logo
প্রবাসের খবর

ইসরায়েলের পক্ষ নেওয়ায় সমর্থন হারাচ্ছেন ইরানের স্বঘোষিত যুবরাজ রেজা পাহলভি

আল জাজিরা০৫ জুলাই ২০২৫
Copied!
ইসরায়েলের পক্ষ নেওয়ায় সমর্থন হারাচ্ছেন ইরানের স্বঘোষিত যুবরাজ রেজা পাহলভি
ইরান পরিস্থিতি নিয়ে ফ্রান্সের প্যারিসে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন রেজা পাহলভি। ২৩ জুন ২০২৫। ছবি: রয়টার্স

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে, ২৪ জুন প্যারিসে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন ইরানের শেষ ‘শাহ’ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির ছেলে রেজা পাহলভি।

সংবাদ সম্মেলনে ধুসর স্যুট আর নীল টাই পরে, চুল পেছনে আঁচড়ে পরিপাটি বেশে ছিলেন ৬৪ বছর বয়সী নির্বাসিত ও স্বঘোষিত এ যুবরাজ। যুক্তরাষ্ট্রকে তিনি আহ্বান জানান, দেশটি যেন তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আবার কূটনৈতিক আলোচনা শুরু করে ইসলামি প্রজাতন্ত্রকে (ইরান) ‘জীবনী শক্তি’ না দেয়। ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লব সংঘটিত হলে দেশটিতে শাহর রাজতান্ত্রিক শাসনের অবসান ঘটে।

ইরানের বর্তমান শাসনব্যবস্থা ভেঙে পড়ার পথে দাবি করে রেজা পাহলভি বলেন, ‘এটাই আমাদের বার্লিন প্রাচীর ভাঙার মুহূর্ত।’ সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান এবং সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের পক্ষত্যাগ করতে বলেন। কিন্তু তাঁর এ ডাকে সাড়া দেননি ইরানিরা; বরং বিদেশি হামলার (ইসরায়েল–যুক্তরাষ্ট্রের হামলা) মুখে ইরানের অনেকেই, এমনকি সরকারবিরোধীরাও জাতীয় পতাকার তলে ঐক্যবদ্ধ হন।

ফ্রান্সের প্যারিসে দেওয়া বক্তৃতায় যিনি নিজেকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির স্থলাভিষিক্ত হতে এবং দেশবাসীকে ‘শান্তি ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে’ নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছিলেন, তিনি (রেজা পাহলভি) সম্ভবত বাস্তবতা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন।

ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে ইসলামি প্রজাতন্ত্রকে (ইরানের বর্তমান নেতৃত্বকে) উৎখাতের লড়াইয়ে নামতে রাজি ছিলেন পাহলভি। কিন্তু বেশির ভাগ ইরানিই তাতে সায় দেননি।

ইরানবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও ‘ট্রেচারাস অ্যালায়েন্স: দ্য সিক্রেট ডিলিংস অব ইসরায়েল, ইরান অ্যান্ড দ্য ইউনাইটেড স্টেটস’ বইয়ের লেখক ত্রিতা পার্সি বলেন, ‘ইরানে ইসরায়েল ব্যাপক বোমাবর্ষণ করে ৯৩৫–এর বেশি মানুষকে মেরে ফেলার ঘটনায় পাহলভি নিন্দা জানাননি। এতে আর কিছু না হলেও একসময় যে সামান্য সমর্থন পাহলভি কুড়িয়েছিলেন, সেটুকুও তিনি নষ্ট করলেন।’

ত্রিতা আল–জাজিরাকে আরও বলেন, ‘ইসরায়েল যখন আমাদের অ্যাপার্টমেন্টে বোমা ফেলে সাধারণ মানুষ হত্যা করছিল, তখন তিনি (পাহলভি) টিভিতে এসে তাদের (ইসরায়েলি) পক্ষ নিয়ে বক্তব্য দিলেন। এতে তিনি শাহ নামের ব্র্যান্ডটাই ধ্বংস করে ফেলেছেন।’

