশ্চর্য, যারা মারছে,
তাদের চোখে না আছে দয়া, না আছে ভয়।
পশু কি এমন করে?
একটি সিংহ তার শিকারকে মারে, কিন্তু তৃপ্তি হলে থেমে যায়।
কিন্তু মানুষ থামে না,
সে খুন করে, তারপর ছবি তোলে, পোস্ট দেয়, বলে—
‘এই তো বিচার হলো!’
আমি বুঝে উঠতে পারি না,
পাথর কে ছুঁড়েছিল—হাত, নাকি মন?
কোনটা ছিল বেশি কঠিন?
একটি পাথর শুধু হাড় ভাঙে না,
ভাঙে আমাদের সভ্যতার মুখোশ,
ভেঙে দেয় সমস্ত বিশ্বাস যে মানুষ এখনো মানুষ আছে।
পথে হাঁটলে এখন ভয় লাগে।
কে জানে, আমার মুখ, আমার ভাষা, আমার পোশাক,
কারও চোখে ‘অপরাধ’ হয়ে যায় কি না!
কে জানে, কোন কোণে লুকিয়ে আছে কিছু হাত,
তাদের মুঠোয় ধরা পাথর!
পশুদের বনে ভয় পাই না,
মানুষের ভিড়েই বুক কেঁপে ওঠে।
আমরা ভুলে যাচ্ছি—
একটা পাথর যখন একজন মানুষকে মারে,
সেই সঙ্গে মরে যায় এক টুকরো মনুষ্যত্ব,
আর জন্ম নেয়
আরও এক নিষ্ঠুর, মুখোশ-পরা পাষাণপ্রাণ।
আমি দেখি এক তরুণের হাত/ পতাকা ছুঁয়ে থমকে যায়/ যেন এক মুহূর্তে/ ইতিহাস তার বুকে ঢুকে পড়ে/ ধুকধুক ধুকধুক করে।
আমার আজও মনে পড়ে/ আমাদের বাড়ির আঙ্গিনায় নীল অপরাজিতার কথা/ মনে পড়ে কোকিলের গেয়ে চলা উচ্চাঙ্গ সংগীতের কথা/ মনে পড়ে বানভাসি মানুষের অজস্র দুঃখের কথা,
একটি সভ্য দেশে এ ধরনের বর্বরতা কখনোই কাম্য নয় এবং কখনো এটা আশা করিনি। অস্ট্রেলিয়া একটি শান্তিপূর্ণ দেশ; এখানে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আশা করা যায় না। ধর্মীয় বিদ্বেষ ধেকে এ ধরনের বর্বরোচিত হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। এ ধরনের ঘটনা শুধু ইহুদির জন্য নয়, আমাদের সবার জন্যই উদ্বেগজনক।
বাংলাদেশেরও একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিদেশের মাটিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে, যা অনেকেরই অজানা। প্রতিষ্ঠানটির নাম বাংলাদেশ স্কুল মাস্কাট। এটি ইংরেজি মাধ্যম অ্যাডেক্সসেল কারিকুলামের অধীনে পরিচালিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ওমানের রাজধানী মাস্কাটের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই স্কুল।