
বিডিজেন ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত ঢাকার ভিকারুননিসা নুন স্কুল ও কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন ভিকারুননিসা অ্যালামনাই অস্ট্রেলিয়ার (ভিএএইউএস) উদ্যোগে নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের সিডনি অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন ২০২৫।
সম্প্রতি সিডনির ল্যান্টানা ভেন্যুসে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এর প্রধান সহযোগী ছিল এআইএস মেরিন ইনভেস্টমেন্টস।
অনুষ্ঠানে প্রায় ১ হাজার ১০০ অতিথি এবং অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত ও বাংলাদেশে থেকে আসা প্রায় ৪০০ প্রাক্তন ভিকারুননিসা শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এই গ্র্যান্ড রিইউনিয়নের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় ‘চেঞ্জ দ্য স্টোরি’ উদ্যোগের মাধ্যমে। যা নারীদের সম্মান, সমতা আর নিরাপদ ভবিষ্যৎ গঠনের লক্ষ্যে পরিচালিত একটি যুগান্তকারী কমিউনিটি উদ্যোগ। অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল সাইলেন্ট আর্ট অকশন, যেখানে সম্প্রতি একুশে পদক জয়ী বিখ্যাত বাংলাদেশি শিল্পী অধ্যাপক রোকেয়া সুলতানার চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হয়।

নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার (মুখ্যমন্ত্রী) ক্রিস মিন্সের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দেন ক্যাব্রামাট্টার সংসদ সদস্য ট্রি ভো। তার উপস্থিতি পুরো অনুষ্ঠানে বিশেষ মর্যাদা ও সম্মান যোগ করে। সন্ধ্যার অন্যতম আকর্ষণ ছিল বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী প্রীতম হাসান ও তার ভাই প্রতীক হাসানের মনোমুগ্ধকর লাইভ পরিবেশনা। পাশাপাশি VAAUS সদস্যদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যা পুরো আয়োজনকে উৎসবমুখর করে তোলে।
ক্রিস মিন্স লিখিত বক্তব্যে বলেন, “গত ৮ বছর ধরে VAAUS অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন কমিউনিটিকে সহযোগিতা করে আসছে, আর আজকের এই সন্ধ্যায় তারা নারী ও শিশু সুরক্ষার জন্য তহবিল সংগ্রহ করছে যা নিঃসন্দেহে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি যেন উদারভাবে সহায়তা করেন এবং এই সুন্দর সন্ধ্যাটি উপভোগ করেন।”
‘চেঞ্জ দ্য স্টোরি’ ক্যাম্পেইনের মূল লক্ষ্য হলো সহানুভূতি, মুক্ত সংলাপ ও কমিউনিটি সহযোগিতার মাধ্যমে পারিবারিক ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা বন্ধ করা। এ উদ্যোগ থেকে সংগৃহীত তহবিল এএলও এনলাইটেন্ড উইমেন (ক্যানবেরা) এবং কালচারাল ডাইভারসিটি নেটওয়ার্ক ইনক (সিডনি)—এই দুই সংগঠনের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ব্যয় করা হবে, যারা বহুজাতিক ও অভিবাসী নারীদের উন্নয়নে কাজ করে আসছে।

এ ছাড়াও, VAAUS নতুন ভিকারুননিসা গ্র্যাজুয়েটদের জন্য অস্ট্রেলিয়াকেন্দ্রিক একটি মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম চালু করেছে যা ইতিমধ্যে ২০২৬ সালের আসন্ন উদ্যোগসমূহের সহায়তায় ২০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার সংগ্রহ করেছে। তাদের এই অব্যাহত প্রচেষ্টা আরও একটি নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের পথে দৃঢ় পদক্ষেপ হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছে।
VAAUS–এর সভাপতি ড. সুরঞ্জনা জেনিফার রহমান বলেন, “এই উদ্যোগ আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য এবং সহানুভূতিকে বাস্তব কর্মে রূপ দেওয়াকে প্রতিফলিত করে।’
তিনি আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য এমন একটি ভবিষ্যৎ গড়া, যেখানে প্রতিটি নারী নিজেকে সমর্থিত মনে করবে, প্রতিটি কণ্ঠস্বর শোনা হবে, আর প্রতিটি উদ্যোগ হয়ে উঠবে স্থায়ী পরিবর্তনের অংশ।”
গত সাত বছরে VAAUS ছোট একটি অ্যালমনাই সংগঠন থেকে বিকশিত হয়ে এখন অস্ট্রেলিয়ান চ্যারিটিজ অ্যান্ড নট-ফর-প্রফিটস কমিশনে (এসিএনসি) নিবন্ধিত একটি দাতব্য সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যার রয়েছে ডিডাকটিবল গিফট রিসিপেন্ট (ডিজিআর) মর্যাদা। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটি অস্ট্রেলিয়ার ৬টি অঙ্গরাজ্যে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে মিলে ৪২ হাজার ডলারেরও বেশি অনুদান প্রদান করেছে। যা ব্যবহৃত হয়েছে দুর্যোগ সহায়তা, শিশুস্বাস্থ্য ও নারীদের কল্যাণমূলক কাজে।