আল–জাজিরার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাওয়া হলেও পাহলভির দপ্তর কোনো সাড়া দেয়নি।

প্রজন্মভিত্তিক সমর্থন

রেজা পাহলভির প্রতি সমর্থনের পরিমাণ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে বিশ্লেষকেরা মনে করেন, তা খুব বেশি নয়।

তবু পাহলভির প্রতি যে অল্পস্বল্প সমর্থন আছে, তা মূলত ইসলামি প্রজাতন্ত্রের বিরোধিতা ও পুরোনো রাজতন্ত্রের প্রতি নস্টালজিয়া (স্মৃতিকাতরতা) থেকেই এসেছে; বিশেষ করে প্রবাসী ইরানিদের মধ্যে এ সমর্থন চোখে পড়ে।

ব্রিটেনপ্রবাসী ব্রিটিশ-ইরানি তরুণী ইয়াসমিন (ছদ্মনাম) বলেন, ‘আমার পরিবারের অনেকে পাহলভিকে সমর্থন করেন। কারণ, তিনি ইসলামি প্রজাতন্ত্রপূর্ব যুগের প্রতীক। তবে তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক দর্শন যে স্পষ্ট, তা আমি মনে করি না।’

ইয়াসমিনের খালা ইয়াসনা (৬৪) ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের কিছুদিন আগে পড়াশোনার জন্য যুক্তরাজ্যে চলে যান। তিনিও পাহলভিকে সমর্থন করেন সেই নস্টালজিয়ার কারণেই। তাঁর মতে, পাহলভি ইরানের ক্ষমতায় এলে পশ্চিমারা আর তাঁদের দেশকে ‘অচ্ছুত’ হিসেবে দেখবে না।

ইয়াসনা বলেন, ‘তিনি (পাহলভি) আমার প্রজন্মের মানুষ। আমি (শাহর) রাজত্বের দিনগুলো স্পষ্ট মনে করতে পারি। তিনি আমেরিকা, ইউরোপ ও ইসরায়েলের খুব ঘনিষ্ঠ। আমাদের এমন কাউকে দরকার।’

বিশ্লেষকেরা আল–জাজিরাকে বলেন, ইরানে সরকারবিরোধী রাজনীতিকদের ওপর দমন–পীড়নের কারণে বিকল্প কোনো নেতার অভাবও পাহলভির প্রতি সমর্থনের একটি কারণ। তবে সেই সমর্থন অনেকাংশেই তাঁর দাদা রেজা খান ও বাবা মোহাম্মদ রেজা পাহলভির অতীতের ‘বিকৃত’ স্মৃতিভিত্তিক।

রেজা খান ধর্মীয় নেতাদের ক্ষমতা খর্ব করেন এবং নিজ বিরোধী ও সংখ্যালঘুদের ওপর দমন–পীড়ন চালিয়ে একটি জাতিগতভাবে এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলেন। মোহাম্মদ রেজার সময়ও এমন নিপীড়ন অব্যাহত ছিল।

ইতিহাসের ছায়া

পাহলভিরা দীর্ঘ ইতিহাসসমৃদ্ধ কোনো রাজবংশের উত্তরাধিকার ছিল না। রেজা খান ছিলেন একজন সেনা কর্মকর্তা। তিনি ১৯২০-এর দশকে ক্ষমতা দখল করেন। ১৯৪১ সালে তাঁর জায়গায় আসেন মোহাম্মদ রেজা।

১৯৫১ সালের এপ্রিল মাসে ইরানের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মোসাদ্দেক ‘অ্যাংলো–পারস্য’ তেল কোম্পানির (বর্তমানে বিপি) মালিকানাধীন সম্পদ জাতীয়করণ করেন। এর জেরে ১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সহায়তায় তাঁর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ঘটে।

