আল জাজিরা
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা ও কথাবার্তার মাধ্যমেই দুই দেশের মধ্যে বিরোধ মেটানো সম্ভব বলে বিশ্বাস করেন তিনি। তবে তিনি মনে করেন, সম্প্রতি ইরানে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ঘটনার পর এ আলোচনায় আস্থার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডানপন্থী পডকাস্টার টাকার কার্লসনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পেজেশকিয়ান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আলোচনার মাধ্যমে খুব সহজেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের মতবিরোধ ও দ্বন্দ্বের সমাধান করা সম্ভব।’
গত শনিবার টাকার কার্লসনকে দেওয়া পেজেশকিয়ানের সাক্ষাৎকারটি গতকাল সোমবার (৭ জুলাই) প্রকাশ করা হয়।
ইরানে ইসরায়েলের নজিরবিহীন বোমা হামলার কয়েক সপ্তাহের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে মন্তব্যটি করেন পেজেশকিয়ান। গত ১৩ জুন ইসরায়েলের হামলায় ইরানের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা ও পরমাণুবিজ্ঞানীরা নিহত হন।
এ হামলার মাত্র ২ দিন পরই ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরমাণুবিষয়ক নতুন আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে ইসরায়েলের হামলাকে কেন্দ্র করে সেই আলোচনা বন্ধ হয়ে যায়। এর এক সপ্তাহ পর গত ২১ জুন যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের ৩টি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এ ৩টি স্থাপনা হলো ফর্দো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান।
গত সোমবার ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ১২ দিন ধরে চলা এই সংঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ১ হাজার ৬০ জনে পৌঁছেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা ভেঙে পড়ার জন্য পেজেশকিয়ান ইসরায়েলকেই দায়ী করেছেন।
পেজেশকিয়ান বলেন, ‘আমরা কীভাবে আবার যুক্তরাষ্ট্রের ওপর বিশ্বাস রাখব? আমরা কীভাবে নিশ্চিত হব যে আলোচনার মাঝপথে আবার ইসরায়েলকে আমাদের ওপর হামলার অনুমতি দেওয়া হবে না?’
পেজেশকিয়ান আরও অভিযোগ করেন, ১৩ জুনের হামলার সময় ইসরায়েল তাঁকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।
পেজেশকিয়ান আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, ওরা চেষ্টা করেছিল। তারা সে অনুযায়ী কাজও করেছে; কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। আমি একটি বৈঠকে ছিলাম। আমরা যে এলাকায় বৈঠক করছিলাম, ওরা সেখানে বোমা ফেলতে চেয়েছিল।’
ইরানের প্রেসিডেন্টের দাবি, তাঁর জীবননাশের চেষ্টার পেছনে যুক্তরাষ্ট্র নয়, ইসরায়েলেরই হাত ছিল।
গত ১৬ জুন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যা করার পরিকল্পনা থেকে পুরোপুরি সরে আসেনি ইসরায়েল। তিনি দাবি করেন, এতে ‘সংঘাতের অবসান হবে।’ এর আগে গুঞ্জন উঠেছিল, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই পরিকল্পনা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন।
গত ২৪ জুন থেকে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চলছে। তবে কার্লসনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান অভিযোগ করেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু মধ্যপ্রাচ্যে ‘চিরন্তন যুদ্ধ’ চালিয়ে যাওয়ার জন্য নিজস্ব পরিকল্পনা আঁটছেন। ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে না জড়াতে ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সাক্ষাৎকারে পেজেশকিয়ান আরও বলেন, এ অঞ্চলকে শান্তি ও ভালো ভবিষ্যতের পথে নিয়ে যাওয়ার এবং ইসরায়েলকে সীমার মধ্যে রাখার মতো যথেষ্ট সক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আছে।
এদিকে ট্রাম্প বলেন, তিনি নেতানিয়াহুর সঙ্গে ইরান ও তাদের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করবেন। তিনি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলাকে ‘দারুণ সাফল্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা ও কথাবার্তার মাধ্যমেই দুই দেশের মধ্যে বিরোধ মেটানো সম্ভব বলে বিশ্বাস করেন তিনি। তবে তিনি মনে করেন, সম্প্রতি ইরানে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ঘটনার পর এ আলোচনায় আস্থার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডানপন্থী পডকাস্টার টাকার কার্লসনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পেজেশকিয়ান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আলোচনার মাধ্যমে খুব সহজেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের মতবিরোধ ও দ্বন্দ্বের সমাধান করা সম্ভব।’
