
মোহাম্মদ সাকিবুর রহমান খান, কানাডা থেকে

উত্তর আমেরিকা তথা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বেশির ভাগ অঞ্চলে আজ রোববার থেকে কার্যকর হয়েছে 'ডেলাইট সেভিং টাইম'–এর সমাপ্তি। এর ফলে এই অঞ্চলের কোটি–কোটি মানুষ এখন থেকে প্রতি দিন এক ঘণ্টা অতিরিক্ত ঘুমাবেন। তবে গ্রীষ্মকালের লম্বা দিনের বিদায় জানিয়ে এখন সন্ধ্যা নামবে আরও দ্রুত।
ডিএসটি শেষ হওয়ায় স্থানীয় সময় শনিবার রাত ২টায় (অর্থাৎ রোববার প্রথম প্রহর) ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে ১টা করা হয়। এই সময় পরিবর্তনকে 'ফল ব্যাক' বলা হয়। মূলত, গ্রীষ্মকালে ঘড়ি এক ঘণ্টা এগিয়ে দিয়ে যে 'ডেলাইট সেভিং টাইম' শুরু হয়েছিল। এখন আবার ঘড়ি এক ঘণ্টা পিছিয়ে স্বাভাবিক সময়ে (Standard Time)-এ ফিরে আসা হলো।
রাতের দৈর্ঘ্য ও দিনের পরিবর্তন
ঘড়ি এক ঘণ্টা পেছানোয় শনিবার রাতের দৈর্ঘ্য এক ঘণ্টা বেশি হয়েছে। আজ থেকে সকালে সূর্যের আলো এক ঘণ্টা আগে দেখা যাবে, কিন্তু সন্ধ্যায় সূর্যাস্ত হবে এক ঘণ্টা আগে। অর্থাৎ, অফিস বা কাজ শেষে দিনের আলো ফুরিয়ে যাবে দ্রুত।
কেন এই সময় পরিবর্তন ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
এই সময় পরিবর্তনের মূল ধারণা হলো সূর্যালোকের সঠিক ব্যবহার ও শক্তি সাশ্রয়।
এই পদ্ধতির সূচনা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়, ১৯১৬ সালে জার্মানি ও অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরিতে, যাতে কর্মঘণ্টায় প্রাকৃতিক আলো ব্যবহার করে কৃত্রিম আলোর ব্যবহার কমানো যায় এবং কয়লার মতো জ্বালানি সাশ্রয় করা যায়।
প্রথম কানাডায়
তবে মজার বিষয় হলো, বিশ্বের প্রথম যে শহরটি পরীক্ষামূলকভাবে এই নিয়ম শুরু করেছিল, সেটি ছিল কানাডার অন্টারিও প্রদেশের পোর্ট আর্থার (Port Arthur) শহর, যেখানে ১৯০৮ সালে এই পদ্ধতি শুরু হয়।
আমেরিকায় প্রচলন
১৯১৮ সালে আমেরিকাতেও এটি শুরু হয়। যদিও আধুনিক গবেষণায় বিদুৎ শক্তি সাশ্রয়ের প্রভাব নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, তবে লম্বা গ্রীষ্মের সন্ধ্যায় অতিরিক্ত এক ঘণ্টা দিনের আলো পাওয়ার সামাজিক সুবিধা বজায় রাখতে এটি এখনো প্রচলিত।
যেখানে ঘড়ির সময় বদলাবে না
উত্তর আমেরিকার সব অঞ্চলেই কিন্তু ঘড়ির কাঁটা পরিবর্তন হয় না। যুক্তরাষ্ট্রের দুই রাজ্য—হাওয়াই ও অ্যারিজোনার বেশির ভাগ অঞ্চল (নেভাজো নেশন ছাড়া)—ডিএসটি অনুসরণ করে না। এই রাজ্য ও অঞ্চলগুলো সারা বছর একই সময়ে থাকে।
অন্যদিকে কানাডার সাস্কাচেওয়ান প্রদেশের প্রায় পুরো অংশ, ইউকন, ব্রিটিশ কলম্বিয়া ও কুইবেকের কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চল সারা বছর স্ট্যান্ডার্ড টাইম মেনে চলে।
কবে আবার ফিরবে ডেলাইট সেভিং টাইম?
