বিডিজেন ডেস্ক
ইরানের রাজধানী তেহরানে ‘দাহিয়া ধাঁচের’ সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। পরিকল্পিত এই অভিযান মূলত ইরানের সরকারকে অস্থিতিশীল করে তোলার জন্য নেওয়া হয়েছে।
কাতারের অর্থায়নকৃত অলাভজনক প্রেস মনিটরিং সংস্থা মিডল ইস্ট মনিটর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সম্প্রচার মাধ্যম চ্যানেল ১৪-এর প্রতিবেদনের বরাতে মিডল ইস্ট মনিটর বলেছে, পরিকল্পিত এই অভিযান মূলত ইরানের সরকারকে অস্থিতিশীল করে তোলার জন্য নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় ইরানের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে ধারাবাহিক বোমা হামলা চালানো হবে এবং ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে জনগণকে জোরপূর্বক সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা থাকবে।
মূলত, ২০০৬ সালের লেবানন যুদ্ধে প্রথম প্রয়োগ করা হয় এই অভিযান। ওই যুদ্ধে হিজবুল্লাহর ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বৈরুতের দাহিয়া জেলাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হয়।
ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তারা এই অভিযানকে মূলত যুদ্ধের একটি কৌশল হিসেবে বর্ণনা করেন। এর মাধ্যমে রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য বেসামরিক অবকাঠামো ও জনপদকে ইচ্ছাকৃতভাবে টার্গেট করা হয়।
‘দাহিয়া ডকট্রিন’ ইসরায়েলের একটি আনুষ্ঠানিক সামরিক কৌশল, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে ইচ্ছাকৃত ও সম্পূর্ণ ধ্বংস। এই নীতিতে বৈধতা ছাড়াই সম্পূর্ণ বেসামরিক অঞ্চল ধ্বংস করা হয়। বহু মানবাধিকার সংস্থা ও আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ এই কৌশলকে গণবিধ্বংসী কৌশল হিসেবে অভিহিত করেছেন। এই অভিযান আন্তর্জাতিক আইনেও অবৈধ।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে স্পষ্ট বলা আছে, বেসামরিক জনগণ ও যোদ্ধাদের মধ্যে পার্থক্য না করে চালানো হামলা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এরপরও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বারবার আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ‘দাহিয়া ধাঁচে’ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে। লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন এবং গাজায় এর প্রমাণ রয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, তারা তেহরানে সম্ভাব্য সামরিক ও দ্বৈত ব্যবহারযোগ্য স্থাপনার আশপাশে বসবাসরত সাধারণ মানুষকে ফারসি ভাষায় সতর্কবার্তা পাঠাতে শুরু করেছে। একই কৌশল আগেও তারা গাজা ও লেবাননে ব্যবহার করেছিল।
এই অভিযানের অনুমোদন দিয়েছেন ফিলিস্তিনসহ মধ্যপ্রাচ্যে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক বার্তায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাৎজ বলেছেন, “তেহরানের পরিণতি হবে বৈরুতের মতো।”
এ ছাড়াও, তিনি আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির পরিণতি ইরাকের সাবেক শাসক সাদ্দাম হোসেনের মতো হতে পারে।’
সাদ্দাম হোসেন ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আগ্রাসনের পর ক্ষমতাচ্যুত হন ও পরবর্তীতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
ইরানের রাজধানী তেহরানে ‘দাহিয়া ধাঁচের’ সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। পরিকল্পিত এই অভিযান মূলত ইরানের সরকারকে অস্থিতিশীল করে তোলার জন্য নেওয়া হয়েছে।
কাতারের অর্থায়নকৃত অলাভজনক প্রেস মনিটরিং সংস্থা মিডল ইস্ট মনিটর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সম্প্রচার মাধ্যম চ্যানেল ১৪-এর প্রতিবেদনের বরাতে মিডল ইস্ট মনিটর বলেছে, পরিকল্পিত এই অভিযান মূলত ইরানের সরকারকে অস্থিতিশীল করে তোলার জন্য নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় ইরানের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে ধারাবাহিক বোমা হামলা চালানো হবে এবং ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে জনগণকে জোরপূর্বক সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা থাকবে।
মূলত, ২০০৬ সালের লেবানন যুদ্ধে প্রথম প্রয়োগ করা হয় এই অভিযান। ওই যুদ্ধে হিজবুল্লাহর ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বৈরুতের দাহিয়া জেলাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হয়।
ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তারা এই অভিযানকে মূলত যুদ্ধের একটি কৌশল হিসেবে বর্ণনা করেন। এর মাধ্যমে রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য বেসামরিক অবকাঠামো ও জনপদকে ইচ্ছাকৃতভাবে টার্গেট করা হয়।
‘দাহিয়া ডকট্রিন’ ইসরায়েলের একটি আনুষ্ঠানিক সামরিক কৌশল, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে ইচ্ছাকৃত ও সম্পূর্ণ ধ্বংস। এই নীতিতে বৈধতা ছাড়াই সম্পূর্ণ বেসামরিক অঞ্চল ধ্বংস করা হয়। বহু মানবাধিকার সংস্থা ও আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ এই কৌশলকে গণবিধ্বংসী কৌশল হিসেবে অভিহিত করেছেন। এই অভিযান আন্তর্জাতিক আইনেও অবৈধ।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে স্পষ্ট বলা আছে, বেসামরিক জনগণ ও যোদ্ধাদের মধ্যে পার্থক্য না করে চালানো হামলা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এরপরও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বারবার আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ‘দাহিয়া ধাঁচে’ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে। লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন এবং গাজায় এর প্রমাণ রয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, তারা তেহরানে সম্ভাব্য সামরিক ও দ্বৈত ব্যবহারযোগ্য স্থাপনার আশপাশে বসবাসরত সাধারণ মানুষকে ফারসি ভাষায় সতর্কবার্তা পাঠাতে শুরু করেছে। একই কৌশল আগেও তারা গাজা ও লেবাননে ব্যবহার করেছিল।
এই অভিযানের অনুমোদন দিয়েছেন ফিলিস্তিনসহ মধ্যপ্রাচ্যে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক বার্তায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাৎজ বলেছেন, “তেহরানের পরিণতি হবে বৈরুতের মতো।”
এ ছাড়াও, তিনি আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির পরিণতি ইরাকের সাবেক শাসক সাদ্দাম হোসেনের মতো হতে পারে।’
সাদ্দাম হোসেন ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আগ্রাসনের পর ক্ষমতাচ্যুত হন ও পরবর্তীতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
ইরানে সুনির্দিষ্ট বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এসব হামলার নিশানা করা হচ্ছে ইরানের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা, পারমাণবিক স্থাপনা ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনকেন্দ্র। ইসরায়েলি হামলার পাল্টা জবাব দিয়ে যাচ্ছে ইরানও।
ইরান ও ইসরায়েলের চলমান সংঘাত শুরুর পর এই প্রথমবার মুখ খুললেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং। তিনি বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রাচ্যে ‘হঠাৎ উত্তেজনা বৃদ্ধি’ পাওয়ায় চীন ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’।
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত বন্ধে মধ্যস্থতা করতে রাশিয়া প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
ইরানের রাজধানী তেহরানে ‘দাহিয়া ধাঁচের’ সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। পরিকল্পিত এই অভিযান মূলত ইরানের সরকারকে অস্থিতিশীল করে তোলার জন্য নেওয়া হয়েছে।