গত শনিবার টাকার কার্লসনকে দেওয়া পেজেশকিয়ানের সাক্ষাৎকারটি গতকাল সোমবার (৭ জুলাই) প্রকাশ করা হয়।
ইরানে ইসরায়েলের নজিরবিহীন বোমা হামলার কয়েক সপ্তাহের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে মন্তব্যটি করেন পেজেশকিয়ান। গত ১৩ জুন ইসরায়েলের হামলায় ইরানের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা ও পরমাণুবিজ্ঞানীরা নিহত হন।
এ হামলার মাত্র ২ দিন পরই ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরমাণুবিষয়ক নতুন আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে ইসরায়েলের হামলাকে কেন্দ্র করে সেই আলোচনা বন্ধ হয়ে যায়। এর এক সপ্তাহ পর গত ২১ জুন যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের ৩টি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এ ৩টি স্থাপনা হলো ফর্দো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান।
গত সোমবার ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ১২ দিন ধরে চলা এই সংঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ১ হাজার ৬০ জনে পৌঁছেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা ভেঙে পড়ার জন্য পেজেশকিয়ান ইসরায়েলকেই দায়ী করেছেন।
পেজেশকিয়ান বলেন, ‘আমরা কীভাবে আবার যুক্তরাষ্ট্রের ওপর বিশ্বাস রাখব? আমরা কীভাবে নিশ্চিত হব যে আলোচনার মাঝপথে আবার ইসরায়েলকে আমাদের ওপর হামলার অনুমতি দেওয়া হবে না?’
পেজেশকিয়ান আরও অভিযোগ করেন, ১৩ জুনের হামলার সময় ইসরায়েল তাঁকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।
পেজেশকিয়ান আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, ওরা চেষ্টা করেছিল। তারা সে অনুযায়ী কাজও করেছে; কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। আমি একটি বৈঠকে ছিলাম। আমরা যে এলাকায় বৈঠক করছিলাম, ওরা সেখানে বোমা ফেলতে চেয়েছিল।’
ইরানের প্রেসিডেন্টের দাবি, তাঁর জীবননাশের চেষ্টার পেছনে যুক্তরাষ্ট্র নয়, ইসরায়েলেরই হাত ছিল।
গত ১৬ জুন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যা করার পরিকল্পনা থেকে পুরোপুরি সরে আসেনি ইসরায়েল। তিনি দাবি করেন, এতে ‘সংঘাতের অবসান হবে।’ এর আগে গুঞ্জন উঠেছিল, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই পরিকল্পনা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন।
গত ২৪ জুন থেকে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চলছে। তবে কার্লসনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান অভিযোগ করেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু মধ্যপ্রাচ্যে ‘চিরন্তন যুদ্ধ’ চালিয়ে যাওয়ার জন্য নিজস্ব পরিকল্পনা আঁটছেন। ইসরায়েলের সঙ্গে মিলে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে না জড়াতে ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সাক্ষাৎকারে পেজেশকিয়ান আরও বলেন, এ অঞ্চলকে শান্তি ও ভালো ভবিষ্যতের পথে নিয়ে যাওয়ার এবং ইসরায়েলকে সীমার মধ্যে রাখার মতো যথেষ্ট সক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আছে।
এদিকে ট্রাম্প বলেন, তিনি নেতানিয়াহুর সঙ্গে ইরান ও তাদের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করবেন। তিনি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলাকে ‘দারুণ সাফল্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে ইসরায়েল তাদের বেশির ভাগ কূটনৈতিক কর্মী ফিরিয়ে আনছে। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল (এনএসসি) উপসাগরীয় দেশটিতে ইসরায়েলিদের জন্য ভ্রমণ সতর্কতা হালনাগাদ করার পর এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি।
মালয়েশিয়ার পূর্ব উপকূলীয় মহাসড়কে (ইস্ট কোস্ট হাইওয়ে) মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে তিন বাংলাদেশি নাগরিক। আহত হয়েছে আরও দুজন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় কুয়ানতান শহরের কাছে মহাসড়কের কিলোমিটার ২০০ দশমিক ৮ নম্বর পয়েন্ট পিলারের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সিঙ্গাপুরের ব্যস্ততম একটি সড়কে হঠাৎ তৈরি হওয়া এক সুবিশাল গর্তে গাড়িসহ পড়ে যান এক নারী। সড়কের পাশে কর্মরত একদল নির্মাণশ্রমিক রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় উদ্ধার করেন তাকে। গর্তের ভেতর থেকে ওই নারীকে উদ্ধারে শ্রমিকদের সময় লেগেছে ৫ মিনিটেরও কম।