
বিডিজেন ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের মধ্যে ঈদ উপলক্ষে চলছে উৎসবের আবহ। কিন্তু এই উপলক্ষও গাজার ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা কাটাতে পারেনি। ঈদের সময়েও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখন্ডটিতে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ঈদ এবং ঈদের পরদিন গাজায় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৮০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
খবর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার।
ফিলিস্তিনসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রোববার (৩৯ মার্চ) ঈদ উদ্যাপিত হয়েছে। উৎসবের এ দিনটি মুসলিমরা কাটান তাদের প্রিয়জনের সঙ্গে; কিন্তু যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বাসিন্দাদের এবারের ঈদও কেটেছে নিরানন্দ ও মৃত্যুভয়ে। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গত ১৮ মার্চ গাজায় আবার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার সন্ধ্যায় দেওয়া হালনাগাদ তথ্যে জানায়, এর আগের ৪৮ ঘণ্টায় গাজাজুড়ে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৮০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৩০৫ জন। এর মধ্যে ঈদের দিন অর্থাৎ রোববার নিহত হয়েছে ৫৩ জন এবং আহত হয়েছে ১৮৯ জন।
টেলিগ্রামে দেওয়া বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর নতুন করে ১ হাজার ১ জন নিহত ও ২ হাজার ৩৫৯ জন আহত হয়েছে। এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর ৫০ হাজার ৩৫৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হলো। আহত ১ লাখ ১৪ হাজার ৪০০ জনের বেশি। হতাহত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
প্রায় ১৫ মাসের যুদ্ধের পর গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। ইসরায়েলি হামলা বন্ধ হলে কিছুটা স্বস্তি ফেরে গাজায়। এরপর ধ্বংসস্তূপে পরিণত বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করে ফিলিস্তিনিরা। ধ্বংসযজ্ঞ ঠেলে নতুন করে ঘর গড়তে শুরু করে তারা। কিন্তু ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভেঙে আবার হামলা শুরু করলে ফের বিপর্যয় নেমে এসেছে ফিলিস্তিনিদের জীবনে। আবারও বাড়িঘর ছেড়ে উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে তারা।
নির্বিচার হামলা
ঈদ উপলক্ষে গাজায় ইসরায়েল হামলায় লাগাম টানতে পারে ধারণা করা হলেও গত দুই দিনে হামলার তীব্রতা আরও বেড়েছে। ঈদের দ্বিতীয় দিন সোমবার ভোর থেকেই গাজাজুড়ে হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দিনভর থেমে থেমে ভূখন্ডটিটির বিভিন্ন এলাকায় হামলা চলে। পাশাপাশি ইসরায়েলির সেনারা কামান থেকে বিভিন্ন স্থানে গোলাবর্ষণও করেন।
সোমবার সবচেয়ে বেশি হামলা হয়েছে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে। এদিন খান ইউনিসের অন্তত ৭টি এলাকায় বিমান থেকে বোমা হামলা চালায় ইসরায়েল। এ ছাড়া, গাজার মধ্যাঞ্চলের নুসেইরাত, মাগাজিসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা হয়েছে। দেইর আল–বালাহতেও একাধিক বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। জরুরি সেবা বিভাগের কর্মীরা বলছে, নির্বিচার হামলার মধ্যে মরদেহ উদ্ধারের অভিযান চালানোও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
দক্ষিণ গাজায় রাফার কাছে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে নিহত ৮ জন চিকিৎসক, ৫ জন বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মী ও জাতিসংঘের একজন কর্মীসহ জরুরি সেবাদানের কাজে নিয়োজিত ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস)।
ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিস (আইএফআরসি) এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলেছে, ২০১৭ সালের পর বিশ্বের যেকোনো জায়গায় তাদের কর্মীদের ওপর এটি সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।
গাজার গণমাধ্যম কার্যালয়ের দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে জরুরি সেবা বিভাগের এসব কর্মীকে হত্যা করা হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে হাতকড়া পরিয়ে খুব কাছ থেকে মাথায় ও বুকে গুলি করেন ইসরায়েলি সেনারা।
ওই হত্যার পর ইসরায়েলি সেনাদের বাধায় ৮ দিন এই ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি। এই হামলার জন্য অবিলম্বে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে গাজার গণমাধ্যম কার্যালয় বলেছে, প্রয়োজনে জাতিসংঘের নেতৃত্বে এই হত্যাকাণ্ডের একটি তদন্ত করতে হবে। এ ছাড়া, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা এবং গাজার চিকিৎসাকর্মী ও জরুরি সেবা বিভাগের কর্মীদের সুরক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের মধ্যে ঈদ উপলক্ষে চলছে উৎসবের আবহ। কিন্তু এই উপলক্ষও গাজার ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা কাটাতে পারেনি। ঈদের সময়েও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখন্ডটিতে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ঈদ এবং ঈদের পরদিন গাজায় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৮০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
খবর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার।
