বিডিজেন ডেস্ক
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হিজবুল্লাহর গোয়েন্দা সদর দপ্তরে হামলা চালিয়েছে। বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলীতে এসব হামলা হয়েছে। হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ সূত্রের মতে, বোমা আঘাত হানা ভবনটি ছিল খালি এবং সেখানে দলটির মিডিয়া অফিস ছিল।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এই হামলার দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। একই সময়ে লেবানন সীমান্তবর্তী এলাকায় ইসরায়েলি সেনারা হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই করছে। লেবাননের বিভিন্নস্থানে গোষ্ঠীটির ঘাঁটিতে বোমা বর্ষণ করেছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
ইসরায়েল লেবাননের ২০টি গ্রাম ও নাবাতিয়েহ শহরের মানুষদের সতর্কবার্তা দিয়ে দ্রুত সরে যেতে বলেছে। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র অ্যাভিচাই আড্রির বলেছেন, আপনাদের নিরাপত্তার জন্য, আপনাদের বাড়ি অবিলম্বে ছেড়ে আওয়ালি নদীর উত্তরে চলে যান। নিজের জীবন বাঁচান।
চলতি সপ্তাহে ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননের কিছু অংশে স্থল অভিযান শুরু করেছে। এলাকাটি হিজবুল্লাহর শক্তিশালী এলাকা হিসেবে পরিচিত। এর আগে কয়েকদিন ধরে দেশব্যাপী হিজবুল্লাহ-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, এই বোমাবর্ষণে ইতিমধ্যে ১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং লাখ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। এই হামলা এমন এক সময়ে ঘটছে যখন লেবানন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় চলমান যুদ্ধে ইসরায়েল এখন নিজের উত্তর সীমান্তকে সুরক্ষিত করার দিকে মনোনিবেশ করেছে। গত বছর হিজবুল্লাহর আক্রমণে বাস্তুচ্যুত হওয়া ৬০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ইসরায়েল তাদের অভিযান চালাচ্ছে।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তিন মাস আগে গাজায় এক হামলায় হামাসের তিন শীর্ষ নেতাকে হত্যা করেছে। যাদের মধ্যে ছিলেন রাভি মুশতাহা। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় হামাস সরকারের প্রধান ছিলেন।
মুখোমুখি সংঘর্ষ
হিজবুল্লাহ দাবি করেছে, তারা ফাতিমার গেটে ইসরায়েলি সেনাদের অগ্রগতি রুখে দিয়েছে। তারা আরও দাবি করেছে, দুটি বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর হামলা করা হয়েছে। ক্রমাগত সীমান্ত থেকে রকেট হামলা চালানো হচ্ছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রাতভর এক হামলায় বিনত জবেইলে ১৫ জন হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এ অঞ্চলটি ২০০৬ সালের যুদ্ধে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। পরে লেবাননের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের একটি সেনা ফাঁড়িতে ইসরায়েলের হামলায় এক সেনা নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে চলমান উত্তেজনায় লেবাননের সেনাবাহিনীর তিন সেনা নিহত হলো। এর জবাবে লেবাননের সেনাবাহিনী পাল্টা গুলি চালায়।
লেবাননের এক সামরিক কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েলি হামলার জবাবে লেবাননের সেনাবাহিনীর এটিই প্রথম প্রতিক্রিয়া।
এর আগে, ইসরায়েল বৈরুতের মধ্যাঞ্চলে একটি বিমান হামলা চালিয়েছে। হিজবুল্লাহ পরিচালিত একটি জরুরি উদ্ধার কেন্দ্র লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। এ হামলায় সাতজন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হিজবুল্লাহর গোয়েন্দা সদর দপ্তরে হামলা চালিয়েছে। বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরতলীতে এসব হামলা হয়েছে। হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ সূত্রের মতে, বোমা আঘাত হানা ভবনটি ছিল খালি এবং সেখানে দলটির মিডিয়া অফিস ছিল।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) এই হামলার দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। একই সময়ে লেবানন সীমান্তবর্তী এলাকায় ইসরায়েলি সেনারা হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই করছে। লেবাননের বিভিন্নস্থানে গোষ্ঠীটির ঘাঁটিতে বোমা বর্ষণ করেছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