ইরানবিষয়ক ইতিহাসবিদ ও ‘স্টেট অব রেজিসট্যান্স: পলিটিকস, আইডেন্টিটি অ্যান্ড কালচার ইন মডার্ন ইরান’ গ্রন্থের লেখক আসসাল রাদ বলেন, ‘ব্রিটিশরা মনে করত, ওটা তাদের তেল। তারা কোনোভাবেই অতীতের এই ঔপনিবেশিক আচরণের কথা স্বীকার করত না যে ওটা জোর করে নেওয়া হয়েছিল কিংবা ইরানের অধিকার ছিল ওটা ফেরত নেওয়ার।’

রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের আগে শাহ ও মোসাদ্দেকের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব চলছিল বলে উল্লেখ করেন ইতিহাসবিদ রাদ। মোসাদ্দেক প্রকাশ্যে শাহকে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে সমালোচনা করেন। শাহ সেনাবাহিনীর ওপর নিজের কর্তৃত্ব ধরে রাখতে চাইলেও, মোসাদ্দেক জনসমর্থনের ভিত্তিতে ইরানকে একটি সাংবিধানিক গণতন্ত্রে রূপ দিতে চেয়েছিলেন।

মোসাদ্দেকের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের পর আবারও একনায়কতান্ত্রিকভাবে ২৬ বছর ধরে চলতে থাকে পাহলভি শাসন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ১৯৭৬ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শাহর ভয়ানক গোয়েন্দা সংস্থা (সাভাক) মিথ্যা সাক্ষ্য আদায় করতে বন্দীদের বৈদ্যুতিক তার দিয়ে পেটানো, ধর্ষণ, আঙুল ভেঙে দেওয়া, নখ তুলে ফেলাসহ নানাভাবে নির্যাতন চালাত।

‘শেষ পর্যন্ত, শাহর শাসন ছিল এক নিষ্ঠুর স্বৈরতন্ত্র, ছিল না গণতন্ত্র’, আল–জাজিরাকে বলেন ত্রিতা পার্সি।

ভার্জিনিয়া টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ জাভাদ সালেহি-ইস্পাহানির তৈরি করা ২০১৯ সালের ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শাহর আমলে শহরের ধনিক শ্রেণি ও গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে আর্থিক বৈষম্য আরও বেড়ে যায়।

তবু, পুরো শাসনামলে নিজের দেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন শাহ। রাদ উল্লেখ করেন, ১৯৭১ সালে পারস্য সাম্রাজ্যের আড়াই হাজার বছর পূর্তি উপলক্ষে শাহ এক রাজকীয় আয়োজনে বিশাল পার্টির আয়োজন করেন।

এ জাঁকজমকপূর্ণ পার্টিতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে বিদেশি গুরুত্বপূর্ণ অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। অথচ একই সময়ে বহু ইরানি দৈনন্দিন খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। এটি দেশের অভ্যন্তরীণ আর্থিক বৈষম্যকে আরও স্পষ্ট করে তোলে।

‘তিনি ইরান (পারস্য সাম্রাজ্যের পূর্তি অনুষ্ঠান) উদ্‌যাপন করছিলেন, অথচ সেখানে কিছুই ইরানীয় ছিল না—না ছিল ইরানীয় খাবার, না আমন্ত্রিত ইরানি। এমনকি তিনি ছাত্র বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করিয়েছিলেন, যাতে পার্টির সময় কোনো অঘটন না ঘটে’, বলেন রাদ। ‘এই পার্টি ছিল এমন এক নাটকীয় মুহূর্ত, যা তাঁর নিজের জনগণের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতার প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।’

রাষ্ট্রীয় দমন–পীড়ন এবং বাড়তে থাকা দারিদ্র্যের সঙ্গে এ পারস্য সাম্রাজ্য উদ্‌যাপনই ছিল ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের অন্যতম কারণ।

