
বিডিজেন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে মাঝ–আকাশে যাত্রীবাহী বিমান ও সামরিক হেলিকপ্টারের মধ্যে সংঘর্ষের পর নদীতে বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় অন্তত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই বিমান ও হেলিকপ্টারে মোট ৬৭ জন আরোহী ছিলেন। তাদের কেউ বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
স্থানীয় সময় বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে ওয়াশিংটনের রোনাল্ড রিগ্যান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল বিমানবন্দরের কাছে মাঝ–আকাশে আমেরিকান এয়ারলাইনসের একটি অভ্যন্তরীণ যাত্রীবাহী বিমানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর একটি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয়। এরপর বিমান ও হেলিকপ্টারটি হিমশীতল পটোম্যাক নদীতে বিধ্বস্ত হয়।
ওয়াশিংটন ডিসি ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিসেসের প্রধান জন ডোনেলি বলেন, ‘প্রায় ৩০০ জন উদ্ধারকারী রাবারের নৌকায় করে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন এবং উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি না, এই দুর্ঘটনা থেকে কেউ বেঁচে ফিরতে পারবেন।’
আমেরিকান এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, তাদের পরিচালনাধীন বিমানটিতে ৬৪ জন আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে ৬০ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রু। আর যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেছেন, হেলিকপ্টারটিতে ৩ জন সেনা ছিলেন। সামরিক হেলিকপ্টারটি প্রশিক্ষণ ফ্লাইট ছিল বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা হেদার চাইরেজ।
২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারির পর যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রীবাহী বিমানের এটিই সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। ১৯৮২ সালে পটোম্যাক নদীর ওপর ফোরটিনথ স্ট্রিট ব্রিজে এয়ার ফ্লোরিডা ফ্লাইট ৯০ বিধ্বস্ত হয়েছিল। এ ঘটনায় ৭০ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রু নিহত হন। শুধু ৪ যাত্রী ও একজন ক্রু বেঁচে গিয়েছিলেন।
এদিকে সিএনএনের খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে যাত্রীবাহী বিমানের সঙ্গে সংঘর্ষ হওয়ার আগে হেলিকপ্টারটিকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছিল। নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টার একটি অডিও থেকে এমন তথ্য জানতে পেরেছে সিএনএন।
লাইভএটিসি ডট নেট থেকে অডিওটি সংগ্রহ করেছে সিএনএন। এতে আমেরিকান এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী বিমানের সঙ্গে সেনাবাহিনীর ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষের আগে, সংঘর্ষের মুহূর্তে এবং পরবর্তী সময়ের অডিও আছে।
এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণকক্ষের কর্মকর্তারা হেলিকপ্টারের পাইলটের কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে আমেরিকান এয়ারলাইনসের বিমানটিকে দেখা যাচ্ছে কি না। নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে হেলিকপ্টারের পাইলটের উদ্দেশে বলা হয়, ‘পিএটি টু-ফাইভ, আপনি কি সিআরজে বিমানটিকে দেখতে পাচ্ছেন?’ এরপর নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে আবার বলা হয়, ‘পিএটি টু-ফাইভ, সিআরজে বিমানের পেছন দিক দিয়ে পার হন।’
সংঘর্ষের আগমুহূর্তে নিয়ন্ত্রণকক্ষের আরেকটি অডিওতে হেলিকপ্টারের পাইলটকে বলতে শোনা যায়, ‘কিমানটিকে দেখতে পেয়েছে পিএটি টু-ফাইভ, ভিজ্যুয়াল সেপারেশনের অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এরপর ১৩ সেকেন্ডের কম সময়ের মধ্যে অডিওতে হাঁপানোর মতো কিছু শব্দ শোনা যায়। জোরে ‘ওহ্’ বলে একটি শব্দও শোনা গেছে। বিধ্বস্ত হওয়ার সময় ওই শব্দগুলো ধারণ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, বিমান–হেলিকপ্টার সংঘর্ষের ‘ভয়াবহ দুর্ঘটনা’ সম্পর্কে জানানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পর জরুরি সাড়াদান কর্মীদের ‘অবিশ্বাস্য’ কর্মতৎপরতার জন্য তিনি তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। পরিস্থিতি–সম্পর্কিত আরও তথ্য পেলে পরবর্তী সময়ে তা বিস্তারিতভাবে জানাবেন তিনি।