ভিএএইউএস গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন ২০২৫–এর টাইটেল স্পনসর হিসেবে ছিল এআইএস মেরিন ইনভেস্টমেন্টস। এই অংশীদারত্ব পারস্পরিক বন্ধন, সহযোগিতা আর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার এক সুন্দর গল্প। দেশ-বিদেশে সরকারি অবকাঠামো, অফশোর এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে, এআইএস মেরিন ইনভেস্টমেন্টস সবসময়ই এমন উদ্যোগকে পাশে থাকে যা মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। VAAUS–এর এই উদ্যোগ তারই এক উজ্জ্বল উদাহরণ, যা আগামী প্রজন্মের মনেও অনুপ্রেরণার আলো ছড়াবে।
প্রতিটি উদ্যোগ এবং গল্পের মাধ্যমে VAAUS প্রমাণ করে প্রকৃত শিক্ষা কেবল শ্রেণিকক্ষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় এটি ফুঁটে ওঠে সেবা, সৌহার্দ্য ও ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রতি অঙ্গীকারের মাধ্যমে। বিজ্ঞপ্তি

অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত ঢাকার ভিকারুননিসা নুন স্কুল ও কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন ভিকারুননিসা অ্যালামনাই অস্ট্রেলিয়ার (ভিএএইউএস) উদ্যোগে নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের সিডনি অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন ২০২৫।
সম্প্রতি সিডনির ল্যান্টানা ভেন্যুসে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এর প্রধান সহযোগী ছিল এআইএস মেরিন ইনভেস্টমেন্টস।
অনুষ্ঠানে প্রায় ১ হাজার ১০০ অতিথি এবং অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত ও বাংলাদেশে থেকে আসা প্রায় ৪০০ প্রাক্তন ভিকারুননিসা শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এই গ্র্যান্ড রিইউনিয়নের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় ‘চেঞ্জ দ্য স্টোরি’ উদ্যোগের মাধ্যমে। যা নারীদের সম্মান, সমতা আর নিরাপদ ভবিষ্যৎ গঠনের লক্ষ্যে পরিচালিত একটি যুগান্তকারী কমিউনিটি উদ্যোগ। অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল সাইলেন্ট আর্ট অকশন, যেখানে সম্প্রতি একুশে পদক জয়ী বিখ্যাত বাংলাদেশি শিল্পী অধ্যাপক রোকেয়া সুলতানার চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হয়।

নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার (মুখ্যমন্ত্রী) ক্রিস মিন্সের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দেন ক্যাব্রামাট্টার সংসদ সদস্য ট্রি ভো। তার উপস্থিতি পুরো অনুষ্ঠানে বিশেষ মর্যাদা ও সম্মান যোগ করে। সন্ধ্যার অন্যতম আকর্ষণ ছিল বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী প্রীতম হাসান ও তার ভাই প্রতীক হাসানের মনোমুগ্ধকর লাইভ পরিবেশনা। পাশাপাশি VAAUS সদস্যদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যা পুরো আয়োজনকে উৎসবমুখর করে তোলে।
ক্রিস মিন্স লিখিত বক্তব্যে বলেন, “গত ৮ বছর ধরে VAAUS অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন কমিউনিটিকে সহযোগিতা করে আসছে, আর আজকের এই সন্ধ্যায় তারা নারী ও শিশু সুরক্ষার জন্য তহবিল সংগ্রহ করছে যা নিঃসন্দেহে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি যেন উদারভাবে সহায়তা করেন এবং এই সুন্দর সন্ধ্যাটি উপভোগ করেন।”
‘চেঞ্জ দ্য স্টোরি’ ক্যাম্পেইনের মূল লক্ষ্য হলো সহানুভূতি, মুক্ত সংলাপ ও কমিউনিটি সহযোগিতার মাধ্যমে পারিবারিক ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা বন্ধ করা। এ উদ্যোগ থেকে সংগৃহীত তহবিল এএলও এনলাইটেন্ড উইমেন (ক্যানবেরা) এবং কালচারাল ডাইভারসিটি নেটওয়ার্ক ইনক (সিডনি)—এই দুই সংগঠনের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ব্যয় করা হবে, যারা বহুজাতিক ও অভিবাসী নারীদের উন্নয়নে কাজ করে আসছে।

