ইরানের অভিজাত ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি বলেছে, তারা ইসরায়েলে একটি সামরিক গোয়েন্দা কেন্দ্র ও মোসাদের একটি অপারেশন পরিকল্পনা কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলিরা গত শুক্রবার (১৩ জুন) থেকে দিন–রাতের বেশির ভাগ সময় ভূগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় (বাংকার) অবস্থান করছেন। ইরানের বিরুদ্ধে তেল আবিব প্রশাসন আগ্রাসী হামলা শুরু করার পর তেহরানও ইসরায়েলে প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা চালাচ্ছে।
বলপ্রয়োগ করে ইরানে সরকার পরিবর্তন প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। তিনি বলেছেন, তেহরানে সরকার উৎখাতের চেষ্টা হবে একটি কৌশলগত ভুল।
ইরানের অভিজাত রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)– এর খাতাম আল–আনবিয়া সদর দপ্তরের প্রধান আলী সাদমানিকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। খাতাম আল–আনিবিয়া আইআরজিসির নির্মাণ ও প্রকৌশল শাখা।
ইরান থেকে উড়ে আসছে ক্ষেপণাস্ত্র—ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এমন সতর্কতা জারির পরপর তেল আবিব ও পশ্চিম জেরুজালেমে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ইরানের তেহরান প্রদেশে ২০০ কেজি বিস্ফোরক ও ২৩টি ড্রোন এবং অন্য সামরিক সরঞ্জামসহ ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের আরও ২ চরকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। পুলিশ জানিয়েছে, পৃথক অভিযানে ২ মোসাদ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকও জব্দ করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১৬ জুন) ভোরে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সর্বশেষ ঢেউয়ের পর ইসরায়েলের তেল আবিবের রাস্তায় আতঙ্ক, বিশৃঙ্খলা এবং উদ্বেগের চিত্র দেখা গেছে।
ইসরায়েলের তেল আবিবে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের কাছাকাছি ইরানের একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। ইসরায়েলে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি এক এক্স পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইসরায়েলের প্রাথমিক হামলায় একাধিক সামরিক কমান্ডার নিহত হওয়ার পরও ইরানের অবিরাম ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রমাণ করে, তেহরানের বাহিনী পুনরায় সংগঠিত হতে সক্ষম। শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তাদের হারানোর পরও ইরানের এই পুনর্গঠন সক্ষমতা ইসরায়েলকেও বিস্মিত করেছে।
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় শহর হাইফার একটি তেল শোধনাগার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তেল শোধনাগারটি পরিচালনাকারী ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান ‘বাজান’ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। প্রতিষ্ঠানটির বরাতে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম এই তথ্য দিয়েছে।
ইসরায়েলে রাতভর ইরানি হামলায় অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির উদ্ধারকারী দল। বিমান হামলার সাইরেন বেজে উঠলে লাখো ইসরায়েলি ছুটে যায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা নিয়ে ফোনে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
ইসরায়েলি হামলার পর ইরানের বুশেহর প্রদেশের একটি গ্যাস শোধনাগার ও গ্যাসক্ষেত্রে আগুন লেগেছে বলে জানিয়েছে ইরানের তেল মন্ত্রণালয়।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানের প্রতিটি স্থাপনায় হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইরানের আয়াতুল্লাহ শাসনব্যবস্থার ‘প্রতিটি স্থাপনা ও প্রতিটি লক্ষ্যবস্তুতে’ হামলা চালাবে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ভেদ করে ইরানের নিক্ষেপ করা বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র দেশটির কেন্দ্রস্থলে আঘাত হেনেছে। এতে ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং ৩ জনের প্রাণহানি ও কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর কিরিয়া কম্পাউন্ডে হামলা চালিয়েছে ইরান। এমনটাই জানিয়েছে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। এই কিরিয়া কম্পাউন্ড প্রায়শই ইসরায়েলের পেন্টাগন হিসেবে আলোচিত হয়।
ইসরায়েলের সেনাপ্রধান আইয়াল জামির টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে বলেছেন, তাঁর সেনাবাহিনী ‘১০ হাজারের বেশি সৈন্য মোতায়েন করছে এবং সব সীমান্তজুড়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে’। সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘যে কেউ আমাদের চ্যালেঞ্জ করতে চাইবে, তাকে বড় মূল্য দিতে হবে।’
ইসরায়েলি হামলায় ইরানের ছয়জন পরমাণুবিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। দেশটির বার্তা সংস্থা তাসনিমের বরাত নিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আজ শুক্রবার (১৩ জুন) এই তথ্য জানিয়ে বলেছে, তারা এসব ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করতে কাজ করছে।
ইসরায়েলের হামলায় ইরানের অভিজাত বাহিনী ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি নিহত হয়েছেন।