ইসরায়েল লেবাননের ২০টি গ্রাম ও নাবাতিয়েহ শহরের মানুষদের সতর্কবার্তা দিয়ে দ্রুত সরে যেতে বলেছে। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র অ্যাভিচাই আড্রির বলেছেন, আপনাদের নিরাপত্তার জন্য, আপনাদের বাড়ি অবিলম্বে ছেড়ে আওয়ালি নদীর উত্তরে চলে যান। নিজের জীবন বাঁচান।
চলতি সপ্তাহে ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননের কিছু অংশে স্থল অভিযান শুরু করেছে। এলাকাটি হিজবুল্লাহর শক্তিশালী এলাকা হিসেবে পরিচিত। এর আগে কয়েকদিন ধরে দেশব্যাপী হিজবুল্লাহ-নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, এই বোমাবর্ষণে ইতিমধ্যে ১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং লাখ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। এই হামলা এমন এক সময়ে ঘটছে যখন লেবানন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় চলমান যুদ্ধে ইসরায়েল এখন নিজের উত্তর সীমান্তকে সুরক্ষিত করার দিকে মনোনিবেশ করেছে। গত বছর হিজবুল্লাহর আক্রমণে বাস্তুচ্যুত হওয়া ৬০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ইসরায়েল তাদের অভিযান চালাচ্ছে।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তিন মাস আগে গাজায় এক হামলায় হামাসের তিন শীর্ষ নেতাকে হত্যা করেছে। যাদের মধ্যে ছিলেন রাভি মুশতাহা। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় হামাস সরকারের প্রধান ছিলেন।
মুখোমুখি সংঘর্ষ
হিজবুল্লাহ দাবি করেছে, তারা ফাতিমার গেটে ইসরায়েলি সেনাদের অগ্রগতি রুখে দিয়েছে। তারা আরও দাবি করেছে, দুটি বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর হামলা করা হয়েছে। ক্রমাগত সীমান্ত থেকে রকেট হামলা চালানো হচ্ছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রাতভর এক হামলায় বিনত জবেইলে ১৫ জন হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এ অঞ্চলটি ২০০৬ সালের যুদ্ধে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। পরে লেবাননের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের একটি সেনা ফাঁড়িতে ইসরায়েলের হামলায় এক সেনা নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে চলমান উত্তেজনায় লেবাননের সেনাবাহিনীর তিন সেনা নিহত হলো। এর জবাবে লেবাননের সেনাবাহিনী পাল্টা গুলি চালায়।
লেবাননের এক সামরিক কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েলি হামলার জবাবে লেবাননের সেনাবাহিনীর এটিই প্রথম প্রতিক্রিয়া।
এর আগে, ইসরায়েল বৈরুতের মধ্যাঞ্চলে একটি বিমান হামলা চালিয়েছে। হিজবুল্লাহ পরিচালিত একটি জরুরি উদ্ধার কেন্দ্র লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। এ হামলায় সাতজন নিহত হয়েছেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, ‘ইরান কখনোই জায়নবাদীদের [ইসরায়েল] সঙ্গে আপস করবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া একাধিক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের সঙ্গে যৌথভাবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানোর কথা ভাবছেন।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার (১৭ জুন) এক বিবৃতিতে ইসরায়েলকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর ‘অবৈধ হামলা’ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো বর্তমান সংকটাপন্ন পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক শত্রুতার প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেছে দেশটি।
ইরানে সুনির্দিষ্ট বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এসব হামলার নিশানা করা হচ্ছে ইরানের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা, পারমাণবিক স্থাপনা ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনকেন্দ্র। ইসরায়েলি হামলার পাল্টা জবাব দিয়ে যাচ্ছে ইরানও।