
বিডিজেন ডেস্ক

সীমান্তবর্তী বিতর্কিত এলাকায় টানা দ্বিতীয় দিনের মতো গোলাগুলি চালিয়ে যাচ্ছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। সবশেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত দুদিনের এই সংঘাতে নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ জনে। নিহতদের ১৫ জন থাইল্যান্ডের নাগরিক এবং ১ জন কম্বোডীয়। যুদ্ধের মাত্রা ও পরিধি যাতে না বাড়ে সে লক্ষ্যে আজ শুক্রবার (২৪ জুলাই) জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।
রয়টার্সের তথ্যমতে, নিহতদের সবাই থাইল্যান্ডের নাগরিক, যাদের মধ্যে ১৪ জনই বেসামরিক। ২ দিনের এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত আহত হয়েছে আরও ৪৬ জন। আহতদের মধ্যেও বেশির ভাগ বেসামরিক নাগরিক। এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী। হতাহত কমাতে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর প্রায় দেড় লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তারা নিকটবর্তী ৩০০ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে।
এদিকে, চলমান সংঘাতে কম্বোডিয়ায় কতজন হতাহত হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য জানা যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১ জন নিহত ও ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। দেশটির সীমান্তবর্তী ওডার মিনচি প্রদেশের স্থানীয় সরকার জানিয়েছে, ওই অঞ্চলের প্রায় দেড় হাজার পরিবারকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এ সংঘাতকে গত এক দশকে ২ দেশের মধ্যে হওয়া সবচেয়ে বড় সংঘাত বলে অভিহিত করা হচ্ছ।
গতকাল বৃহস্পতিবার, স্থানীয় সময় সকালে বিতর্কিত তা মোন থম মন্দির ঘিরে সংঘর্ষে জড়ায় উভয় পক্ষ । ওই সংঘর্ষে সকালেই নিহত হয় থাইল্যান্ডের ২ বেসামরিক নাগরিক। এর জেরে কম্বোডিয়া থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নেয় থাইল্যান্ড। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কম্বোডীয় রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারেরও। হামলার পরপরই থাই কর্তৃপক্ষ জানায়, কম্বোডিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ‘সর্বনিম্ন পর্যায়ে’ নামিয়ে আনছে তারা। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে কম্বোডিয়াও তাদের সব কূটনীতিককে থাইল্যান্ড থেকে ফিরিয়ে নেয় এবং থাই কূটনীতিকদেরও দেশত্যাগের নির্দেশ দেয়।
এরপর সীমান্তে একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে থাই কর্তৃপক্ষ। এর কিছুক্ষণ পরই ওই যুদ্ধবিমান থেকে কম্বোডীয় ভূখণ্ডে বোমা হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপরই আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। কঠোর জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় নমপেন।
কম্বোডিয়ায় হামলার ব্যাপারে থাইল্যান্ড পরে জানায়, তারা ৬টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান প্রস্তুত রেখেছিল। পরে কম্বোডিয়ার ২টি আঞ্চলিক সামরিক সদর দপ্তর ‘ধ্বংসেরও’ দাবি করে তারা। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কম্বোডিয়া তাদের বিবৃতিতে থাইল্যান্ডের কর্মকাণ্ডকে ‘নৃশংস, বর্বর ও সহিংস সামরিক আগ্রাসন’ বলে আখ্যা দেয়।
গত মে মাসেও দুই দেশের সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনায় এক কম্বোডীয় সেনা নিহত হয়।
দুই প্রতিবেশীর মধ্যে চলমান এই সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মহল। যুদ্ধ বন্ধে প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখতে চায় চীন। উদ্বেগ জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। ২ পক্ষকে সংযম দেখিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট। এ ছাড়া, অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স।
উল্লেখ্য, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে বিরোধ চলছে এমারাল্ড ট্রায়াঙ্গল নামের একটি অঞ্চল নিয়ে। থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও লাওস—৩ দেশের সীমান্ত এই এলাকায়। প্রাচীন মন্দির প্রেহা ভিহিয়ার মন্দিরও এখানেই অবস্থিত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। তবে, বহু বছর ধরে এই সীমান্তরেখা কোথায় হবে তা নিয়ে একমত হতে পারেনি তারা। একাধিক এলাকায় কয়েক কিলোমিটার সীমান্ত অঞ্চল নিয়ে এখনো দ্বন্দ্ব আছে।
১৯৬২ সালে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) এই বিতর্কের নিষ্পত্তি করতে রায় দেয় যে, ঐতিহাসিক প্রমাণ ও মানচিত্রের ভিত্তিতে প্রেহা ভিহিয়ার মন্দিরটি কম্বোডিয়ার ভূখণ্ডে অবস্থিত। এই রায় কম্বোডিয়া স্বাগত জানালেও থাইল্যান্ডে তা ব্যাপক অসন্তোষ ও রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দেয়। ২০০৮ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে এই নিয়ে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয় ২ পক্ষের মধ্যে, ঘটে প্রাণহানিও। পরে ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত আবারও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, শুধু মন্দিরটিই নয়, এর চারপাশের বিতর্কিত ভূখণ্ডও কম্বোডিয়ার। তবে সেই রায়ও যে দ্বন্দ্বের নিষ্পত্তি করতে পারেনি—চলমান সংঘাতে তা আবারও স্পষ্ট হলো।

সীমান্তবর্তী বিতর্কিত এলাকায় টানা দ্বিতীয় দিনের মতো গোলাগুলি চালিয়ে যাচ্ছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। সবশেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত দুদিনের এই সংঘাতে নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ জনে। নিহতদের ১৫ জন থাইল্যান্ডের নাগরিক এবং ১ জন কম্বোডীয়। যুদ্ধের মাত্রা ও পরিধি যাতে না বাড়ে সে লক্ষ্যে আজ শুক্রবার (২৪ জুলাই) জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়েছে।