ফিলিস্তিনসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রোববার (৩৯ মার্চ) ঈদ উদ্যাপিত হয়েছে। উৎসবের এ দিনটি মুসলিমরা কাটান তাদের প্রিয়জনের সঙ্গে; কিন্তু যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বাসিন্দাদের এবারের ঈদও কেটেছে নিরানন্দ ও মৃত্যুভয়ে। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গত ১৮ মার্চ গাজায় আবার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার সন্ধ্যায় দেওয়া হালনাগাদ তথ্যে জানায়, এর আগের ৪৮ ঘণ্টায় গাজাজুড়ে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৮০ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৩০৫ জন। এর মধ্যে ঈদের দিন অর্থাৎ রোববার নিহত হয়েছে ৫৩ জন এবং আহত হয়েছে ১৮৯ জন।
টেলিগ্রামে দেওয়া বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর নতুন করে ১ হাজার ১ জন নিহত ও ২ হাজার ৩৫৯ জন আহত হয়েছে। এ নিয়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর ৫০ হাজার ৩৫৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হলো। আহত ১ লাখ ১৪ হাজার ৪০০ জনের বেশি। হতাহত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
প্রায় ১৫ মাসের যুদ্ধের পর গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। ইসরায়েলি হামলা বন্ধ হলে কিছুটা স্বস্তি ফেরে গাজায়। এরপর ধ্বংসস্তূপে পরিণত বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করে ফিলিস্তিনিরা। ধ্বংসযজ্ঞ ঠেলে নতুন করে ঘর গড়তে শুরু করে তারা। কিন্তু ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভেঙে আবার হামলা শুরু করলে ফের বিপর্যয় নেমে এসেছে ফিলিস্তিনিদের জীবনে। আবারও বাড়িঘর ছেড়ে উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে তারা।
নির্বিচার হামলা
ঈদ উপলক্ষে গাজায় ইসরায়েল হামলায় লাগাম টানতে পারে ধারণা করা হলেও গত দুই দিনে হামলার তীব্রতা আরও বেড়েছে। ঈদের দ্বিতীয় দিন সোমবার ভোর থেকেই গাজাজুড়ে হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। দিনভর থেমে থেমে ভূখন্ডটিটির বিভিন্ন এলাকায় হামলা চলে। পাশাপাশি ইসরায়েলির সেনারা কামান থেকে বিভিন্ন স্থানে গোলাবর্ষণও করেন।
সোমবার সবচেয়ে বেশি হামলা হয়েছে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে। এদিন খান ইউনিসের অন্তত ৭টি এলাকায় বিমান থেকে বোমা হামলা চালায় ইসরায়েল। এ ছাড়া, গাজার মধ্যাঞ্চলের নুসেইরাত, মাগাজিসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা হয়েছে। দেইর আল–বালাহতেও একাধিক বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। জরুরি সেবা বিভাগের কর্মীরা বলছে, নির্বিচার হামলার মধ্যে মরদেহ উদ্ধারের অভিযান চালানোও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
দক্ষিণ গাজায় রাফার কাছে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে নিহত ৮ জন চিকিৎসক, ৫ জন বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মী ও জাতিসংঘের একজন কর্মীসহ জরুরি সেবাদানের কাজে নিয়োজিত ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস)।
ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিস (আইএফআরসি) এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলেছে, ২০১৭ সালের পর বিশ্বের যেকোনো জায়গায় তাদের কর্মীদের ওপর এটি সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।
গাজার গণমাধ্যম কার্যালয়ের দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে জরুরি সেবা বিভাগের এসব কর্মীকে হত্যা করা হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে হাতকড়া পরিয়ে খুব কাছ থেকে মাথায় ও বুকে গুলি করেন ইসরায়েলি সেনারা।
ওই হত্যার পর ইসরায়েলি সেনাদের বাধায় ৮ দিন এই ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি। এই হামলার জন্য অবিলম্বে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে গাজার গণমাধ্যম কার্যালয় বলেছে, প্রয়োজনে জাতিসংঘের নেতৃত্বে এই হত্যাকাণ্ডের একটি তদন্ত করতে হবে। এ ছাড়া, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা এবং গাজার চিকিৎসাকর্মী ও জরুরি সেবা বিভাগের কর্মীদের সুরক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এমন এক প্রেক্ষাপটে এই সফরে যাচ্ছেন, যখন সৌদি আরবকে আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে যোগ দিতে চাপ দিচ্ছেন ট্রাম্প।
বাংলাদেশ ও ভারত থেকে আসা নাগরিকদের ভিসা জালিয়াতি রোধে একযোগে ভিসা আবেদন বাতিলের ক্ষমতা অর্জন করতে চাইছে কানাডা সরকার। দেশটির জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিবিসি নিউজ সরকারি অভ্যন্তরীণ নথির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের রাজধানী সিডনিতে সানডে মাদরাসা ও হিফজুল কোরআন প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা ও আনন্দদায়ক শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে স্পোর্টস ও ফান অ্যাকটিভিটি ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দিনটির বিশেষ আকর্ষণ ছিল সিডনিপ্রবাসী মোক্তার হোসেনের ঝালমুড়ির স্টল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোলে মাস্টার্স করা এই প্রবাসী বাংলাদেশির তৈরি ঝালমুড়ি স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়। অনুষ্ঠানে তার হাতে তৈরি ঝালমুড়ি বিক্রিতে ছিল উপচে পড়া ভিড়।