দুর্ঘটনার সময় জর্জ ওয়াশিংটন পার্কওয়ে দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন এরি শুলম্যান। তিনি বিমানটিকে বিধ্বস্ত হতে দেখেছেন। এরি শুলম্যান এনবিসি ওয়াশিংটনকে বলেন, ‘শুরুতে বিমানটির অবতরণ স্বাভাবিক বলেই মনে হচ্ছিল, কিন্তু হঠাৎ সেটি ডান দিকে বাঁক নেয় এবং তার নিচের অংশ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে স্ফুলিঙ্গ নির্গত হতে থাকে, যা পুরো বিমানকে আলোকিত করে।’
শুলম্যান আরও বলেন, তিনি তখন বুঝতে পারেন কিছু একটা গন্ডগোল হচ্ছে। কারণ, রাতের বেলা অবতরণকালে বিমানের নিচের অংশ এতটা দৃশ্যমান হওয়ার কথা নয়।
বিবিসি জানায়, দুর্ঘটনার শিকার বিমানটির এক যাত্রীর স্বামী হামাদ রাজা তাঁর আরোহী স্ত্রীকে স্বাগত জানাতে এবং এগিয়ে নিতে রিগ্যান ওয়াশিংটন জাতীয় বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলেন। হামাদ রাজা জানান, স্ত্রীর জন্য বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলেন তিনি, এমন সময় আমেরিকান এয়ারলাইনসের বিমান দুর্ঘটনার খবর পান তিনি।
আরও পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে মাঝ–আকাশে যাত্রীবাহী বিমান ও সামরিক হেলিকপ্টারের মধ্যে সংঘর্ষের পর নদীতে বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় অন্তত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই বিমান ও হেলিকপ্টারে মোট ৬৭ জন আরোহী ছিলেন। তাদের কেউ বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
স্থানীয় সময় বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে ওয়াশিংটনের রোনাল্ড রিগ্যান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল বিমানবন্দরের কাছে মাঝ–আকাশে আমেরিকান এয়ারলাইনসের একটি অভ্যন্তরীণ যাত্রীবাহী বিমানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর একটি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ হয়। এরপর বিমান ও হেলিকপ্টারটি হিমশীতল পটোম্যাক নদীতে বিধ্বস্ত হয়।
ওয়াশিংটন ডিসি ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিসেসের প্রধান জন ডোনেলি বলেন, ‘প্রায় ৩০০ জন উদ্ধারকারী রাবারের নৌকায় করে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন এবং উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি না, এই দুর্ঘটনা থেকে কেউ বেঁচে ফিরতে পারবেন।’
আমেরিকান এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে, তাদের পরিচালনাধীন বিমানটিতে ৬৪ জন আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে ৬০ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রু। আর যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেছেন, হেলিকপ্টারটিতে ৩ জন সেনা ছিলেন। সামরিক হেলিকপ্টারটি প্রশিক্ষণ ফ্লাইট ছিল বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা হেদার চাইরেজ।
২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারির পর যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রীবাহী বিমানের এটিই সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। ১৯৮২ সালে পটোম্যাক নদীর ওপর ফোরটিনথ স্ট্রিট ব্রিজে এয়ার ফ্লোরিডা ফ্লাইট ৯০ বিধ্বস্ত হয়েছিল। এ ঘটনায় ৭০ জন যাত্রী ও ৪ জন ক্রু নিহত হন। শুধু ৪ যাত্রী ও একজন ক্রু বেঁচে গিয়েছিলেন।
এদিকে সিএনএনের খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে যাত্রীবাহী বিমানের সঙ্গে সংঘর্ষ হওয়ার আগে হেলিকপ্টারটিকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছিল। নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টার একটি অডিও থেকে এমন তথ্য জানতে পেরেছে সিএনএন।
