বিডিজেন ডেস্ক
ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ড গাজা এবং লেবানন ও সিরিয়ায় ইসরায়েলের সেনারা অনির্দিষ্টকাল অবস্থান করবে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) তিনি বলেছেন, গাজা, লেবানন ও সিরিয়ার তথাকথিত ‘নিরাপত্তা অঞ্চলে’ ইসরায়েলি সেনারা অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকবে। কেবল তাই নয়, তিনি
আরও বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী যেসব এলাকা দখল করেছে তা আর ছাড়বে না।
বার্তা সংস্থা এপি এ খবর দিয়েছে।
এপির খবরে বলা হয়েছে, এই মন্তব্য হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে আলোচনা আরও জটিল করে তুলতে পারে।
বুধবার সন্ধ্যার আগের ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ২২ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এমনটাই জানিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে এক বছরও হয়নি এমন এক মেয়েও রয়েছে। আহত অবস্থায় মেয়েটির মা তার রক্তমাখা নীল পোশাক পরা মেয়ের দেহ জড়িয়ে ধরেছিলেন। পরে তাকে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
গত মাসে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর জিম্মিদের মুক্তির জন্য হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ইসরায়েল নতুন করে অভিযান শুরু করে। ইসরায়েলি বাহিনী গাজার অর্ধেকেরও বেশি এলাকা দখল করে নিয়েছে। এ ছাড়া, গত বছর লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েল লেবাননের কিছু এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে রাজি হয়নি। ডিসেম্বরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে বিদ্রোহীরা ক্ষমতাচ্যুত করার পর ইসরায়েল দক্ষিণ সিরিয়ায় একটি বাফার জোন দখল করে নেয়।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘অতীতে যা ঘটত তার বিপরীতে (ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী) যেসব এলাকা খালি ও দখল করেছে, সেগুলো আর ছেড়ে দেবে না। গাজা, লেবানন ও সিরিয়ায় যেকোনো অস্থায়ী বা স্থায়ী পরিস্থিতিতে শত্রু ও (ইসরায়েলি) সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি বাফার হিসেবে সামরিক বাহিনী নিরাপত্তা অঞ্চলে থাকবে।’
ফিলিস্তিন, লেবানন ও সিরিয়া ইসরায়েলি সেনাদের এই উপস্থিতি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং সামরিক দখলদারি হিসেবে দেখে। লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন বলেছেন, ইসরায়েলের অব্যাহত উপস্থিতির কারণে লেবাননের সেনাবাহিনী ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে হওয়া যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী পুরোপুরি মোতায়েন হতে পারছে না। এটি ‘বাধা’ সৃষ্টি করছে।
বুধবারও দক্ষিণ লেবাননে দুটি ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় দুজন নিহত হয়েছেন বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। জাতিসংঘ বলেছে, নভেম্বরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ৭০ জনের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
হামাস বলেছে, গাজা থেকে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ছাড়া তারা বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেবে না। জিম্মি পরিবারের প্রধান সংগঠন এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘তারা (ইসরায়েল সরকার) প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, জিম্মিরাই অগ্রাধিকার। বাস্তবে, ইসরায়েল জিম্মিদের আগে ভূখণ্ড দখল করতে চাইছে।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘একটি সমাধানই কাম্য ও সম্ভব, আর তা হলো—একটি চুক্তির মাধ্যমে একসঙ্গে সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া, এমনকি যুদ্ধ শেষ করার বিনিময়েও।’
ইসরায়েল বলছে, হামাসের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে তাদের তথাকথিত ‘নিরাপত্তা অঞ্চলে’ নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা জরুরি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অঞ্চলটিতে বিগত দেড় বছর ধরে ইসরায়েলি হামলায় ৫১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখণ্ড গাজা এবং লেবানন ও সিরিয়ায় ইসরায়েলের সেনারা অনির্দিষ্টকাল অবস্থান করবে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) তিনি বলেছেন, গাজা, লেবানন ও সিরিয়ার তথাকথিত ‘নিরাপত্তা অঞ্চলে’ ইসরায়েলি সেনারা অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকবে। কেবল তাই নয়, তিনি
আরও বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী যেসব এলাকা দখল করেছে তা আর ছাড়বে না।