রয়টার্সের তথ্যমতে, নিহতদের সবাই থাইল্যান্ডের নাগরিক, যাদের মধ্যে ১৪ জনই বেসামরিক। ২ দিনের এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত আহত হয়েছে আরও ৪৬ জন। আহতদের মধ্যেও বেশির ভাগ বেসামরিক নাগরিক। এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী। হতাহত কমাতে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর প্রায় দেড় লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তারা নিকটবর্তী ৩০০ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে।
এদিকে, চলমান সংঘাতে কম্বোডিয়ায় কতজন হতাহত হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য জানা যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১ জন নিহত ও ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। দেশটির সীমান্তবর্তী ওডার মিনচি প্রদেশের স্থানীয় সরকার জানিয়েছে, ওই অঞ্চলের প্রায় দেড় হাজার পরিবারকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এ সংঘাতকে গত এক দশকে ২ দেশের মধ্যে হওয়া সবচেয়ে বড় সংঘাত বলে অভিহিত করা হচ্ছ।
গতকাল বৃহস্পতিবার, স্থানীয় সময় সকালে বিতর্কিত তা মোন থম মন্দির ঘিরে সংঘর্ষে জড়ায় উভয় পক্ষ । ওই সংঘর্ষে সকালেই নিহত হয় থাইল্যান্ডের ২ বেসামরিক নাগরিক। এর জেরে কম্বোডিয়া থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে নেয় থাইল্যান্ড। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কম্বোডীয় রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারেরও। হামলার পরপরই থাই কর্তৃপক্ষ জানায়, কম্বোডিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ‘সর্বনিম্ন পর্যায়ে’ নামিয়ে আনছে তারা। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে কম্বোডিয়াও তাদের সব কূটনীতিককে থাইল্যান্ড থেকে ফিরিয়ে নেয় এবং থাই কূটনীতিকদেরও দেশত্যাগের নির্দেশ দেয়।
এরপর সীমান্তে একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে থাই কর্তৃপক্ষ। এর কিছুক্ষণ পরই ওই যুদ্ধবিমান থেকে কম্বোডীয় ভূখণ্ডে বোমা হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপরই আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। কঠোর জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় নমপেন।
কম্বোডিয়ায় হামলার ব্যাপারে থাইল্যান্ড পরে জানায়, তারা ৬টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান প্রস্তুত রেখেছিল। পরে কম্বোডিয়ার ২টি আঞ্চলিক সামরিক সদর দপ্তর ‘ধ্বংসেরও’ দাবি করে তারা। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কম্বোডিয়া তাদের বিবৃতিতে থাইল্যান্ডের কর্মকাণ্ডকে ‘নৃশংস, বর্বর ও সহিংস সামরিক আগ্রাসন’ বলে আখ্যা দেয়।
গত মে মাসেও দুই দেশের সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনায় এক কম্বোডীয় সেনা নিহত হয়।
দুই প্রতিবেশীর মধ্যে চলমান এই সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মহল। যুদ্ধ বন্ধে প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখতে চায় চীন। উদ্বেগ জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। ২ পক্ষকে সংযম দেখিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট। এ ছাড়া, অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স।
উল্লেখ্য, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে বিরোধ চলছে এমারাল্ড ট্রায়াঙ্গল নামের একটি অঞ্চল নিয়ে। থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও লাওস—৩ দেশের সীমান্ত এই এলাকায়। প্রাচীন মন্দির প্রেহা ভিহিয়ার মন্দিরও এখানেই অবস্থিত। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। তবে, বহু বছর ধরে এই সীমান্তরেখা কোথায় হবে তা নিয়ে একমত হতে পারেনি তারা। একাধিক এলাকায় কয়েক কিলোমিটার সীমান্ত অঞ্চল নিয়ে এখনো দ্বন্দ্ব আছে।
১৯৬২ সালে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) এই বিতর্কের নিষ্পত্তি করতে রায় দেয় যে, ঐতিহাসিক প্রমাণ ও মানচিত্রের ভিত্তিতে প্রেহা ভিহিয়ার মন্দিরটি কম্বোডিয়ার ভূখণ্ডে অবস্থিত। এই রায় কম্বোডিয়া স্বাগত জানালেও থাইল্যান্ডে তা ব্যাপক অসন্তোষ ও রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দেয়। ২০০৮ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে এই নিয়ে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয় ২ পক্ষের মধ্যে, ঘটে প্রাণহানিও। পরে ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত আবারও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, শুধু মন্দিরটিই নয়, এর চারপাশের বিতর্কিত ভূখণ্ডও কম্বোডিয়ার। তবে সেই রায়ও যে দ্বন্দ্বের নিষ্পত্তি করতে পারেনি—চলমান সংঘাতে তা আবারও স্পষ্ট হলো।
জাপানের বৃহত্তর বরিশালবাসীদের সংগঠন বৃহত্তর বরিশাল সোসাইটি, জাপানের নবগঠিত কমিটি ও নতুন সদস্যদের সংবর্ধনা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সৌদি আরবে অনুমোদন ছাড়া কোনো সভা-সমাবেশ আয়োজন বা তাতে অংশ না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে দূতাবাস চত্বরে স্থাপিত অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দেলওয়ার হোসেন। এসময় দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া, রিয়াদের বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠন স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানায়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিজয় দিবসে (১৬ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে দূতাবাস চত্বরে স্থাপিত অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দেলওয়ার হোসেন। এসময় দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া, রিয়াদের বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠন স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানায়।
২ দিন আগে