লাইভএটিসি ডট নেট থেকে অডিওটি সংগ্রহ করেছে সিএনএন। এতে আমেরিকান এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী বিমানের সঙ্গে সেনাবাহিনীর ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষের আগে, সংঘর্ষের মুহূর্তে এবং পরবর্তী সময়ের অডিও আছে।
এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণকক্ষের কর্মকর্তারা হেলিকপ্টারের পাইলটের কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে আমেরিকান এয়ারলাইনসের বিমানটিকে দেখা যাচ্ছে কি না। নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে হেলিকপ্টারের পাইলটের উদ্দেশে বলা হয়, ‘পিএটি টু-ফাইভ, আপনি কি সিআরজে বিমানটিকে দেখতে পাচ্ছেন?’ এরপর নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে আবার বলা হয়, ‘পিএটি টু-ফাইভ, সিআরজে বিমানের পেছন দিক দিয়ে পার হন।’
সংঘর্ষের আগমুহূর্তে নিয়ন্ত্রণকক্ষের আরেকটি অডিওতে হেলিকপ্টারের পাইলটকে বলতে শোনা যায়, ‘কিমানটিকে দেখতে পেয়েছে পিএটি টু-ফাইভ, ভিজ্যুয়াল সেপারেশনের অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এরপর ১৩ সেকেন্ডের কম সময়ের মধ্যে অডিওতে হাঁপানোর মতো কিছু শব্দ শোনা যায়। জোরে ‘ওহ্’ বলে একটি শব্দও শোনা গেছে। বিধ্বস্ত হওয়ার সময় ওই শব্দগুলো ধারণ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, বিমান–হেলিকপ্টার সংঘর্ষের ‘ভয়াবহ দুর্ঘটনা’ সম্পর্কে জানানো হয়েছে। দুর্ঘটনার পর জরুরি সাড়াদান কর্মীদের ‘অবিশ্বাস্য’ কর্মতৎপরতার জন্য তিনি তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। পরিস্থিতি–সম্পর্কিত আরও তথ্য পেলে পরবর্তী সময়ে তা বিস্তারিতভাবে জানাবেন তিনি।
দুর্ঘটনার সময় জর্জ ওয়াশিংটন পার্কওয়ে দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন এরি শুলম্যান। তিনি বিমানটিকে বিধ্বস্ত হতে দেখেছেন। এরি শুলম্যান এনবিসি ওয়াশিংটনকে বলেন, ‘শুরুতে বিমানটির অবতরণ স্বাভাবিক বলেই মনে হচ্ছিল, কিন্তু হঠাৎ সেটি ডান দিকে বাঁক নেয় এবং তার নিচের অংশ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে স্ফুলিঙ্গ নির্গত হতে থাকে, যা পুরো বিমানকে আলোকিত করে।’
শুলম্যান আরও বলেন, তিনি তখন বুঝতে পারেন কিছু একটা গন্ডগোল হচ্ছে। কারণ, রাতের বেলা অবতরণকালে বিমানের নিচের অংশ এতটা দৃশ্যমান হওয়ার কথা নয়।
বিবিসি জানায়, দুর্ঘটনার শিকার বিমানটির এক যাত্রীর স্বামী হামাদ রাজা তাঁর আরোহী স্ত্রীকে স্বাগত জানাতে এবং এগিয়ে নিতে রিগ্যান ওয়াশিংটন জাতীয় বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলেন। হামাদ রাজা জানান, স্ত্রীর জন্য বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলেন তিনি, এমন সময় আমেরিকান এয়ারলাইনসের বিমান দুর্ঘটনার খবর পান তিনি।
আরও পড়ুন
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের রাজধানী সিডনিতে সানডে মাদরাসা ও হিফজুল কোরআন প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা ও আনন্দদায়ক শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে স্পোর্টস ও ফান অ্যাকটিভিটি ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দিনটির বিশেষ আকর্ষণ ছিল সিডনিপ্রবাসী মোক্তার হোসেনের ঝালমুড়ির স্টল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোলে মাস্টার্স করা এই প্রবাসী বাংলাদেশির তৈরি ঝালমুড়ি স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়। অনুষ্ঠানে তার হাতে তৈরি ঝালমুড়ি বিক্রিতে ছিল উপচে পড়া ভিড়।
কানাডার টরোন্টোয় ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফোরাম আগামী শনিবার (৮ নভেম্বর) আয়োজন করছে এক অনুপ্রেরণামূলক ক্যারিয়ার সেমিনার। এই ক্যারিয়ার সেমিনারে অংশগ্রহণ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে
ঘড়ি এক ঘণ্টা পেছানোয় শনিবার রাতের দৈর্ঘ্য এক ঘণ্টা বেশি হয়েছে। আজ থেকে সকালে সূর্যের আলো এক ঘণ্টা আগে দেখা যাবে, কিন্তু সন্ধ্যায় সূর্যাস্ত হবে এক ঘণ্টা আগে। অর্থাৎ, অফিস বা কাজ শেষে দিনের আলো ফুরিয়ে যাবে দ্রুত।