বার্তা সংস্থা এপি এ খবর দিয়েছে।
এপির খবরে বলা হয়েছে, এই মন্তব্য হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে আলোচনা আরও জটিল করে তুলতে পারে।
বুধবার সন্ধ্যার আগের ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ২২ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এমনটাই জানিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে এক বছরও হয়নি এমন এক মেয়েও রয়েছে। আহত অবস্থায় মেয়েটির মা তার রক্তমাখা নীল পোশাক পরা মেয়ের দেহ জড়িয়ে ধরেছিলেন। পরে তাকে দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
গত মাসে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর জিম্মিদের মুক্তির জন্য হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ইসরায়েল নতুন করে অভিযান শুরু করে। ইসরায়েলি বাহিনী গাজার অর্ধেকেরও বেশি এলাকা দখল করে নিয়েছে। এ ছাড়া, গত বছর লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েল লেবাননের কিছু এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে রাজি হয়নি। ডিসেম্বরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে বিদ্রোহীরা ক্ষমতাচ্যুত করার পর ইসরায়েল দক্ষিণ সিরিয়ায় একটি বাফার জোন দখল করে নেয়।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘অতীতে যা ঘটত তার বিপরীতে (ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী) যেসব এলাকা খালি ও দখল করেছে, সেগুলো আর ছেড়ে দেবে না। গাজা, লেবানন ও সিরিয়ায় যেকোনো অস্থায়ী বা স্থায়ী পরিস্থিতিতে শত্রু ও (ইসরায়েলি) সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি বাফার হিসেবে সামরিক বাহিনী নিরাপত্তা অঞ্চলে থাকবে।’
ফিলিস্তিন, লেবানন ও সিরিয়া ইসরায়েলি সেনাদের এই উপস্থিতি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং সামরিক দখলদারি হিসেবে দেখে। লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন বলেছেন, ইসরায়েলের অব্যাহত উপস্থিতির কারণে লেবাননের সেনাবাহিনী ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে হওয়া যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী পুরোপুরি মোতায়েন হতে পারছে না। এটি ‘বাধা’ সৃষ্টি করছে।
বুধবারও দক্ষিণ লেবাননে দুটি ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় দুজন নিহত হয়েছেন বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। জাতিসংঘ বলেছে, নভেম্বরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ৭০ জনের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
হামাস বলেছে, গাজা থেকে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ছাড়া তারা বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেবে না। জিম্মি পরিবারের প্রধান সংগঠন এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘তারা (ইসরায়েল সরকার) প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, জিম্মিরাই অগ্রাধিকার। বাস্তবে, ইসরায়েল জিম্মিদের আগে ভূখণ্ড দখল করতে চাইছে।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘একটি সমাধানই কাম্য ও সম্ভব, আর তা হলো—একটি চুক্তির মাধ্যমে একসঙ্গে সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া, এমনকি যুদ্ধ শেষ করার বিনিময়েও।’
ইসরায়েল বলছে, হামাসের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে তাদের তথাকথিত ‘নিরাপত্তা অঞ্চলে’ নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা জরুরি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অঞ্চলটিতে বিগত দেড় বছর ধরে ইসরায়েলি হামলায় ৫১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে ইসরায়েল তাদের বেশির ভাগ কূটনৈতিক কর্মী ফিরিয়ে আনছে। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল (এনএসসি) উপসাগরীয় দেশটিতে ইসরায়েলিদের জন্য ভ্রমণ সতর্কতা হালনাগাদ করার পর এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি।
মালয়েশিয়ার পূর্ব উপকূলীয় মহাসড়কে (ইস্ট কোস্ট হাইওয়ে) মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে তিন বাংলাদেশি নাগরিক। আহত হয়েছে আরও দুজন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় কুয়ানতান শহরের কাছে মহাসড়কের কিলোমিটার ২০০ দশমিক ৮ নম্বর পয়েন্ট পিলারের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সিঙ্গাপুরের ব্যস্ততম একটি সড়কে হঠাৎ তৈরি হওয়া এক সুবিশাল গর্তে গাড়িসহ পড়ে যান এক নারী। সড়কের পাশে কর্মরত একদল নির্মাণশ্রমিক রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় উদ্ধার করেন তাকে। গর্তের ভেতর থেকে ওই নারীকে উদ্ধারে শ্রমিকদের সময় লেগেছে ৫ মিনিটেরও কম।