
জাহিদ হোসেন জনি, কুয়েত থেকে

বাংলাদেশের ৫৫তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদ্যাপন করেছে কুয়েতে নিয়োজিত বাংলাদেশ দূতাবাস। এ উপলক্ষে কুয়েত সিটিতে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দূতাবাস।
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) কুয়েত সিটির হোটেল মিলেনিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুয়েতের সশস্ত্র বাহিনীর অ্যাসিস্ট্যান্ট চিফ অব স্টাফ ফর অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানপাওয়ার মেজর জেনারেল ফিরাস আদেল আল-শাহিন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন।
তিনি তার বক্তব্যে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আত্মত্যাগকারী ছাত্র-জনতার প্রতিও শ্রদ্ধা জানান।

রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী গঠনের ইতিহাস এবং এর ক্রমবিকাশ তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখা এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অগ্রণী ভূমিকা পালনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম উজ্জ্বল করে চলছে।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও কুয়েতের গভীর ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক পুনর্ব্যক্ত করেন এবং উল্লেখ করেন, ১৯৭৩ সালে কুয়েতই ছিল প্রথম উপসাগরীয় দেশ যারা বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। তিনি দুই দেশের নেতৃত্বের অধীনে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ধারাবাহিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
কুয়েতে প্রায় ২ লাখ ৯০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকসহ ১৯৯১ সাল থেকে অবস্থানরত বাংলাদেশ সামরিক কন্টিনজেন্টের সদস্যদের আতিথ্য দেওয়ার জন্য তিনি কুয়েত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি মূল স্তম্ভ।
বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাকিব তার বক্তব্যে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি স্মরণ করেন যে, ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর থেকে নবগঠিত বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সমন্বিত অভিযানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত হয়েছিল। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের এবং ২০২৪ সালে সংগঠিত আন্দোলনে আত্মত্যাগকারী ছাত্র জনতার প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সশস্ত্র-বাহিনীর অঙ্গীকার তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বাংলাদেশ ও কুয়েতের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ওপর গূরুত্বারোপ এবং বর্তমানে কুয়েতে দায়িত্ব পালনরত ১১টি বাংলাদেশ সামরিক কন্টিনজেন্টের মাধ্যমে কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীকে প্রদানকৃত কারিগরি ও পেশাদারি সহায়তার কথা উল্লেখ করেন। তিনি দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সাম্প্রতিক উচ্চপর্যায়ের পরিদর্শন আদান-প্রদানের কথাও তুলে ধরেন এবং কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে কুয়েতে নিয়োজিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিরক্ষা অ্যাটাশেবৃন্দ, কূটনৈতিক কোরের সদস্য, কুয়েতের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, কুয়েতে নিয়োজিত বাংলাদেশ সামরিক কন্টিনজেন্টের কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
অংশগ্রহণকারী সকল অতিথি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন এবং বাংলাদেশ ও কুয়েতের চিরন্তন বন্ধুত্বের আশাবাদ ব্যক্ত করে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।

বাংলাদেশের ৫৫তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদ্যাপন করেছে কুয়েতে নিয়োজিত বাংলাদেশ দূতাবাস। এ উপলক্ষে কুয়েত সিটিতে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দূতাবাস।
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) কুয়েত সিটির হোটেল মিলেনিয়ামে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুয়েতের সশস্ত্র বাহিনীর অ্যাসিস্ট্যান্ট চিফ অব স্টাফ ফর অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানপাওয়ার মেজর জেনারেল ফিরাস আদেল আল-শাহিন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন।
তিনি তার বক্তব্যে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আত্মত্যাগকারী ছাত্র-জনতার প্রতিও শ্রদ্ধা জানান।

রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী গঠনের ইতিহাস এবং এর ক্রমবিকাশ তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখা এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অগ্রণী ভূমিকা পালনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম উজ্জ্বল করে চলছে।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও কুয়েতের গভীর ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক পুনর্ব্যক্ত করেন এবং উল্লেখ করেন, ১৯৭৩ সালে কুয়েতই ছিল প্রথম উপসাগরীয় দেশ যারা বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। তিনি দুই দেশের নেতৃত্বের অধীনে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ধারাবাহিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
কুয়েতে প্রায় ২ লাখ ৯০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকসহ ১৯৯১ সাল থেকে অবস্থানরত বাংলাদেশ সামরিক কন্টিনজেন্টের সদস্যদের আতিথ্য দেওয়ার জন্য তিনি কুয়েত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি মূল স্তম্ভ।
বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাকিব তার বক্তব্যে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি স্মরণ করেন যে, ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর থেকে নবগঠিত বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সমন্বিত অভিযানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত হয়েছিল। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের এবং ২০২৪ সালে সংগঠিত আন্দোলনে আত্মত্যাগকারী ছাত্র জনতার প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সশস্ত্র-বাহিনীর অঙ্গীকার তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বাংলাদেশ ও কুয়েতের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ওপর গূরুত্বারোপ এবং বর্তমানে কুয়েতে দায়িত্ব পালনরত ১১টি বাংলাদেশ সামরিক কন্টিনজেন্টের মাধ্যমে কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীকে প্রদানকৃত কারিগরি ও পেশাদারি সহায়তার কথা উল্লেখ করেন। তিনি দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সাম্প্রতিক উচ্চপর্যায়ের পরিদর্শন আদান-প্রদানের কথাও তুলে ধরেন এবং কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে কুয়েতে নিয়োজিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিরক্ষা অ্যাটাশেবৃন্দ, কূটনৈতিক কোরের সদস্য, কুয়েতের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, কুয়েতে নিয়োজিত বাংলাদেশ সামরিক কন্টিনজেন্টের কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
অংশগ্রহণকারী সকল অতিথি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন এবং বাংলাদেশ ও কুয়েতের চিরন্তন বন্ধুত্বের আশাবাদ ব্যক্ত করে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।
জাপানের বৃহত্তর বরিশালবাসীদের সংগঠন বৃহত্তর বরিশাল সোসাইটি, জাপানের নবগঠিত কমিটি ও নতুন সদস্যদের সংবর্ধনা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সৌদি আরবে অনুমোদন ছাড়া কোনো সভা-সমাবেশ আয়োজন বা তাতে অংশ না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে দূতাবাস চত্বরে স্থাপিত অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দেলওয়ার হোসেন। এসময় দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া, রিয়াদের বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠন স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানায়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে দূতাবাস চত্বরে স্থাপিত অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দেলওয়ার হোসেন। এসময় দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া, রিয়াদের বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠন স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানায়।
২ দিন আগে