এ ছাড়াও, VAAUS নতুন ভিকারুননিসা গ্র্যাজুয়েটদের জন্য অস্ট্রেলিয়াকেন্দ্রিক একটি মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম চালু করেছে যা ইতিমধ্যে ২০২৬ সালের আসন্ন উদ্যোগসমূহের সহায়তায় ২০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার সংগ্রহ করেছে। তাদের এই অব্যাহত প্রচেষ্টা আরও একটি নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের পথে দৃঢ় পদক্ষেপ হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছে।
VAAUS–এর সভাপতি ড. সুরঞ্জনা জেনিফার রহমান বলেন, “এই উদ্যোগ আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য এবং সহানুভূতিকে বাস্তব কর্মে রূপ দেওয়াকে প্রতিফলিত করে।’
তিনি আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য এমন একটি ভবিষ্যৎ গড়া, যেখানে প্রতিটি নারী নিজেকে সমর্থিত মনে করবে, প্রতিটি কণ্ঠস্বর শোনা হবে, আর প্রতিটি উদ্যোগ হয়ে উঠবে স্থায়ী পরিবর্তনের অংশ।”
গত সাত বছরে VAAUS ছোট একটি অ্যালমনাই সংগঠন থেকে বিকশিত হয়ে এখন অস্ট্রেলিয়ান চ্যারিটিজ অ্যান্ড নট-ফর-প্রফিটস কমিশনে (এসিএনসি) নিবন্ধিত একটি দাতব্য সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যার রয়েছে ডিডাকটিবল গিফট রিসিপেন্ট (ডিজিআর) মর্যাদা। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটি অস্ট্রেলিয়ার ৬টি অঙ্গরাজ্যে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে মিলে ৪২ হাজার ডলারেরও বেশি অনুদান প্রদান করেছে। যা ব্যবহৃত হয়েছে দুর্যোগ সহায়তা, শিশুস্বাস্থ্য ও নারীদের কল্যাণমূলক কাজে।

ভিএএইউএস গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন ২০২৫–এর টাইটেল স্পনসর হিসেবে ছিল এআইএস মেরিন ইনভেস্টমেন্টস। এই অংশীদারত্ব পারস্পরিক বন্ধন, সহযোগিতা আর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার এক সুন্দর গল্প। দেশ-বিদেশে সরকারি অবকাঠামো, অফশোর এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে, এআইএস মেরিন ইনভেস্টমেন্টস সবসময়ই এমন উদ্যোগকে পাশে থাকে যা মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। VAAUS–এর এই উদ্যোগ তারই এক উজ্জ্বল উদাহরণ, যা আগামী প্রজন্মের মনেও অনুপ্রেরণার আলো ছড়াবে।
প্রতিটি উদ্যোগ এবং গল্পের মাধ্যমে VAAUS প্রমাণ করে প্রকৃত শিক্ষা কেবল শ্রেণিকক্ষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় এটি ফুঁটে ওঠে সেবা, সৌহার্দ্য ও ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রতি অঙ্গীকারের মাধ্যমে। বিজ্ঞপ্তি
রাষ্ট্রদূত মো. আমানুল হক বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ও তাদের দোসররা পরিকল্পিতভাবে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে, যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করা।
সান ফ্রান্সিসকোতে এক সংবাদ সম্মেলনে বোন্টা বলেন, "কোনো প্রেসিডেন্ট প্রশাসন অভিবাসন আইন পুনরায় লিখতে পারে না। কোনো প্রেসিডেন্ট সরকারের সমান ক্ষমতাসম্পন্ন শাখা কংগ্রেসকে উপেক্ষা করতে পারেন না, সংবিধানকে উপেক্ষা করতে পারেন না, কিংবা আইনকেও অবজ্ঞা করতে পারেন না।"
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজের একজন মুখপাত্র বলেছেন, “আমরা বন্দাই বিচে নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। আশপাশের লোকজনকে নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করছি।”
গত শুক্রবার ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ওই বাংলাদেশিরা জোহানেসবার্গের ওআর টাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। আগমনের পর যাত্রীদের তথ্য ও চলাচলের ধরন বিশ্লেষণ করে বিএমএ কর্মকর্তারা তাদের আচরণকে সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত করেন।