ইসলামি বিপ্লব শুরুর সময় রেজা পাহলভি যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। সেখানে তিনি যুদ্ধবিমানের পাইলট হওয়ার প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর। আর সেখান থেকেই শুরু তাঁর নির্বাসিত জীবন। তবে নিজের দেশ ও ক্ষমতায় ফেরার লক্ষ্য তাঁর মধ্যে রয়ে গেছে সব সময়।

শাহর দুই ছেলের মধ্যে বড় হওয়ায় রেজা পাহলভিকে ১৯৮০ সালে বাবার ক্যানসারে মৃত্যুর পর রাজতন্ত্রের সমর্থকেরা উত্তরাধিকারী হিসেবে মেনে নেন। এর পর থেকে জীবনের বেশির ভাগ সময় যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে কাটিয়ে আসছেন তিনি।

প্রথমে রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্ব দিলেও গত দুই দশকে রেজা পাহলভি তাঁর বাগাড়ম্বরপূর্ণ বক্তব্যে আরও বেশি করে ইরানে ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রের ধারণায় জোর দিচ্ছেন। তাঁর দাবি, তিনি ক্ষমতা চান না এবং শুধু ইরানিরা যদি তাঁকে আহ্বান করে, তবেই সিংহাসনে বসতে রাজি হবেন।

আরও দেখুন

সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সানডে মাদরাসার স্পোর্টস ও ফান ডে

সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সানডে মাদরাসার স্পোর্টস ও ফান ডে

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের রাজধানী সিডনিতে সানডে মাদরাসা ও হিফজুল কোরআন প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা ও আনন্দদায়ক শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে স্পোর্টস ও ফান অ্যাকটিভিটি ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৫ ঘণ্টা আগে

সিডনিতে স্পোর্টস ও ফান ডেতে প্রবাসী মোক্তার হোসেনের ঝালমুড়ি বিক্রি জনপ্রিয়তা পেয়েছে

সিডনিতে স্পোর্টস ও ফান ডেতে প্রবাসী মোক্তার হোসেনের ঝালমুড়ি বিক্রি জনপ্রিয়তা পেয়েছে

দিনটির বিশেষ আকর্ষণ ছিল সিডনিপ্রবাসী মোক্তার হোসেনের ঝালমুড়ির স্টল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোলে মাস্টার্স করা এই প্রবাসী বাংলাদেশির তৈরি ঝালমুড়ি স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়। অনুষ্ঠানে তার হাতে তৈরি ঝালমুড়ি বিক্রিতে ছিল উপচে পড়া ভিড়।

১ দিন আগে

টরন্টোয় ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফোরামের বিশেষ ক্যারিয়ার সেমিনার ৮ নভেম্বর

টরন্টোয় ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফোরামের বিশেষ ক্যারিয়ার সেমিনার ৮ নভেম্বর

কানাডার টরোন্টোয় ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফোরাম আগামী শনিবার (৮ নভেম্বর) আয়োজন করছে এক অনুপ্রেরণামূলক ক্যারিয়ার সেমিনার। এই ক্যারিয়ার সেমিনারে অংশগ্রহণ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে

২ দিন আগে

উত্তর আমেরিকার মানুষ আজ থেকে এক ঘণ্টা বেশি ঘুমাবেন

উত্তর আমেরিকার মানুষ আজ থেকে এক ঘণ্টা বেশি ঘুমাবেন

ঘড়ি এক ঘণ্টা পেছানোয় শনিবার রাতের দৈর্ঘ্য এক ঘণ্টা বেশি হয়েছে। আজ থেকে সকালে সূর্যের আলো এক ঘণ্টা আগে দেখা যাবে, কিন্তু সন্ধ্যায় সূর্যাস্ত হবে এক ঘণ্টা আগে। অর্থাৎ, অফিস বা কাজ শেষে দিনের আলো ফুরিয়ে যাবে দ্রুত।

২ দিন আগে