logo
প্রবাসের খবর

গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত, একদিনে নিহত ১১২

বিডিজেন ডেস্ক
বিডিজেন ডেস্ক০৪ এপ্রিল ২০২৫
Copied!
গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত, একদিনে নিহত ১১২
দার আল-আকরাম স্কুলে উদ্ধার তৎপরতা। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি বিমান হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ-যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখন্ড গাজায় গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) ভোরে নিহত হয়েছে আরও ৩৩ জন, আহত আরও শতাধিক। সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরের হামলার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১১২ জন নিহত হয়েছে।

খবর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার।

হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকালে গাজা ভূখন্ডের তুফাহ এলাকার ৩টি স্কুলে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। নিহতদের ২৯ জনই দার আল-আকরাম নামের একটি স্কুলে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থী। এই ২৯ জনের ১৮ জনই শিশু। বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, স্কুলটিতে আঘাত হানে অন্তত ৪টি ক্ষেপণাস্ত্র।

আরেকটি সূত্র বলছে, একই এলাকায় অবস্থিত ফাহ্দ স্কুলেও ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া, তুফাহ এলাকার শাবান আল-রাইয়াস স্কুলেও হামলা চালানো হয়েছে, তবে হতাহতের সংখ্যা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

এত বেসামরিক হতাহতের পক্ষে ইসরায়েলি বাহিনীর সাফাই—তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল হামাসের একটি কমান্ড সেন্টার। সেখান থেকেই হামলা পরিকল্পনা ও পরিচালনার করে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি।

আল-জাজিরার প্রতিবেদক হানি মাহমুদ গাজা সিটি থেকে জানিয়েছেন, দার আল-আরকাম স্কুলে হামলার চিত্র ভয়াবহ। তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু ভিডিও ফুটেজ এতটাই বীভৎস যে তা গণমাধ্যমে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। নিহতদের বেশির ভাগই ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে, কেউ কেউ হাসপাতালে নেওয়ার পথে প্রাণ হারিয়েছে’।

তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েল বারবার নিজেদের নিরাপদ ঘোষিত এলাকা হামলা চালিয়ে গাজাবাসীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ইসরায়েল ঘোষিত ‘নিরাপদ অঞ্চল’ মোটেই নিরাপদ নয়।’

গাজার জরুরি উদ্ধারকর্মীদের এক মুখপাত্র আল-জাজিরাকে বলেন, ‘এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। নারী ও শিশুদের ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’

গাজার স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সূত্র আল-জাজিরার জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজা ভূখন্ডে অন্তত ১১২ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৭১ জন গাজা সিটি এবং বাকিরা খান ইউনিসের বাসিন্দা। গাজা শহরের আল-আহলি আরব হাসপাতালে ২১টি মরদেহ নেওয়া হয়, যার মধ্যে ৭টিই ছিল শিশুর।

খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে নেওয়া ১৪ জন নিহতের মধ্যে ৯ জন একই পরিবারের সদস্য। নিহতদের মধ্যে ৫ শিশু ও ৪ নারী ছিল। খান ইউনিসের ইউরোপীয় হাসপাতালে আরও ১৯টি মরদেহ নেওয়া হয়, যাদের মধ্যে ৫ জন ১ থেকে ৭ বছর বয়সী শিশু এবং একজন গর্ভবতী নারী ছিল।

সরকারি জনসংযোগ অফিস সতর্ক করেছে যে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারের জন্য পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও যানবাহন না থাকায় উদ্ধার কাজ কঠিন হয়ে পড়ছে। এ ছাড়া, স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাও প্রায় ভেঙে পড়েছে। ইসরায়েল গাজার ওপর এক মাসের সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করেছে, যার ফলে খাদ্য, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

আরও পড়ুন

ইসরায়েল ইরানে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাচ্ছে, ইরানও থেমে নেই

ইসরায়েল ইরানে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাচ্ছে, ইরানও থেমে নেই

ইরানে সুনির্দিষ্ট বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এসব হামলার নিশানা করা হচ্ছে ইরানের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা, পারমাণবিক স্থাপনা ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনকেন্দ্র। ইসরায়েলি হামলার পাল্টা জবাব দিয়ে যাচ্ছে ইরানও।

৫ ঘণ্টা আগে

ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন চীনের প্রেসিডেন্ট

ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন চীনের প্রেসিডেন্ট

ইরান ও ইসরায়েলের চলমান সংঘাত শুরুর পর এই প্রথমবার মুখ খুললেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং। তিনি বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে ‘হঠাৎ উত্তেজনা বৃদ্ধি’ পাওয়ায় চীন ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’।

৫ ঘণ্টা আগে

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত রাশিয়া

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত রাশিয়া

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে রাশিয়া প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।

৬ ঘণ্টা আগে

তেহরানে ‘দাহিয়া ধাঁচের’ হামলার হুমকি ইসরায়েলের

তেহরানে ‘দাহিয়া ধাঁচের’ হামলার হুমকি ইসরায়েলের

ইরানের রাজধানী তেহরানে ‘দাহিয়া ধাঁচের’ সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। পরিকল্পিত এই অভিযান মূলত ইরানের সরকারকে অস্থিতিশীল করে তোলার জন্য নেওয়া হয়েছে।

৬ ঘণ্টা আগে