এই পরিবর্তন সাময়িক। শীতকাল শেষে বসন্তের শুরুতে আবারও ঘড়ি এক ঘণ্টা এগিয়ে দিয়ে ডিএসটি শুরু হবে।
পরবর্তী পরিবর্তন
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় (যেসব অঞ্চল ডিএসটি অনুসরণ করে) পরবর্তী সময় পরিবর্তন বা 'স্প্রিং ফরোয়ার্ড' হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসের দ্বিতীয় রোববার, অর্থাৎ ৮ মার্চ, ২০২৬।
এই সময় পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ ও উত্তর আমেরিকার বেশির ভাগ অঞ্চলের সময়ের পার্থক্য এখন এক ঘণ্টা বেড়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে প্রবাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ বা ব্যবসার সময়সূচি মিলিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে এই বিষয়টি মনে রাখতে হবে।

উত্তর আমেরিকা তথা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বেশির ভাগ অঞ্চলে আজ রোববার থেকে কার্যকর হয়েছে 'ডেলাইট সেভিং টাইম'–এর সমাপ্তি। এর ফলে এই অঞ্চলের কোটি–কোটি মানুষ এখন থেকে প্রতি দিন এক ঘণ্টা অতিরিক্ত ঘুমাবেন। তবে গ্রীষ্মকালের লম্বা দিনের বিদায় জানিয়ে এখন সন্ধ্যা নামবে আরও দ্রুত।
ডিএসটি শেষ হওয়ায় স্থানীয় সময় শনিবার রাত ২টায় (অর্থাৎ রোববার প্রথম প্রহর) ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে ১টা করা হয়। এই সময় পরিবর্তনকে 'ফল ব্যাক' বলা হয়। মূলত, গ্রীষ্মকালে ঘড়ি এক ঘণ্টা এগিয়ে দিয়ে যে 'ডেলাইট সেভিং টাইম' শুরু হয়েছিল। এখন আবার ঘড়ি এক ঘণ্টা পিছিয়ে স্বাভাবিক সময়ে (Standard Time)-এ ফিরে আসা হলো।
রাতের দৈর্ঘ্য ও দিনের পরিবর্তন
ঘড়ি এক ঘণ্টা পেছানোয় শনিবার রাতের দৈর্ঘ্য এক ঘণ্টা বেশি হয়েছে। আজ থেকে সকালে সূর্যের আলো এক ঘণ্টা আগে দেখা যাবে, কিন্তু সন্ধ্যায় সূর্যাস্ত হবে এক ঘণ্টা আগে। অর্থাৎ, অফিস বা কাজ শেষে দিনের আলো ফুরিয়ে যাবে দ্রুত।
কেন এই সময় পরিবর্তন ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
এই সময় পরিবর্তনের মূল ধারণা হলো সূর্যালোকের সঠিক ব্যবহার ও শক্তি সাশ্রয়।
এই পদ্ধতির সূচনা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়, ১৯১৬ সালে জার্মানি ও অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরিতে, যাতে কর্মঘণ্টায় প্রাকৃতিক আলো ব্যবহার করে কৃত্রিম আলোর ব্যবহার কমানো যায় এবং কয়লার মতো জ্বালানি সাশ্রয় করা যায়।
প্রথম কানাডায়
তবে মজার বিষয় হলো, বিশ্বের প্রথম যে শহরটি পরীক্ষামূলকভাবে এই নিয়ম শুরু করেছিল, সেটি ছিল কানাডার অন্টারিও প্রদেশের পোর্ট আর্থার (Port Arthur) শহর, যেখানে ১৯০৮ সালে এই পদ্ধতি শুরু হয়।
আমেরিকায় প্রচলন
১৯১৮ সালে আমেরিকাতেও এটি শুরু হয়। যদিও আধুনিক গবেষণায় বিদুৎ শক্তি সাশ্রয়ের প্রভাব নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, তবে লম্বা গ্রীষ্মের সন্ধ্যায় অতিরিক্ত এক ঘণ্টা দিনের আলো পাওয়ার সামাজিক সুবিধা বজায় রাখতে এটি এখনো প্রচলিত।
যেখানে ঘড়ির সময় বদলাবে না
উত্তর আমেরিকার সব অঞ্চলেই কিন্তু ঘড়ির কাঁটা পরিবর্তন হয় না। যুক্তরাষ্ট্রের দুই রাজ্য—হাওয়াই ও অ্যারিজোনার বেশির ভাগ অঞ্চল (নেভাজো নেশন ছাড়া)—ডিএসটি অনুসরণ করে না। এই রাজ্য ও অঞ্চলগুলো সারা বছর একই সময়ে থাকে।
অন্যদিকে কানাডার সাস্কাচেওয়ান প্রদেশের প্রায় পুরো অংশ, ইউকন, ব্রিটিশ কলম্বিয়া ও কুইবেকের কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চল সারা বছর স্ট্যান্ডার্ড টাইম মেনে চলে।
কবে আবার ফিরবে ডেলাইট সেভিং টাইম?
এই পরিবর্তন সাময়িক। শীতকাল শেষে বসন্তের শুরুতে আবারও ঘড়ি এক ঘণ্টা এগিয়ে দিয়ে ডিএসটি শুরু হবে।
পরবর্তী পরিবর্তন
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় (যেসব অঞ্চল ডিএসটি অনুসরণ করে) পরবর্তী সময় পরিবর্তন বা 'স্প্রিং ফরোয়ার্ড' হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসের দ্বিতীয় রোববার, অর্থাৎ ৮ মার্চ, ২০২৬।
এই সময় পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ ও উত্তর আমেরিকার বেশির ভাগ অঞ্চলের সময়ের পার্থক্য এখন এক ঘণ্টা বেড়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে প্রবাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ বা ব্যবসার সময়সূচি মিলিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে এই বিষয়টি মনে রাখতে হবে।
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের রাজধানী সিডনিতে সানডে মাদরাসা ও হিফজুল কোরআন প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা ও আনন্দদায়ক শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে স্পোর্টস ও ফান অ্যাকটিভিটি ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দিনটির বিশেষ আকর্ষণ ছিল সিডনিপ্রবাসী মোক্তার হোসেনের ঝালমুড়ির স্টল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোলে মাস্টার্স করা এই প্রবাসী বাংলাদেশির তৈরি ঝালমুড়ি স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়। অনুষ্ঠানে তার হাতে তৈরি ঝালমুড়ি বিক্রিতে ছিল উপচে পড়া ভিড়।
কানাডার টরোন্টোয় ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফোরাম আগামী শনিবার (৮ নভেম্বর) আয়োজন করছে এক অনুপ্রেরণামূলক ক্যারিয়ার সেমিনার। এই ক্যারিয়ার সেমিনারে অংশগ্রহণ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে
ঘড়ি এক ঘণ্টা পেছানোয় শনিবার রাতের দৈর্ঘ্য এক ঘণ্টা বেশি হয়েছে। আজ থেকে সকালে সূর্যের আলো এক ঘণ্টা আগে দেখা যাবে, কিন্তু সন্ধ্যায় সূর্যাস্ত হবে এক ঘণ্টা আগে। অর্থাৎ, অফিস বা কাজ শেষে দিনের আলো ফুরিয়ে যাবে দ্রুত।